মহসিন ফান্ড

মহসিন ফান্ড হল উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে হাজী মুহাম্মদ মহসিন দ্বারা প্রবর্তিত একটি তহবিল।[1][2] এটি ১৮০৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে প্রবর্তিত হয়।[2] মুহম্মদ মুহসিন ১৮০৬ সালের ২০ এপ্রিলে হুগলিতে অছিয়তনামা রেজিস্ট্রি করেন, এই অছিয়তে তিনি এইসমস্ত অর্থ মুসলিম শিক্ষা ও সমাজসেবারের বলে যান। সেই সময়ে দ্য মহসিন এনডাউমেন্ট নামক ফান্ডে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা জমা ছিলো। ১৮১০ সালে দ্য বোর্ড অব রেভিনিউ ট্রাস্টের একজন সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৮১২ সালে মুহম্মদ মুহসিনের মৃত্যুর পরে ১৮১৭ সালে তৎকালীন গভর্নমেন্ট অব বেঙ্গল মুহসিন ফান্ডের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করে।[1]

মহসীন ফান্ড
প্রতিষ্ঠিত১৮০৬ (1806)
প্রতিষ্ঠাতামুহাম্মদ মহসিন
ধরনদানপত্র
আইনি অবস্থাসক্রিয়
উদ্দেশ্যজনসেবামূলক কার্যক্রম

ইতিহাস

মহসীন সৈয়দপুরের জমিদার ছিলেন। তার জমিদারি বিস্তৃত ছিল যশোরখুলনা জেলায়। বোন মন্নুজান খানম-এর সন্তান না থাকায়, বোনের মৃত্যুর পর তিনি উত্তরাধিকারী হিসেবে বোনের জমিদারি অর্জন করেন। তিনি ১৭৬৯-১৭৭০ সালের দুর্ভিক্ষে অনেকগুলো লঙ্গরখানা স্থাপন করেন ও সরকার এর দুর্ভিক্ষ তহবিলে দানও করেন।

তার নিজের বা বোনের পক্ষের কোনো উত্তরাধিকারী না থাকার কারণে মহসীন একটি দানপত্র তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জমিদারির সম্পূর্ণ আয় দানপত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

১৮১২ সালে মহসীন মৃত্যুবরণ করলে দানপত্রের ব্যবস্থাপনার মান এত নিম্নমুখী হয় যে, অনেক বছরের জমিদারির খাজনা বাকি পড়তে থাকে ও সম্পত্তি নিয়ে কলহবিবাদ এবং লুটপাটের কারণে জমিদারি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যারা রক্ষণাবেক্ষণ করত তারা স্থায়ী ইজারার দিয়ে জমিদারি নিজেদের নামে নিয়ে নেয়। পরে পরিবারের একজনই মামলা করেন রক্ষণাবেক্ষণকারীদের বিরুদ্ধে, এর ফলে সরকার এই দানপত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। প্রায় ৩০ বছর সরকারকর্তৃক দানপত্র পরিচালিত হওয়ায় মহসীন ফান্ডের উদ্বৃত্ত আয় দাঁড়ায় দশ লক্ষ টাকারও বেশি। মহসীন ফান্ডের টাকায় ১৮৩৬ সালে হুগলি মহসীন কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর আগে এই ফান্ডের টাকায় ১৮১৭ সালে হুগলি মাদ্রাসা স্থাপিত হয়েছিল।[1]

তথ্যসূত্র

  1. "মুসলমানদের শিক্ষায় হাজি মুহাম্মদ মহসিনের অবদান"জাগো নিউজ। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
  2. ডেস্ক, যুগান্তর (৩ জানুয়ারি ২০১৯)। "শুভ জন্মদিন দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন"দৈনিক যুগান্তর। ২৮ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২১

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.