ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯

ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ বাংলাদেশের ভোটার তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত প্রচলিত আইনের সংশোধন ও আধুনিকীকরণকল্পে প্রণীত একটি আইন। এটি ২০০৯ সালে প্রণয়ন করা হয়।[1]

ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯
(২০০৯ সনের ৬ নং আইন)
জাতীয় সংসদ
সূত্রbdlaws.minlaw.gov.bd
কার্যকারী এলাকাবাংলাদেশ
প্রণয়নকারীজাতীয় সংসদ
প্রণয়নকাল২০০৯ (2009)
অবস্থা: বলবৎ

ইতিহাস

ভোটার তালিকা আইনটি প্রণয়নের পূর্বে ভোটার তালিকা অধ্যাদেশ ১৯৮২ (১৯৮২ সালের ৬১ নং অধ্যাদেশ) অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হতো। এই অধ্যাদেশের ভিত্তিতে ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এভাবে তৈরিকৃত ভোটার তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৯,০১,৩০,০০০ জন। একইভাবে তৈরি ২০০১ সালের ভোটার তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭,০৪,৬০,০০০ জন। ভোটার সংখ্যার এই পার্থক্য তৎকালীন জনসংখ্যার সাথে সংগতিপূর্ণ ছিল না। এর ফলে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও প্রতিবছর এই তালিকা হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়। একইসময়ে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ভোটারদের ছবি সংরক্ষণ করার প্রস্তাবও আসে। এই লক্ষ্যে ছবিসহ ভোটার শনাক্তকরণ কার্ড তথা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রথা চালু করার প্রয়োজন দেখা দেয়। পরবর্তীতে সরকার এই সম্পর্কিত একটি অধ্যাদেশ (অধ্যাদেশ নং ১৮, ২০০৭) জারী করে। পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটারে ধারণকৃত ছবিসহ তথ্যভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এ অধ্যাদেশটি বাতিল করে জাতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে বিদ্যমান ভোটার তালিকা আইন সংশোধন ও আধুনিকীকরণের আইন হিসেবে এটিকে আখ্যায়িত করা হয় এবং সর্বসাধারণের অবগতির জন্য ২০০৯ সালের ২৪ জানুয়ারি আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে, ২০০৭ সালের ভোটার তালিকা আইন বাতিল করা ছাড়াও ১৯৮২ সালে প্রকাশিত একইরকম একটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। তবে উক্ত আইন দুটির মাধ্যমে করা কার্যক্রমগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়নি।[2]

ধারা

আইনের ২৩টি ধারা রয়েছে:[3]

  • সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
  • আইনের প্রাধান্য
  • সংজ্ঞা
  • কমিশনকে সহায়তা প্রদান
  • ভোটার তালিকা প্রণয়ন
  • রেজিষ্ট্রেশন অফিসার, ইত্যাদি নিয়োগ
  • ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ
  • অধিবাসী অর্থ
  • তালিকাভুক্তির উপর বাধা নিষেধ
  • ভোটার তালিকা সংশোধন
  • ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ
  • বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য ব্যবহারের সুযোগ
  • ভোটার তালিকা হইতে নাম কর্তন
  • ভোটার তালিকার বৈধতা, ইত্যাদি
  • কমিশনের ভোটার তালিকায় কোন নাম অন্তর্ভুক্তকরণ বা উহা বিলোপন, ইত্যাদি ক্ষমতা
  • বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
  • আদালতের এখতিয়ার
  • মিথ্যা ঘোষণা দেওয়া
  • প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধ
  • ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ইত্যাদি সম্পর্কে দায়িত্বে অবহেলা
  • কমিশনের বিশেষ ক্ষমতা
  • Ordinance No. LXI of 1982, এর রহিতকরণ ও হেফাজত
  • রহিতকরণ ও হেফাজত

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-1005.html?lang=bn
  2. "ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org
  3. http://www.ecs.gov.bd/page/voter-list-law
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.