মহামায়া ইউনিয়ন

ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪৩ সালে ফেনী জেলার অধীনে বর্তমান ছাগলনাইয়া উপজেলা সংলগ্নে মহামায়া ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলাহত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান মহকুমা জুরি বোর্ড এর সদস্য : আবদুল গনি চৌধুরী প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মনোনীত হন এবং তিনিই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।[1]

মহামায়া ইউনিয়নের নাম নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে, পুর্বে ঘোপাল ইউনিয়ন এর অধিকাংশ গ্রামে হিন্দুদের আধিপত্য ছিল। মহামায়ায় তখন পাল রাজাদের আধিপত্য ছিল। তাদেরই কারো নাম অনুসারে অত্র ইউনিয়নের নাম প্রস্তাব করা হয় এবং পরবর্তীতে ঐ নাম অনুসারে মহামায়া ইউনিয়নের নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারনা করা হয় ।[1]

এ ইউনিয়নের আয়তন ১৪বর্গ কিঃ মিঃ।[1]

মোট জনসংখ্যা ৪৭৮২৩, যেখানে নারী ২৯৯৪৯ এবং পুরুষ ১৭৮৭৪ জন।[1]

ছাগলনাইয়া উপজেলার সর্ব-উত্তরে মহামায়া ইউনিয়নের অবস্থান। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে ছাগলনাইয়া পৌরসভা, পশ্চিমে পাঠাননগর ইউনিয়ন ও ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়ন, উত্তরে ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়ন এবং পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।

মহামায়া ইউনিয়ন ছাগলনাইয়া উপজেলার আওতাধীন ৫নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম ছাগলনাইয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৬৫নং নির্বাচনী এলাকা ফেনী-১ এর অংশ। মহামায়া ইউনিয়নে ৫ টি মৌজা কে ০৮ টি গ্রামে বিভক্ত করে ৯ টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে।

মহামায়া ইউনিয়নে শিক্ষার হার শতকরা ৬৪ ভাগ।[1]

• ক্যাপ্টেন লিক সড়ক (ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক)

ছাগলনাইয়া উপজেলা হতে ৫.২৫ কি.মি. উত্তরে এবং ফেনী সদর হতে ১৯ কি.মি. পূর্ব-উত্তরে।

• চাঁদগাজী বাজার
• মনুরহাট
• বক্তারহাট

• চাঁদগাজী ভূইয়া মসজিদ
• আলহাজ্ব আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শহিদ মিনার

চাঁদগাজী ভূঁইয়া মসজিদ

• ছাগলনাইয়া উপজেলা
• ছাগলনাইয়া থানা
• ফেনী জেলা