মহিলা কোপা আমেরিকা
মহিলা কোপা আমেরিকা বা কোপা আমেরিকা ফেমেনিনা (আগের নাম: ক্যাম্পেওনাতো সুদামেরিকানো দে ফুটবল ফেমেনিনো, সংক্ষেপে সুদামেরিকানো ফেমেনিনো) হল কনমেবল এর জাতীয় দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত মহিলাদের ফুটবলের প্রধান প্রতিযোগিতা।[1]
আয়োজক | কনমেবল |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৯১ |
অঞ্চল | দক্ষিণ আমেরিকা |
দলের সংখ্যা | ১০ (চূড়ান্ত) |
উন্নীত | ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ |
সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা | কোপা আমেরিকা |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | ব্রাজিল ((৮ম শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | ব্রাজিল ((৮ বার শিরোপা জয়) |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
২০২২ মহিলা কোপা আমেরিকা |
এটি ১৯৯১ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। টুর্নামেন্টের প্রথম দুটি সংস্করণে শুধুমাত্র একটি দল (চ্যাম্পিয়ন) ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। তৃতীয় সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করে, এবং টুর্নামেন্টের রানার আপ দল বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য প্লে-অফ ম্যাচে কনকাকাফের একটি দলের মুখোমুখি হয়। চতুর্থ সংস্করণে দুটি দল যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল ২০০৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পায়; ২০০৭ এবং ২০১১ সংস্করণের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে কনমেবল ঘোষণা করে যে টুর্নামেন্টটি প্রতি চার বছরের পরিবর্তে প্রতি দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত হবে, যা ২০২২ সালে শুরু হবে।[2]
এছাড়াও অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ সংস্করণ রয়েছে।
ফলাফল
সংস্করণ | বছর | আয়োজক | প্রথম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | দল সংখ্ | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
চ্যাম্পিয়ন | স্কোর / ভেন্যু | রানার আপ | তৃতীয় | স্কোর / ভেন্যু | চতুর্থ | ||||
১ | ১৯৯১ | ব্রাজিল | ব্রাজিল |
– [n1 1] | চিলি |
ভেনেজুয়েলা |
– [n1 2] | – | ৩ |
২ | ১৯৯৫ | ব্রাজিল | ব্রাজিল |
২–০ | আর্জেন্টিনা |
চিলি |
– [n1 1] | ইকুয়েডর |
৫ |
৩ | ১৯৯৮ | আর্জেন্টিনা | ব্রাজিল |
৭–১ | আর্জেন্টিনা |
পেরু |
৩–৩ (অ.স.প.) (৫–৪ (পে.) |
ইকুয়েডর |
১০ |
৪ | ২০০৩ | পেরু আর্জেন্টিনা ইকুয়েডর |
ব্রাজিল |
– [n1 1] | আর্জেন্টিনা |
কলম্বিয়া |
– [n1 1] | পেরু |
১০ |
৫ | ২০০৬ | আর্জেন্টিনা | আর্জেন্টিনা |
– [n1 1] | ব্রাজিল |
উরুগুয়ে |
– [n1 1] | প্যারাগুয়ে |
১০ |
৬ | ২০১০ | ইকুয়েডর | ব্রাজিল |
– [n1 1] | কলম্বিয়া |
চিলি |
– [n1 1] | আর্জেন্টিনা |
১০ |
৭ | ২০১৪ | ইকুয়েডর | ব্রাজিল |
– [n1 1] | কলম্বিয়া |
ইকুয়েডর |
– [n1 1] | আর্জেন্টিনা |
১০ |
৮ | ২০১৮ | চিলি | ব্রাজিল |
– [n1 1] | চিলি |
আর্জেন্টিনা |
– [n1 1] | কলম্বিয়া |
১০ |
৯ | ২০২২ | কলম্বিয়া | ব্রাজিল |
১–০ | কলম্বিয়া |
আর্জেন্টিনা |
৩–১[n1 3] | প্যারাগুয়ে |
১০ |
- Notes
- রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলা হয়েছে।
- মাত্র তিনটি দল অংশগ্রহণ করে।
- পরাজিদল আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফ খেলবে
শীর্ষ চার শ্রেণীবিভাগ
এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র বলিভিয়া কোনো টুর্নামেন্টে শীর্ষ চারে উঠতে পারেনি।
দল | শিরোপা | রানার্স আপ | তৃতীয় স্থান | চতুর্থ স্থান | মোট শীর্ষ চার |
---|---|---|---|---|---|
ব্রাজিল | ৮ (১৯৯১, ১৯৯৫, ১৯৯৮, ২০০৩, ২০১০ , ২০১৪, ২০১৮, ২০২২) | ১ (২০০৬) | – | – | ৯ |
আর্জেন্টিনা | ১ (২০০৬) | ৩ (১৯৯৫, ১৯৯৮, ২০০৩) | ২ (২০১৮, ২০২২) | ২ (২০১০ , ২০১৪) | ৮ |
