ভূরুঙ্গামারী উপজেলা

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

ভূরুঙ্গামারী
উপজেলা
ভূরুঙ্গামারী
ডাকনাম: ভূরুঙ্গামারী
ভূরুঙ্গামারী
ভূরুঙ্গামারী
বাংলাদেশে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৬°৭′২৬″ উত্তর ৮৯°৪১′১৬″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাকুড়িগ্রাম জেলা
প্রতিষ্ঠা১৯১৫ সালে
সংসদীয় আসনকুড়িগ্রাম-১
আয়তন
  মোট২৩১.৭০ বর্গকিমি (৮৯.৪৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট২,৩১,৫৭৪
  জনঘনত্ব১,০০০/বর্গকিমি (২,৬০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৭২.৬(২০১৭)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৬৭০
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৪৯ ০৬
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও আয়তন

ভূরুঙ্গামারী উপজেলাটি কুড়িগ্রাম জেলার উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত।[2] ২৬°২০´ থেকে ২৬°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৬´ থেকে ৮৯°৪৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত। এর আয়তন ২৩১.৭০ বর্গকিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম; দক্ষিণে নাগেশ্বরী উপজেলা, পূর্বে ভারতের আসাম, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ

প্রশাসনিক এলাকা

এটি কুড়িগ্রাম - ১ সংসদীয় এলাকার অধীন; যা নাগেশ্বরী এবং ভূরুঙ্গামারী নিয়ে গঠিত। ভূরুঙ্গামারী উপজেলাতে ১২৮টি গ্রাম, ৭০টি মৌজা, ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

ইতিহাস

মুক্তিযুদ্ধে ভুরুঙ্গামারী

১৪ নভেম্বর ভূরুঙ্গামারী হানাদর মুক্তদিবস।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে এখানকার মোট জনসংখ্যা ২,৩১,৫৭৪ জন; যার পুরুষ ১,১৩,৫০২ জন ও মহিলা ১,১৮,০৩৬ জন। ভোটার সংখ্যা ১,৭৫,৬৬২ জন।

শিক্ষা

  • শিক্ষার হার: ৩৯.০৬% (২০২০)
  • কলেজ: ৫টি (সরকারি কলেজ ১টি)
  • বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৩৪টি
  • বালিকা বিদ্যালয়: ৫টি
  • জুনিয়র হাইস্কুল: ৩ টি
  • ইবতেদায়ী মাদ্রাসা: ১৯টি
  • সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১১২টি
  • বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ১টি
  • কিন্ডারগার্টেন:৩৭ টি

অর্থনীতি

মূলত কৃষি নির্ভর অর্থনীতি। তবে ব্যাবসার দিক থেকেও ভূরুঙ্গামারী এখন বেশ এগিয়ে রয়েছে। দু-একটি করে কারখানা স্থাপন শুরু হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গ সোনাহাটে স্থলবন্দর হওয়াতে ইমপোর্ট ও এক্সপোর্টের ব্যাবসায় বেশ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

ভূরুঙ্গামারীর যোগাযোগ ব্যাবস্থা বেশ ভালো। এখানে বেশিরভাগ রাস্তা গুলো পাকা করা হয়েছে। আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করা বাকি আছে। তবে এখানে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিক্সা, অটোরিক্সা, কার ইত্যাদির মাধ্যমে চলাচল করা হয়। ভূরুঙ্গামারী থেকে বাইরে যাওয়ার জন্য কার, মাইক্রোবাস, বাস, কোচ ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয়।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

দর্শনীয় স্থান

  • পাটেশ্বরী/সোনাহাট ব্রিজ।
  • মীর জুমলা প্রাচীন মসজিদ
  • সোনাহাট স্থলবন্দর ।
  • মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বাড়ি।
  • জয়মনিরহাট জমিদার বাড়ি।
  • জয়মনিরহাট জামে মসজিদ।
  • বাগভান্ডার স্লুইস গেইট।
  • বগনির পাড় জামে মসজিদ।
  • দেওয়ানের খামার জামে মসজিদ।
  • ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ।

বিবিধ

  • মসজিদ: ৩৪১টি
  • মন্দির: ১৪টি
  • গীর্জা: ১টি
  • পাবলিক লাইব্রেরী: ১টি
  • পাঠাগার: ১টি
  • প্রেস ক্লাব: ১টি
  • তফশীল অফিস: ১০টি
  • কমিউনিটি সেন্টার: ৮টি
  • ডাকবাংলো/রেষ্টহাউজ: ১টি
  • এনজিও: ১৪টি
  • সমাজকল্যাণ সংখ্যা: ২৪টি
  • এতিমখানারসংখ্যা: ৯টি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "এক নজরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৪
  2. জেলা উন্নয়ন পরিক্রমা। ২০০১-২০০৫, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য মন্ত্রণালয়, ডিসেম্বর ২০০৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.