মনিরুজ্জামান (গবেষক)

মনিরুজ্জামান (জন্ম: ১৫ ফ্রেরুয়ারি ১৯৪০) বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ, লেখক এবং ভাষাবিজ্ঞানী। প্রবন্ধ সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি তারিখে ২০১৫ সালের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[1] ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেন।[2] ‘দ্রাবিড়িয়ান লিঙ্গুইস্টিক অ্যাসোসিয়েশান’, ‘লিঙ্গুইস্টিক সোসাইটি অভ ইন্ডিয়া, ‘ফিলোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশান অভ গ্রেট ব্রিটেনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘের আজীবন সদস্য তিনি। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের SOAS কেন্দ্রের ফেলাে।[3]

অধ্যাপক ড.

মনিরুজ্জামান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমনিরুজ্জামান খন্দকার
১৫ ফ্রেরুয়ারি ১৯৪০
ঝিনাইদহ, চব্বিশ পরগনা জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
জাতীয়তাবাংলাদেশ
বাসস্থানআদিয়াবাদ, রায়পুরা, নরসিংদী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৫)

প্রাথমিক জীবন

মনিরুজ্জামানের জন্ম ১৫ ফ্রেরুয়ারি ১৯৪০ সালে পুলিশ অফিসার বাবার কর্মস্থল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত ঝিনাইদহে। পৈতৃক নিবাস নরসিংদীর রায়পুরার আদিয়াবাদে। তার পিতার নাম মাে. নাদিরুজ্জামান, মাতা মরহুমা মােসাম্মৎ ফরিদান্নেছা।[4][5]

তিনি প্রথমে নৈহাটি, পরে বরানগর, এরপর চব্বিশ পরগনা স্কুল ডায়মন্ড হারবারে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় চলে আসেন পৈতৃক গ্রাম আদিয়াবাদে এসে গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেশিতে ভর্তি হন।[4]

তিনি ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে ভর্তি হয়ে ১৯৬০ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এরপর ভারতের মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের SOAS কেন্দ্রের ফেলাে।[4]

কর্মজীবন

মনিরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান। ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি এবং কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব করেন। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন। তিনি রবীন্দ্র একাডেমির সিনিয়র সহ সভাপতি। তিনি দক্ষিণ ভারতেরঅল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং, মহীশূরের ভিজিটিং লেকচারার ছিলেন কিছুদিন।[4][5]

লেখক

ভাষা , সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে তার ৩৫টির মতো বই ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে:

  • ভাষা ও সাহিত্য সাধনা
  • উপভাষা চর্চার ভূমিকা
  • নিম পাতার তৈ তৈ
  • দোল দোল দোলনী
  • বর্ণে বর্ণে নজরুল
  • মনিরুজ্জামান শিশুসমগ্র
  • ভাষা সমস্যা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
  • নুরজাহান ও শাহজাহান
  • পুরুষ পরম্পরা
  • বাংলাদেশ ও লোকসংস্কৃতি সন্ধান
  • ভাষাতত্ত্ব অনুশীলন
  • নবাব ফয়জুন্নেসা

গ্রন্থ

মনিরুজ্জামানের ভাষা, সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে ৩৫টি বই ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:[4]

  • ‘ভাষা ও সাহিত্য সাধনা‘
  • ‘উপভাষা চর্চার ভূমিকা’, (বাংলা একাডেমি, ১৯৯৪)
  • ‘নিম পাতা তৈ তৈ’, (শিশু একাডেমি)
  • দোল দোল দোলনী,
  • বর্ণে বর্ণে নজরুল,
  • মনিরুজ্জামানের শিশু-সমগ্র

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

  1. "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২
  2. "একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান"জাগো নিউজ.কম। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  3. "বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিলেন ১১ জন"দৈনিক ইত্তেফাক। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২
  4. "বহুমাত্রিক ড. মনিরুজ্জামান : তার ভাষাকেন্দ্রিক ভাবনাগুচ্ছ"দৈনিক পূর্বদেশ। ২৫ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২
  5. "ড. মনিরুজ্জামান"arts.bdnews24.com। ২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.