মন্দ মেয়ের উপাখ্যান
মন্দ মেয়ের উপখ্যান এটি ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত লিখেছেন এবং নির্মাণ করেছেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্রীলেখা মিত্র প্রমুখ।
মন্দ মেয়ের উপখ্যান | |
---|---|
![]() পোষ্টার (ফ্রেঞ্চ) | |
পরিচালক | বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত |
প্রযোজক | আর্য্য ভট্টাচার্য |
রচয়িতা | বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, প্রফুল্ল রায় (ছোট গল্প) |
শ্রেষ্ঠাংশে | ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত |
মুক্তি | ২০০২ |
দৈর্ঘ্য | ৯০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনী সংক্ষেপ
বাঙালি লেখক প্রফুল্ল রায়ের একটি ছোটগল্পের উপর ভিত্তি করে, পরিচালক দাশগুপ্ত চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন। কাহিনীটি এগিয়ে যায় মেয়ে চরিত্র লতিকে ঘিরে যার মা রজনী একজন পতিতা। তিনি গ্রামীণ ভারতের এক পতিতালয়ে কাজ করেন। কিন্তু তিনি চান তার মেয়ে লতি এই নিন্দিত-নিষিদ্ধ জগত থেকে বেরিয়ে যাক। রজনী তার মেয়েকে একজন বয়স্ক পুরুষ, যে কিনা ধনী এবং তার মেয়ের জন্য রক্ষক হবে এমন এক ব্যক্তির কাছে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। ঐদিকে লতি অবশ্য স্কুলে ফিরে পড়াশোনা শেষ করতে চায়। সমকালীন মানুষের চাঁদে যাওয়ার খবর তার ভাবনাকে আন্দোলিত করে।
মানবেতিহাসের যেদিন চন্দ্রজয়ের কথা সেদিন লতির মাস্টার ঐ গ্রাম থেকে কলকাতায় বদলি হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। স্পষ্টত, এই আধুনিক সভ্যতা বিচ্ছিন্ন গ্রামে লতিকে নিয়ে মাস্টারের কলকাতা যাত্রা হয়ে ওঠে ক্ষুদ্র সমাজের নতুন গ্রহে অভিযাত্রা। এই নতুন জগতের আবিষ্কারকে মুক্তির অন্যান্য গল্পের সমান্তরালভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যেমন তিনটি তরুণ পতিতার গল্প, একজন বয়স্ক দম্পতির কোথাও যাওয়া এবং চাঁদে মানুষের অবতরণ। পরিচালকের একটি পরাবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গিতে, একটি বোকাসোকা বিড়াল এবং একটি বুদ্ধিমান গাধাও ছবিতে উপস্থিত রয়েছে।
শ্রেষ্ঠাংশে
- ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত - রজনী
- সমতা দাস - লতি
- তাপস পাল - গণেশ
- অর্পণ বাসার - শিবু
- রাম গোপাল বাজাজ - নতবর পলধি
- শ্রীলেখা মিত্র - আয়শা
কুশলী
- পরিচালক - বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত
- স্ক্রিন প্লে - বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত
- প্রযোজক - আর্য্য ভট্টাচার্য
- সঙ্গীত - বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত
- সিনেমাটোগ্রাফি - ভেন্যু
- সম্পাদনা - রবিরঞ্জন মৈত্র
- আর্ট - কৌশিক সরকার
প্রকাশ
দেশ | তারিখ | উৎসব |
কানাডা | ৭ সেপ্টেম্বর ২০০২ | (টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব) |
ব্রাজিল | ২৫ অক্টোবর ২০০২ | (মোস্তা বি আরডি সাও পাউলো) |
দক্ষিণ কোরিয়া | ১৮ নভেম্বর ২০০২ | (পুশান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব) |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১৪ জানুয়ারি ২০০৩ | (পাম স্প্রিংস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব) |
ডেনমার্ক | ৩১ মার্চ ২০০৩ | (নাটফিল্ম উৎসব) |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৪ এপ্রিল ২০০৩ | (ফিলাডেলফিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব) |
ফ্রান্স | ১৭ মে ২০০৩ | (কান চলচ্চিত্র উৎসব) |
যুক্তরাজ্য | ১৫ জুন ২০০৩ | (কমনওয়েলথ চলচ্চিত্র উৎসব) |
রাশিয়া | ২৬ জুন ২০০৩ | (মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব) |
চেক প্রজাতন্ত্র | ০৯ জুলাই ২০০৩ | (কার্লোভি ভ্যারি চলচ্চিত্র উৎসব) |
অস্ট্রেলিয়া | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৩ | |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ২২ অক্টোবর ২০০৪ | (মিলওয়াকি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব) |
ফ্রান্স | ১৭ নভেম্বর ২০০৪ | |
পোল্যান্ড | ২৪ জুলাই ২০০৫ | (এরা নিউ হরিজন চলচ্চিত্র উৎসব) |
পুরস্কার ও মনোনয়ন
- ২০০৩ - আনন্দলোক পুরস্কার - শ্রেষ্ঠ পরিচালক - বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত[1]
- ২০০৩ - শ্রেষ্ঠ এশিয়ান চলচ্চিত্র পুরস্কার - বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত
- ২০০৩ - শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার - Arya Bhattacharya (প্রযোজক), বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত (পরিচালক)[2]
তথ্যসূত্র
- "Mando Meyer Upakshan(2003) Movie Awards"। www.gomolo.in। ২০১১-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-২৯।
- "Mondo Meyer Upakhyan (2002) - Awards"। www.imdb.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-২৯।