মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাড়িটি বা মধু পল্লী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে অবস্থিত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালে এই বাড়িতেই জন্ম নেন ।[1] তার শৈশবও এখানেই কাটে । এখানে রয়েছে তার ব্যবহার করা কয়েকটি ভবন, পুকুরঘাট এবং কবির নানা স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র যা নিয়ে বর্তমানে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে । যশোর শহর থেকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার।

মধু পল্লী
মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি
মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি
সাধারণ তথ্য
অবস্থানসাগরদাঁড়ী গ্রাম, কেশবপুর উপজেলা
ঠিকানাযশোর জেলা
শহরখুলনা
দেশবাংলাদেশ
স্বত্বাধিকারীবাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর
কারিগরী বিবরণ
তলার সংখ্যা
যে কারণে পরিচিতমাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি
অন্যান্য তথ্য
কক্ষ সংখ্যা

ইতিহাস

মাইকেল মধুসূদন ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দ ২৫ জানুয়ারি রবিবার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাড়ী গ্রামের এই বাড়িতে এক ধনাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । ৭ বছর বয়সে এই বাড়ী ছেড়ে কলকাতার খিদিরপুর চলে যান । সেখানে খিদিরপুর স্কুলে দুই বছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফারসি ভাষা শেখেন। ১৮৬২ সালে কলকাতায় থাকাকালীন সময়ে তার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে স্ত্রী-পুত্র, কন্যাকে নিয়ে নদীপথে আবার আসেন সাগরদাঁড়িতে[2] যখন তিনি সপরিবারে এখানে এসেছিলেন তখন ধর্ম পরিবর্তনের কারণে জ্ঞাতিরা তাকে এই বাড়িতে উঠতে দেননি । পরে তিনি কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী এক কাঠবাদাম গাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে ১৪ দিন অবস্থান করেছিলেন । পরে বিফল মনে সেখান থেকেই কলকাতায় চলে আসেন । এর পর কোনোদিন তিনি আর এ বাড়িতে ফিরে আসেন নি ।

বিবরণ

বর্তমানে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর সাহায্যে কবির স্মৃতি নিদর্শন এবং আলোকচিত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি জাদুঘর । বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংস্কার করা এই দোতলা বাড়িটিতে রয়েছে মোট ছয়টি কক্ষ । এর মধ্যে উপরে রয়েছে তিনটি এবং নিচে রয়েছে তিনটি কক্ষ । এর নিচ তলায় রয়েছে কবি পরিবারের একটি মন্দির আর মধুসূদন জাদুঘর । মধুসূদন জাদুঘরে আছে কবির ব্যবহার করা খাট, চেয়ার ও আলমারি । এর পাশে রয়েছে একটি ছোট পাঠাগার । এই ভবনের একদম উত্তরদিকে আছে ছাদহীন-দেয়াল ঘেরা একটি অসাধারন নির্মাণশৈলীর একটি কক্ষ । এই কক্ষেরই কোণার দিকে রয়েছে তুলসী গাছ । মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাড়ির প্রবেশ পথের সামনে রয়েছে ১৯৮৪ সালের শিল্পী বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাসের নির্মিত কবি মধুসূদন দত্তের একটি ভাস্কর্য । [3]

গ্যালারি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.