মঙ্গা
মঙ্গা একটি বাংলা শব্দ যেটি বাংলাদেশের বাত্সরিক দারিদ্র্য ও ক্ষুধার অবস্থাকে নির্দেশ করে। একে "মরা কার্তিক" নামেও ডাকা হয়, যার মানে "মৃত্যু এবং দুর্যোগের মাস"[1] । এটি বছরের দুটি সময়কে নির্দেশ করে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর (আমন ফসল রোপণ করার পরে) এবং থেকে মার্চ–এপ্রিল (বোরো ফসল রোপণ করার পরে).[2] এইসব প্রাকৃতিক ঘটনা গ্রামীণ শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমিয়ে ফেলে এবং ফলশ্রুতিতে শ্রমিকদের শহরের দিকে অভিবাসী হতে বাধ্য করে। যারা অভিবাসী হতে পারে না, তারা অপুষ্টি এবং অনাহারে পতিত হতে পারেন। [1] ২০০০ এর দিকে প্রচার মধ্যমে মঙ্গা বিষয়ের উপর প্রচুর আলোকপাতের ফলে এ বিষয়ে জনগনের সচেতনতা অনেক বেড়েছে। মঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের অনেক এনজিও কাজ করছে। [3] বাংলাদেশের মঙ্গা প্রভাবিত জেলাগুলো হচ্ছে নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা।[4]
ঝুঁকি ও দুর্বলতা
Overseas Development Institute মঙ্গার ঝুকি হিসাবে কিছু কারণ খুজে বের করেছেঃ[5]
- বাহ্যিক ধাক্কা (যেমন একটি ভূমিকম্প বা আর্থিক সংকট)
- চাপ – পারিবারিক জীবন-চক্রের অনুমেয় ঘটনা (যেমন বৃদ্ধ বয়স অথবা বিয়ে)
- স্বকীয়
- covariate (বৃহৎ এলাকা দ্বারা প্রভাবিত এক ঘটনাটি যেমন খরা)
- তীব্র ঘটনা (যেমন, মহামারী)
- দীর্ঘস্থায়ী (যেমন, ক্ষয়, সম্পদ উৎপাদনশীলতা অধীনে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ)
মঙ্গার দুর্বলতা নিচের কারণগুলোর একটি জটিল সংমিশ্রণ:[5]
- প্রাকৃতিক: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় এর মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকার কারণে
- অর্থনৈতিক: ঋণগ্রস্ততা এবং নিম্ন বা অনির্ভরযোগ্য আয় দ্বারা সৃষ্ট কারণে
- সামাজিক: লিঙ্গ বৈষম্য অভাব এবং সামাজিক পুঁজি এবং/অথবা নেটওয়ার্ক এর অভাবে
তথ্যসূত্র
- Muhammad, Anu (২০০৬-১২-০৪)। "Monga, Micro credit And The Nobel Prize"। Countercurrents.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-৩১।
- "BANGLADESH: Initiatives to tackle monga"। UN Office for the Coordination of Humanitarian Affairs। ২০০৮-১০-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-৩১।
- ।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)|title=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - Understanding the Monga in Northwest Bangladesh: Household Perceptions and Perceptual Connotations, ২০১৪
- Rebecca Holmes, John Farrington, Taifur Rahman and Rachel Slater (2008) Extreme poverty in Bangladesh: Protecting and promoting rural livelihoods ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ মার্চ ২০১০ তারিখে London: Overseas Development Institute