ভূপালচন্দ্র বসু

ভূপালচন্দ্র বসু (ইংরেজি: Vupalchandra Basu) (১৯০২ - ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮১) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি ১৯৩০ সনে ডালহৌসী স্কোয়ার ও কলকাতা বোমা মামলায় তিনি ১৯৩০ সনে ১৫ বছরের দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত হন এবং আন্দামান সেলুলার জেলে প্রেরিত হন। মুক্তির পর প্রথমে ফরওয়ার্ড ব্লক ও পরে সমাজবাদী আন্দোলনে যোগ দেন। কিছুদিন পশ্চিমবঙ্গে সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়, সমাজসেবায় আর্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অকৃতদার ছিলেন।[1]

বিপ্লবী ভূপালচন্দ্র বসু

জন্ম

ভূপালচন্দ্র বসুর জন্ম বাংলাদেশের ঢাকায়অনিল রায়ের সংস্পর্শে এসে ছাত্রাবস্থাতেই তার বিপ্লবী জীবন শুরু হয়। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন।[1]

ডালহৌসী স্কোয়ার বোমা মামলা

২৫ আগস্ট, ১৯৩০ তারিখে অনুজাচরণ সেনদীনেশচন্দ্র মজুমদার অত্যাচারী কুখ্যাত চার্লস টেগার্ট সাহেবের গাড়ীতে বোমা নিক্ষেপ করেন। টেগার্ট বেঁচে যান কিন্তু দীনেশ মজুমদার ধরা পড়েন। অনুজাচরণ ঘটনাস্থলেই মারা যান। বিচারে দীনেশ মজুমদারের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ড হয়। এই উপলক্ষে পুলিস বহু বাড়ি খানাতল্লাশ করে এবং বহু লোককে গ্রেপ্তার করে। এই সম্পর্কে শোভারানি দত্ত, কমলা দাশগুপ্ত, শৈলরাণী দত্ত, ডা. নারায়ণ রায়, ভূপালচন্দ্র বসু, অদ্বৈত দত্ত, অম্বিকা রায়, রসিকলাল দাস, সতীশ ভৌমিক, সুরেন্দ্র দত্ত, রোহিণী অধিকারীসহ অনেকে ধৃত হন। বিচারে নারায়ণ রায় ও ভূপাল বসু ১৫ বছরের দ্বীপান্তর, সুরেন্দ্র দত্ত ১২ বছর, রোহিণী ৫ বছর ও সতীশ ২ বৎসর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন এবং অন্যান্য সকলে মুক্তি পান। তারা সকলেই তরুণ বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন।[2]

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৫৩-৩৫৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮৪।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.