কলম্বিয়া | – | ৩ (২০১০ , ২০১৪, ২০২২) | ১ (২০০৩) | ১ (২০১৮) | ৫ |
চিলি | – | ২ (১৯৯১, ২০১৮) | ২ (১৯৯৫, ২০১০ ) | – | ৪ |
ইকুয়েডর | – | – | ১ (২০১৪) | ২ (১৯৯৫, ১৯৯৮) | ৩ |
পেরু | – | – | ১ (১৯৯৮) | ১ (২০০৩) | ২ |
উরুগুয়ে | – | – | ১ (২০০৬) | – | ১ |
ভেনেজুয়েলা | – | – | ১ (১৯৯১) | – | ১ |
প্যারাগুয়ে | – | – | – | ২ (২০০৬, ২০২২) | ২ |
সাধারণ পরিসংখ্যান
অবস্থান | দল | অংশগ্রহণ | খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | পক্ষে গোল | বিপক্ষে গোল | গোল পার্থক্য | পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ব্রাজিল | ৯ | ৫০ | ৪৭ | ১ | ২ | ২৬৮ | ১৮ | +২৫০ | ১৪২ |
২ | আর্জেন্টিনা | ৮ | ৫০ | ৩০ | ৫ | ১৫ | ১২০ | ৬৪ | +৫৬ | ৯৫ |
৩ | কলম্বিয়া | ৭ | ৪০ | ২২ | ৭ | ১১ | ৮৯ | ৬৫ | +২৪ | ৭৩ |
৪ | চিলি | ৯ | ৩৯ | ১৪ | ৭ | ১৮ | ৬৯ | ৭৭ | −৮ | ৪৯ |
৫ | প্যারাগুয়ে | ৭ | ৩১ | ১৫ | ২ | ১৪ | ৬১ | ৬৪ | −৩ | ৪৭ |
৬ | ইকুয়েডর | ৮ | ৩৫ | ১২ | ৫ | ১৮ | ৫৭ | ৮৭ | −৩০ | ৪১ |
৭ | ভেনেজুয়েলা | ৮ | ২৯ | ৭ | ৩ | ১৯ | ২৮ | ৮৫ | −৫৭ | ২৪ |
৮ | পেরু | ৭ | ৩১ | ৬ | ৫ | ২০ | ২৩ | ৭৮ | −৫৫ | ২৩ |
৯ | উরুগুয়ে | ৭ | ২৯ | ৬ | ৩ | ২০ | ২৯ | ৮৩ | −৫৪ | ২১ |
১০ | বলিভিয়া | ৮ | ৩০ | ৩ | ২ | ২৫ | ২৭ | ১৫০ | −১২৩ | ১১ |
অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ
- লিজেন্ড
- ১ম – চ্যাম্পিয়ন
- ২য় – রানার্স আপ
- ৩য় – তৃতীয় স্থান
- ৪র্থ – চতুর্থ স্থান
- ৫ম – পঞ্চম স্থান
- ৬ষ্ট – ষষ্ঠ স্থান
- গ্রুপ – গ্রুপ পর্যায়
- Q – যোগ্যতা লাভ করেছে
- — আয়োজক
দল | ১৯৯১ (৩) |
১৯৯৫ (৫) |
১৯৯৮ (১০) |
২০০৩ (১০) |
২০০৬ (১০) |
২০১০ (১০) |
২০১৪ (১০) |
২০১৮ (১০) |
২০২২ (১০) |
মোট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আর্জেন্টিনা | — | ২য় | ২য় | ২য় | ১ম | ৪র্থ | ৪র্থ | ৩য় | ৩য় | ৮ |
বলিভিয়া | — | ৫ম | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৮ |
ব্রাজিল | ১ম | ১ম | ১ম | ১ম | ২য় | ১ম | ১ম | ১ম | ১ম | ৯ |
চিলি | ২য় | ৩য় | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৩য় | গ্রুপ | ২য় | ৫ম [3] | ৯ |
কলম্বিয়া | — | — | গ্রুপ | ৩য় | গ্রুপ | ২য় | ২য় | ৪র্থ | ২য় | ৭ |
ইকুয়েডর | — | ৪র্থ | ৪র্থ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৩য় | গ্রুপ | গ্রুপ | ৮ |
প্যারাগুয়ে | — | — | গ্রুপ | গ্রুপ | ৪র্থ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৪র্থ [3] | ৭ |
পেরু | — | — | ৩য় | ৪র্থ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৭ |
উরুগুয়ে | — | — | গ্রুপ | গ্রুপ | ৩য় | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৭ |
ভেনেজুয়েলা | ৩য় | — | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৬ষ্ঠ | ৮ |
সর্বোচ্চ গোলদাতা
বছর | খেলোয়াড় | দল | গোল | ম্যাচ |
---|---|---|---|---|
১৯৯১ | অ্যাড্রিয়ানা | ব্রাজিল | ৪ | ২ |
১৯৯৫ | সিসি | ব্রাজিল | ১২ | ৪ |
১৯৯৮ | রোসেলি | ব্রাজিল | ১৬ | ৬ |
২০০৩ | মেরিসোল মেডিনা | আর্জেন্টিনা | ৭ | ৫ |
২০০৬ | ক্রিস্টিয়ানে | ব্রাজিল | ১২ | ৭ |
২০১০ | মার্তা | ব্রাজিল | ৯ | ৭ |
২০১৪ | ক্রিস্টিয়ানে | ব্রাজিল | ৬ | ৭ |
২০১৮ | কাতালিনা উসমে | কলম্বিয়া | ৯ | ৭ |
২০২২ | ইয়ামিলা রদ্রিগেজ | আর্জেন্টিনা | ৬ | ৬ |
তথ্যসূত্র
- "From the ashes: South American women rise again for the Copa América Femenina"। ২৬ মার্চ ২০১৮।
- "Alejandro Domínguez: "En CONMEBOL y en el mundo el futuro tiene que ser del fútbol femenino"" [Alejandro Domínguez: "In CONMEBOL and in the world the future has to be women's football"]। CONMEBOL (স্পেনীয় ভাষায়)। ১৭ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০২০।
- আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফ খেলবে