ভারতে সন্ত্রাসবাদ

'ভারতে সন্ত্রাসবাদ তার সীমান্ত রেখা নিয়ে অনেক অল্পবিস্তর সংঘাতকে মূল উৎস রূপে গণ্য করা যায়।বর্তমানে ভারতে জম্মু ও কাশ্মীর, মুম্বাই, মধ্য ও মধ্য-পূর্ব ভারতের(নকশাল) এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সপ্ত কন্যার রাজ্য অঞ্চলেতে প্রধান উগ্রপন্থী বা সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ হচ্ছে।[1][2] অতীতে, পাঞ্জাবে খালিস্থানী সন্ত্রাস ও রাজধানী দিল্লীর ( শিখ-বিরোধী দাঙ্গা) উগ্রপন্থী বা সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন, অতি-মৌলবাদী সন্ত্রাসবাদী, বামপন্থী সন্ত্রাসবাদী ও তস্কর তথা চোরাচালানকারী সন্ত্রাসবাদী মুলতঃ এই চারপ্রকারে ভারতীয় সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ২০১৩ সালের হিসেবে, দেশের ৬০৮ জেলার মধ্যে ২০৫ জেলায় বিভিন্ন বিদ্রোহ এবং উগ্রপন্থী আন্দোলনের ফলে বিভিন্ন মানুষ পীড়িত ছিল। ২০১২ সালে ভারতে সন্ত্রাসী হামলায় ২৩১ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে যেখানে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট সন্ত্রাসী হামলায় ১১০৯৮জন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। অর্থাৎ বিশ্বের ১৭.৫% জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশে সন্ত্রাসের ফলে মৃতের সংখ্যা সারা বিশ্বে সন্ত্রাসের ফলে মৃতের সংখ্যার ২%। [3]

সন্ত্রাসবাদের সংঙ্গা

ভারত সরকার, সন্ত্রাসবাদের নিম্নলিখিত সংজ্ঞা ব্যবহার করে যা বেশির ভাগ দেশেও ব্যবহৃত হয় এবং যার খসড়া জাতিসংঘ-এ ১৯৮৮ সালে সিমিড ও জঙ্গম্যান (Schmid & Jongman) বানিয়েছিলেন-"সন্ত্রাসবাদ হল এমন এক উদ্বেগ-তারিত হিংস্র বর্বর পন্থা যার উদ্দেশ্য হল ছদ্মগোপনে থেকে ব্যক্তিগত ভাবে, বা দলগত ভাবে বা সন্মিলিত ভাবে কোনো স্বৈরাচারী ব্যক্তির জন্য বা অপরাধীমুলক কা‌‌‍র্যসিদ্ধির জন্য বা রাজনৈতিক কারণের জন্য সরাসরি প্রধান উদ্দেশ্যকে ব্যাতিরেকে হিংসা ছড়ানো। সাধারনতঃ নিজের বা নিজেদের কোনো উদ্দেশ্য প্রকাশের জন্য যথেচ্ছভাবে ( সুযোগবুঝে) বা বেছেবেছে (সাংকেতিক হিষাবে) একটি জনসমূহকে বেছে নেওয়া হয়৷ সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষ থেকে হুমকি, বলপ্রয়োগ বা স্ব-প্রচারের উদ্দেশ্যে ভয় এবং হিংসা-মিশ্রিত এমন এক সংবাদ পাঠানোর চেষ্টা চলে যাতে প্রধান উদ্দেশ্যকে (নাগরিক সমাজ) তাদের(সন্ত্রাসবাদীদের) দাবির প্রতি মনোনিবেশ করে।"[4]

ভারতের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন

ভারতের নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির তালিকা

SATP (South Asian Terror Portal) র ঘোষণা অনুসারে ভারতে প্রায় ১৮০ টির ও বেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সক্রিয় আছে। এদের বেশিরভাগ ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে থেকে সক্রিয়।

তথ্যসূত্র

  1. John Philip Jenkins (সম্পাদক)। "Terrorism"Encyclopædia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০০৬
  2. "Terrorism"The American Heritage Dictionary of the English Language (4th edition সংস্করণ)। Bartleby.com। ২০০০। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০০৬
  3. http://www.state.gov/documents/organization/210288.pdf
  4. Schmid & Jongman (1988), Political terrorism: a new guide to actors, authors, concepts, data bases, theories and, literature; আইএসবিএন ০-৪৪৪-৮৫৬৫৯-৫

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.