ভুটানে ইসলাম

দক্ষিণ এশিয়ার বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র ভুটানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির সংখ্যা নগণ্য। ভুটান সরকারে রক্ষণশীল মনোভাবের কারণেই মূলত মুসলিমেদর সংখ্যা অতি নগণ্য। স্থানীয়দের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা আরো কম। মূলত ব্যবসায়িক সূত্রে ভারত থেকে ভুটানে যাওয়া মুসলমানরাই সেখানকার মুসলিম জনসংখ্যা। ২০১০ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী ভুটানের প্রায় ১% লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী।[1][2]

২০১০ সালের এক হিসাবানুযায়ী ভুটানের ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় সাত হাজার, যা ২০৩০ সালে ২৯% বেড়ে নয় হাজারে দাঁড়াবে।[3]

মসজিদ ও ইসলামি সংস্থা

বিশ্বের প্রতিটি দেশে মুসলিমদের জন্য মসজিদসংস্থা স্থাপনের অনুমতি থাকলেও ভুটানে কোনো মসজিদ নেই। গ্যারেজ ও বড় বড় দোকানে মুসলিমরা জুমার নামাজ আদায় করেন। প্রকাশ্যে জমায়েত হয়ে নামাজ আদায়েরও অনুমতি নেই। স্থানীয় মুসলিমরা এ ব্যাপারে ভুটানে অবস্থানরত মুসলিম রাষ্ট্রদূতবৃন্দের মাধ্যমে আলোচনা করার চেষ্টা করলেও বিফল হয়ে যান। তাদের ধারণা, ভুটানে মসজিদ নির্মাণের সুযোগ দিলে তা সেন্টারে পরিণত হবে এবং তা ভুটানীদের মাঝে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক অবদান রাখবে এই ভয়ে ভুটান সরকার সেখানে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেন না। তবে দিন দিন মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদ নির্মাণের দাবিটি জোরালো হচ্ছে। মসজিদ নির্মাণে বাধা থাকলেও ভুটানে অগণিত মন্দির ও চার্চ রয়েছে [4]

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.