মতিঝিল
মতিঝিল ঢাকা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। এটি ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
এখানে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক সহ বহু প্রতিষ্ঠানের মূল কার্যালয়। এখানে পাঁচটি ওয়ার্ড ও ৩৫ টি মহল্লা রয়েছে। মতিঝিল বাংলাদেশের একটি থানা (প্রশাসনিক বিভাগ)। এটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে (জেনারেল পোস্ট অফিসটি জিরো পয়েন্ট হিসাবে বিবেচিত)। মতিঝিল ঢাকা শহরের প্রধান ব্যবসায়িক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র ।শহরের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি অফিস এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এটি দেশের বৃহত্তম সংখ্যক কর্পোরেট সদর দফতরের আবাস। অনেক সংবাদ, ম্যাগাজিন, মুদ্রণ এবং অন্যান্য মিডিয়া প্রকাশক এখানে ভিত্তি করে। মতিঝিল প্রধান স্টেশন কমলাপুর রেলস্টেশনের নিকটে। মেগাসিটির অন্যতম আকাশচুম্বী অন্চল। এটি কেন্দ্রীয় ব্যবসায় জেলা। সিটি সেন্টার বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন এই অঞ্চলে রয়েছে।
ইতিহাস
মোগল সাম্রাজ্যের সময়কাল হতেই মতিঝিল এলাকার নাম শোনা যায়। এই এলাকাটি সেই সময় মির্জা মোহাম্মদের মহল হিসাবে গন্য হতো, যার মধ্যে ছিলো একটি পুকুর। শুরুতে সুকাকু মহলের পুকুর হিসাবে খ্যাত হলেও পরে এই পুকুরটি মতিঝিল নামে পরিচিত হয়ে উঠে, এবং এর নামানুসারেই এলাকাটির নামকরণ করা হয়।
পরবর্তীতে এই এলাকা ঢাকার নবাব পরিবারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়। নবাব আবদুল গনির সময়ে এখানে বাগান স্থাপন করা হয়। এই এলাকাতে নবাব পরিবারের বাগানবাড়িও নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের সরকারের জন্য গভর্নর ভবন নির্মানের নিমিত্তে ব্রিটিশ সরকার নবাব সলিমুল্লাহের কাছ থেকে এই এলাকাটি অধিগ্রহণ করে। [1]
আয়তন
মতিঝিল এলাকার আয়তন হচ্ছে ৪.৬৯ বর্গ কিলোমিটার। এ থানাটির দক্ষিণে খিলগাঁও থানা ও পশ্চিমে রমনা মডেল থানা অবস্থিত।
জনসংখ্যা
মতিঝিল এলাকায় বতর্মানে ২২৩৬৭৬ জন লোক বসবাস করছে। যাদের মধ্যে ৫৯.৪৫ শতাংশ পুরুষ ও ৪০.৫৫ শতাংশ জন নারী।
ভাষা
মতিঝিলের ৯৮% লোক বাংলা ভাষাতে কথা বলে। এছাড়া এখানে ২% লোক অন্যান্য ভাষায় কথা বলে।
তথ্যসূত্র
- মুনতাসীর মামুন, "ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী", ৩য় সংস্করণ, ৪র্থ মূদ্রণ, জানুয়ারি ২০০৪, অনন্যা প্রকাশনালয়, ঢাকা, পৃষ্ঠা ১৩১, আইএসবিএন ৯৮৪-৪১২-১০৪-৩।
- উইকিভ্রমণ থেকে Central Dhaka ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।