ভেড়ামারা উপজেলা

ভেড়ামারা উপজেলা কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

ভেড়ামারা
উপজেলা
ভেড়ামারা
ভেড়ামারা খুলনা বিভাগ-এ অবস্থিত
ভেড়ামারা
ভেড়ামারা
ভেড়ামারা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ভেড়ামারা
ভেড়ামারা
বাংলাদেশে ভেড়ামারা উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°০′৫৮″ উত্তর ৮৮°৫৯′৩৫″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাকুষ্টিয়া জেলা
জাতীয় সংসদ আসনবাংলাদেশ-৭৬,কুষ্টিয়া-২
সরকার
  সংসদ সদস্যহাসানুল হক ইনু (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ))
আয়তন
  মোট১৫৩.৭২ বর্গকিমি (৫৯.৩৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,৪৫,৪৮০
  জনঘনত্ব১,৬০০/বর্গকিমি (৪,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৬১%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৭০৪০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৫০ ১৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

ভেড়ামারা উপজেলার উত্তরে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলা, দক্ষিণে মিরপুর উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা, পশ্চিমে দৌলতপুর উপজেলা। ভেড়ামারা ২৪.০১৬৭° উত্তর ও ৮৮.৯৯১৭° পূর্বে অবস্থিত ও আয়তন ১৫৩.৭২ বর্গকিলোমিটার।

ইতিহাস

নামকরণ

ভেড়ামারার নামকরণ নিয়ে তেমন কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে লোকমুখে প্রচলিত আছে অতীতে ভেড়ামারায় প্রচুর ভেড়া পালন করা হত।

মুক্তিযুদ্ধে

ভৌগোলিক উপাত্ত

ভেড়ামারা।
ভূপ্রকৃতি
মৃত্তিকা

অত্র উপজেলার মৃত্তিকা স্তরে নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বালি পাতলা ও মোটা মিশানো পলি, কাঁদা, নূড়িও কাঁকড় মিশানো দো’আঁশ মাটি, আর মাত্র কয়েক জায়গায় রয়েছে এঁটেল মাটির প্রলেপ। অত্র উপজেলার মাটি প্রকৃতিগত ভাবে অত্যন্ত উর্বর এবং ফসল উপযোগী।

নদ-নদী

পদ্মা নদী ভেড়ামারা উপজেলার সীমানার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে। ভেড়ামারা উপজেলায় ২টি নদী আছে; এগুলো হচ্ছেঃ [/wiki//wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE_%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80?iorg_domain_internal=bn.m.wikipedia.org%3BAfo75PVy-QTkYeJE পদ্মা নদী] ও [/wiki//wiki/%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%9D%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BE_%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%80?iorg_domain_internal=bn.m.wikipedia.org%3BAfo75PVy-QTkYeJE হিশনা-ঝাঞ্চা নদী]।[2][3] মূল্যবান বালি এবং পদ্মা নদীর মাছ গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।

সাংষ্কৃতিক বৈশিষ্ঠ্য

ভাষা
উৎসব
খেলাধুলা

প্রশাসনিক এলাকা

৫৯টি মৌজা ও ৭৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত ভেড়ামারাতে ৬টি ইউনিয়ন রয়েছে; এগুলো হলোঃ

  • ইউনিয়নঃ

চাঁদগ্রাম, জুনিয়াদহ,ধরমপুর, বাহিরচর, বাহাদুরপুর এবং মোকারিমপুর।

জনসংখ্যার উপাত্ত

ভেড়ামারা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৮০ জন; এর মধ্যে পুরুষ রয়েছে ৯০ হাজার ৭০০ জন এবং মহিলা রয়েছে ৮৪ হাজার ৭৮০ জন॥

ধর্ম

শিক্ষা

শিক্ষায় ভেড়ামারা কুষ্টিয়ার অন্যান্য উপজেলা থেকে যথেষ্ট এগিয়ে। একানে আছে প্রায় ৫০ টি প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্টেন বিদ্যালয়। ভেড়ামারায় আছে কুষ্টিয়ার অন্যতম সেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেড়ামারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৮ সালে। এছাড়াও আছে ভেড়ামারা পাইলট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়,হালিমা বেগম একাডেমি,তাহের মাধ্যমিক বিদ্যালয়,হাজি আফসার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়,বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পি ডি বি স্কুল সহ আরও কয়েকটা ভালো মানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কলেজ গুলোর মধ্যে আছে ভেড়ামারা সরকারি কলেজ,ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজ,আদর্শ ডিগ্রি কলেজ,বি জি এম কলেজ। গত কয়েক বছর ধরে ভেড়ামারা কলেজ এর শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষায় কৃতিত্বমুলক সাফল্য দেখাচ্ছে। ভেড়ামারা উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ও এই ভেড়ামারা কলেজ। . ভেড়ামারা পাইলট মডেল উচ্চ স্কুল কুষ্টিয়ার একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কৃষি

এখানে প্রচুর কৃষিজ ফসল উৎপন্ন হয়। প্রধান ফসলের মধ্যে পাট, তামাক, আখ, ধান,গম উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ভূট্টা, মটর, মসুর, মাসকালাই, খেসারি,সরিষা ইত্যাদি ফসলও চাষ করা হয়। তাছাড়া এখানে উল্লেখযোগ্য হারে পান চাষ করা হয়।

অর্থনীতি

ভেড়ামারার অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক।

শিল্প-প্রতিষ্ঠান

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন। ভেড়ামারা উপজেলা সারাদেশের সাথে সড়কপথের মাধ্যমে এবং ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের মাধ্যমে রেলপথ দিয়ে সংযুক্ত।

কৃতি ব্যক্তিত্ব:

সংসদ সদস্য,সাবেক তথ্যমন্ত্রী।

  • মাহবুব আলম হানিফ,

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
লালনশাহ সেতু
  • হার্ডিঞ্জ ব্রীজ
  • লালন শাহ সেতু
  • তিন গম্বুজ মসজিদঃ উপজেলা ধরমপুর ইউনিয়ন ।
  • গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প ( জি-কে প্রকল্প])।
  • ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ
  • ঘোড়েশাহ মাজারঃ
  • সোলেমান শাহ মাজারঃ ভেড়ামারা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ভেড়ামারা-রায়টা রোডের গোলাপনগর বাজার থেকে ১ কিলোমিটার ভেতরে পদ্মা নদীর কোলঘেঁষে অবস্হিত। মাজার কমিটির তথ্যানুযায়ী জানা যায় হযরত সোলাইমান শাহ নামক ইসলাম প্রচারক ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এখানে বাসস্হান গড়েন। তার মৃত্যুর পর অনুসারীরা তার কবরের পাশে মাজার গড়ে তোলেন। প্রতি বছর চৈত্র মাসের ২৮-৩০ তারিখ এখানে ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়। ওরশ মোবারকে আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৫-৬ লক্ষ লোক এখানে আসে বলে মাজার কর্তৃপক্ষ জানান।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার (জুন ২০১৪)। "ভেড়ামারা এক নজরে"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি ও বেসিস। ২৩ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী ২০১৫
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৯০, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১২। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.