ভারতীয় শিল্পকলা

ভারতীয় শিল্পকলা চিত্রকলা, ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প এবং রেশম কাপরের মতো বস্ত্রবয়ন শিল্প সহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প নিয়ে গঠিত। ভৌগলিকভাবে, বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং কখনও কখনও পূর্ব আফগানিস্তান সহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে এর বিস্তার রয়েছে। এই শিল্পকলাতে ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ধর্ম এবং দর্শনের সাথে এক বিশাল ব্যাপ্তি ঘটেছে যা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গে শিল্প সৃষ্টির এবং পৃষ্ঠপোষকতার স্থান রেখেছে। শৈল্পিক নকশার কারুকাজ ভারতীয় শিল্পের একটি বৈশিষ্ট্য এবং এর আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী আকারে লক্ষ্য করা যায়।

খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ বছর পূর্বে ভারতীয় শিল্পের প্রাগৈতিহাসিক বসতি থেকে পাওয়া যায়। আধুনিক সময়ের পথে, ভারতীয় শিল্পের সাংস্কৃতিক প্রভাব রয়েছে, সেইসাথে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ধর্ম এবং ইসলামের মতো ধর্মীয় প্রভাব রয়েছে। ধর্মীয় ঐতিহ্যের এই জটিল সংমিশ্রণ থাকা সত্ত্বেও, প্রধান ধর্মীয় গোষ্ঠীর মাধ্যমে কোন সময় এবং অঞ্চলে প্রচলিত শৈল্পিক শৈলীর বিকাশকে ভাগ করা হয়েছে।

ভারতীয় জলবায়ুতে প্রধানত পাথর ও ধাতুর তৈরি ঐতিহাসিক ধর্মীয় ভাস্কর্য অন্যান্য মাধ্যমের তুলনায় ভালোভাবে টিকে আছে এবং সবচেয়ে ভালো অবশিষ্টাংশ প্রদান করে। ভারতের তুলনায় পার্শবর্তী শুষ্ক অঞ্চল থেকে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন আবিষ্কারগুলি এসেছে, যেগুলো পাথরের মধ্যে খোদায়কৃত নয়। ভারতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং দার্শনিক ঐতিহ্যগুলির কারণে কবর সামগ্রী পাওয়া যায় না, যেগুলো অন্যান্য সংস্কৃতিতে প্রাচীন শিল্প সম্পর্কে ধারণার জন্য প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করেছে।

ভারতীয় শিল্পশৈলী ঐতিহাসিকভাবে উপমহাদেশের বাইরে বিশেষ করে তিব্বত, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং চীনে ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। ভারতীয় শিল্পকলা নিজেও মধ্য এশিয়া এবং ইরান এবং ইউরোপের শিল্পকলার দ্বার প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।

শুরুর দিকের ভারতীয় শিল্প

সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা ( আনু.3300 BC – আনু.1750 BC )

এর বিস্তৃত এবং পরিশীলিততা সত্ত্বেও, সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা অন্য অনেক প্রারম্ভিক সভ্যতার বিপরীতে জনসাধারণের বৃহৎ আকারের শিল্পের প্রতি কোন আগ্রহ দেখায়নি বলে মনে হয়। নাচের ভঙ্গিতে মেয়েদের বেশ কয়েকটি সোনা, পোড়ামাটির এবং পাথরের মূর্তি নৃত্যের কিছু রূপের উপস্থিতি প্রকাশ করে। উপরন্তু, পোড়ামাটির মূর্তিগুলিতে গরু, ভালুক, বানর এবং কুকুর অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ভারতের শিল্পকলা জাদুঘর

প্রধান শহরসমূহ

জাতীয় জাদুঘর, দিল্লী
প্রিন্স অফ ওয়েলস জাদুঘর, মুম্বাই
সলর জং জাদুঘর, হায়দারাবাদ
সরকারী জাদুঘর, চেন্নাই
  • জাতীয় জাদুঘর, দিল্লী
  • ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ বস্তু সংগ্রাহলয়, মুম্বাই (পূর্বে পশ্চিম ভারতের প্রিন্স অফ ওয়েলস জাদুঘর নামে পরিচিত ছিল)
  • ভারতীয় জাদুঘর, কোলকাতা
  • সলর জং জাদুঘর, হায়দারাবাদ
  • সরকারী জাদুঘর, বেঙ্গালুরু
  • সরকারী জাদুঘর, চেন্নাই

প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর

  • এপি স্টেট প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, হায়দারাবাদ
  • প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, ত্রিসুর
  • সিটি জাদুঘর, হায়দারাবাদ
  • সরকারী জাদুঘর, মাথুরা
  • সরকারী জাদুঘর, থিরুচিরাপ্পাল্লি
  • হিল প্যালেস, ত্রিপুনিতুরা
  • ওড়িয়া রাজ্য জাদুঘর, ভুবনেশ্বর
  • পাটনা জাদুঘর
  • পযশী রাজা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, কোজিকুড
  • সঙ্গল জাদুঘর
  • সারনাথ জাদুঘর
  • রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক চিত্রশালা, কোলকাতা
  • ভিক্টোরিয়া জুবলি জাদুঘর, বিজয়বাদ

আধুনিক শিল্পকলা জাদুঘর

  • ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, দিল্লী - ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, মুম্বাই - ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত।
  • ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্ট, বেঙ্গালুরু - ২০০৯ সালে উদ্বোধন করা হয়।
  • কোলকাতা মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট - ২০১৩ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
  • উৎসব রক গার্ডেন, কর্ণটক

অন্যান্য জাদুঘর

  • আলবার্ট হল জাদুঘর, জয়পুর
  • আলাহাবাদ জাদুঘর
  • আশুতোষ মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান আর্ট, কোলকাতা
  • বরদা জাদুঘর ও চিত্রশালা
  • গোয়া রাজ্য জাদুঘর, পানাজি
  • নেপিয়ার জাদুঘর, থিরুভানান্থপুরম
  • ন্যাশনাল হ্যান্ডিক্রাফ্‌টস অ্যান্ড হ্যান্ডলুম মিউজিয়াম, দিল্লী
  • সংস্কৃতি জাদুঘর, দিল্লী
  • ওয়াটসন জাদুঘর, রাজকোট

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.