ভূপেশ গুপ্ত
ভূপেশ গুপ্ত (ইংরেজি: Bhupesh Gupta) (২০ অক্টোবর, ১৯১৪ - ৬ আগস্ট, ১৯৮১) ছিলেন কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং বিশিষ্ট সাংসদ।[1]
ভূপেশ গুপ্ত | |
---|---|
![]() ভূপেশ গুপ্ত | |
জন্ম | ২০ অক্টোবর, ১৯১৪ |
মৃত্যু | ৬ আগস্ট, ১৯৮১ |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
মাতৃশিক্ষায়তন | স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তি |
রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, |
পিতা-মাতা |
|
বাংলাদেশে সাম্যবাদ |
---|
সিরিজের অংশ |
![]() |
![]() |
ভারতে সাম্যবাদ |
---|
সিরিজের অংশ |
![]() |
|
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)
|
CPI (Marxist-Leninist) Liberation |
|
|
|
|
|
![]() |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
ভূপেশ গুপ্তের জন্ম বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায়।[1] তিনি বিখ্যাত স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।[2]
রাজনৈতিক জীবন
তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বিপ্লবী আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৩০-৩১ সালে বিপ্লবী কার্যকলাপের জন্য ধৃত হয়ে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বন্দিজীবন কাটান। অন্তরীণ অবস্থায় আই.এ. ও বি.এ. পাস করেন। মুক্তি পেয়ে লন্ডনে যান। সেখানে এল.এল.বি. ডিগ্রি পান এবং মিডল টেম্পল থেকে ব্যারিস্টার হয়ে ১৯৪১ সালে ভারতে ফিরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সারাক্ষণের কর্মী হন।[1]
দেশভাগের পরের জীবন
পশ্চিমবঙ্গে পার্টি নিষিদ্ধ হলে ১৯৪৮ সালে আত্মগোপন করে পার্টির কাজ করতে থাকেন। ১৯৫১ সালে গ্রেপ্তার হয়ে দমদম জেলে বন্দি অবস্থায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় পরিষদের ও কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৫৭, ১৯৬০ ও ১৯৬৯ সালে মস্কোতে অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট এন্ড ওয়ার্কার্স পার্টিগুলির আন্তর্জাতিক অধিবেশনগুলির তিনটিতেই যোগ দেন। ১৯৬৬ সাল থেকে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক এবং দৈনিক স্বাধীনতার সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য ছিলেন। বাংলা ও ইংরেজিতে কয়েকটি পুস্তক রচনা করেছেন।[1]
তথ্যসূত্র
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫২৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- Some Alumni of Scottish Church College in 175th Year Commemoration Volume. Scottish Church College, April 2008. page 592