মরিস ফস্টার
মরিস লিন্টন চার্চিল ফস্টার (ইংরেজি: Maurice Foster; জন্ম: ৯ মে, ১৯৪৩) জ্যামাইকার সেন্ট মেরি এলাকার রিট্রিটে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মরিস লিন্টন চার্চিল ফস্টার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | রিট্রিট, সেন্ট মেরি, জ্যামাইকা | ৯ মে ১৯৪৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৩০) | ১২ জুন ১৯৬৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৮ এপ্রিল ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২) | ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৩ – ১৯৭৮ | জ্যামাইকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ নভেম্বর ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ১৯৬৩ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারীসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন মরিস ফস্টার। এছাড়াও, প্রতিভাবান টেবিল-টেনিস খেলোয়াড় হিসেবেও সুনাম ছিল তার।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে শুরু করে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুম পর্যন্ত জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৭২-৭৩ মৌসুম থেকে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অবসর নেয়ার পূর্ব-পর্যন্ত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন মরিস ফস্টার।
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমের শেষ দুই খেলায় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে সেঞ্চুরি হাকানোর ফলে ১৯৬৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে প্রতিপক্ষ ত্রিনিদাদের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ প্রথম-শ্রেণীর রান ২৩৪ সংগ্রহ করেন। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে গায়ানার বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৫/৬৫ দাঁড় করান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৪ টেস্ট ও দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে ফস্টারের। সমারসেটের বিপক্ষে অপরাজিত ৫১ ও অপরাজিত ৮৭ রান তোলার পর ১২ জুন, ১৯৬৯ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। তবে তিনি মাত্র ৪ ও ৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।
এরপর ১৯৭০-৭১ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে খেলার সুযোগ হয় তার। ঐ দুই টেস্টে অপরাজিত ৩৬, অপরাজিত ২৪, ৯৯ ও ১৮ রান তুলেন তিনি। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম তিন টেস্টে ২৩.২৫ গড়ে মাত্র ৯৩ রান তুলতে পেরেছেন। তবে, ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। কিংস্টনে নিজ মাঠে ১২৫ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে রোহন কানহাইয়ের সাথে ২১০ রান তুলেন। পাঁচ টেস্টের ঐ সিরিজের চার টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৭৩ সালে দ্বিতীয়বারের মতো দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলোয় ৬৩.৬৯ গড়ে ৮২৮ রান তুললেও লর্ডসে সিরিজের একমাত্র টেস্টে মাত্র ৯ রান তুলেন। তাস্বত্ত্বেও দল ইনিংস ব্যবধানে জয় পায় যা ১৪ টেস্টে অংশ নিয়ে একমাত্র বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। এরপর পরবর্তী প্রজন্মের উদীয়মান ব্যাটসম্যানের আবির্ভাবে তার অংশগ্রহণ বেশ স্তিমিত হয়ে পড়ে। বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটকে ঘিরে ক্যারি প্যাকারের সাথে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের চুক্তিবদ্ধতার কারণে দলের পক্ষে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজস্ব সর্বশেষ টেস্ট ও প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতে, স্ত্রীর কারণে সংসার ও ভারত সফরের যে-কোনটি বেছে নেয়ার কথা বলা হয়। তিনি সংসারকে বেছে নেন যার ফলে ফস্টারের খেলোয়াড়ী জীবন বেশ বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।,[1]
অমায়িক চিত্তের অধিকারী মরিস ফস্টার চমৎকার টেবিল-টেনিস খেলোয়াড় হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেন। একসময় তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাম্পিয়নধারী ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেবিল-টেনিস চ্যাম্পিয়নধারী জয় ফস্টার ও প্রয়াত ডেভ ফস্টার তার ভাই ছিলেন।
তথ্যসূত্র
- Sky Sports (8 April 2012)
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মরিস ফস্টার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে মরিস ফস্টার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)