মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতাবিশেষ। এর মাধ্যমে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য দল বাছাইয়ের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব | |
---|---|
ব্যবস্থাপক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
খেলার ধরন | ৫০-ওভার |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ২০০৩ |
দলের সংখ্যা | ১৫ (সর্বমোট) ১০ (সাম্প্রতিককালে সর্বাধিক) |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ভারত (২০১৭) |
সর্বাধিক সফল | আয়ারল্যান্ড পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারত (প্রত্যেকেই ১বার) |
১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রথম সাতটি আসরে অংশগ্রহণকারী দলসমূহকে আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট কাউন্সিল (আইডব্লিউসিসি) কর্তৃক সুপারিশক্রমে আমন্ত্রণ আকারে নির্ধারণ করা হয়েছিল।[1] ২০০৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য ২০০৩ সালে প্রথম বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ঐ প্রতিযোগিতায় আয়ারল্যান্ড শিরোপা জয় করে।[2] এরপর ধারাবাহিকভাবে আরও তিনটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাকিস্তান ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিজয়ী হয়।[3][4] সর্বশেষ ২০১৭ সালের প্রতিযোগিতাটি ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়।[5] এতে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।[3][4]
উদ্বোধনী আসর আইডব্লিউসিসি’র ব্যবস্থাপনায় আইডব্লিউসিসি ট্রফি নামে পরিচিত ছিল। তবে, আইডব্লিউসিসি ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সাথে একীভূত হয় ও অন্য সকল আসর শুধুই বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব নামে পরিচিত হতে থাকে। দল সংখ্যা ও বাছাইপর্বের স্থান নির্ধারণ প্রক্রিয়া প্রত্যেক প্রতিযোগিতাতেই ভিন্ন হয়েছে। ২০০৩ সালে দুইটি স্থান নির্ধারণী খেলার জন্য ছয় দল ও পরবর্তী ২০০৮ সালের আসরে আট দলকে ঐ দুইটি স্থানের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। ২০১১ সালের আসরে দশ দলকে তিনটি স্থানের জন্য ও ২০১৭ সালের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দশ দলকে চারটি স্থানের জন্য অবতীর্ণ হতে হয়েছে।[6]
ফলাফল
সাল | স্বাগতিক | চূড়ান্ত খেলার মাঠ | চূড়ান্ত খেলা | ||
---|---|---|---|---|---|
বিজয়ী | ফলাফল | রানার-আপ | |||
২০০৩ | নেদারল্যান্ডস | চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি | আয়ারল্যান্ড ১০ পয়েন্ট |
আয়ারল্যান্ড পয়েন্টে বিজয়ী টেবিল |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ পয়েন্ট |
২০০৮ | দক্ষিণ আফ্রিকা | স্টেলেনবস | দক্ষিণ আফ্রিকা ৬১ (২৪.৩ ওভার) |
দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে বিজয়ী স্কোরকার্ড |
পাকিস্তান ৬২/২ (১৩.৪ ওভার) |
২০১১ | বাংলাদেশ | ঢাকা | ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫০/৫ (৫০ ওভার) |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩০ রানে বিজয়ী স্কোরকার্ড |
পাকিস্তান ১২০ (৩৭.৩ ওভার) |
২০১৭ | শ্রীলঙ্কা | কলম্বো | ভারত ২৪৫/৯ (৫০ ওভার) |
ভারত ১ উইকেটে বিজয়ী স্কোরকার্ড |
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৪ (৪৯.৪ ওভার) |
দলীয় সাফল্য
- নির্দেশিকা
- ১ম – চ্যাম্পিয়ন
- ২য় – রানার্স-আপ
- ৩য় – তৃতীয় স্থান
- উ – উত্তীর্ণ
- × – অংশগ্রহণ করেনি, ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা লাভ করেছে
- — স্বাগতিক
- নির্দিষ্ট বছরের বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা লাভকারী দলকে নিচে দাগ দিয়ে দেখানো হয়েছে
দল | ২০০৩ |
২০০৮ |
২০১১ |
২০১৭ |
২০২১ |
সর্বমোট |
---|---|---|---|---|---|---|
বাংলাদেশ | — | — | ৫ম | উ | ২ | |
বারমুডা | — | ৮ম | — | — | ১ | |
ভারত | × | × | × | ১ম | ১ | |
আয়ারল্যান্ড | ১ম | ৩য় | ৬ষ্ঠ | উ | ৪ | |
জাপান | ৬ষ্ঠ | — | ৯ম | — | ২ | |
নেদারল্যান্ডস | ৩য় | ৪র্থ | ৭ম | — | ৩ | |
পাকিস্তান | ৪র্থ | ২য় | ২য় | ৪র্থ | ৪ | |
পাপুয়া নিউগিনি | — | ৭ম | — | উ | ২ | |
স্কটল্যান্ড | ৫ম | ৬ষ্ঠ | — | উ | ৩ | |
দক্ষিণ আফ্রিকা | × | ১ম | ৪র্থ | ২য় | ৩ | |
শ্রীলঙ্কা | × | × | ৩য় | ৩য় | ২ | |
থাইল্যান্ড | — | — | — | উ | ১ | |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | — | — | ৮ম | — | ১ | |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২য় | × | ১ম | × | ২ | |
জিম্বাবুয়ে | — | ৫ম | ১০ম | উ | ৩ |
আরও দেখুন
- ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব (পুরুষ)
তথ্যসূত্র
- International Women's Cricket Council (IWCC): Fifteenth Meeting – Women's Cricket History. Retrieved 3 October 2015.
- International Women's Cricket Council Trophy 2003 – CricketArchive. Retrieved 8 December 2015.
- ICC Women's World Cup Qualifying Series 2007/08 – CricketArchive. Retrieved 8 December 2015.
- ICC Women's World Cup Qualifying Series 2011/12 – CricketArchive. Retrieved 8 December 2015.
- "Colombo to host ICC Women’s World Cup Qualifier 2017" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে, International Cricket Council, 30 October 2016. Retrieved 30 October 2016.
- "World Cup 2017: Women's Championship will form qualifying"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৫।