ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান যোধপুর

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি যোধপুর বা ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান যোধপুর (আইআইটি যোধপুর বা আইআইটিজে) হল ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরে অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি আটটি নতুন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান (আইআইটি) -এর মধ্য একটি। এটি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (সংশোধনী) অ্যাক্ট, ২০১১ এর অধীন ভারত সরকার এর মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, যা এই আটটি আইআইটি এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়কে আইআইটি'তে রূপান্তরিত করেছে। [2] এই আইনটি ২৪ মার্চ ২০১১ সালের লোকসভাতে এবং ৩ এপ্রিল ২০১২ তারিখে রাজ্যসভায় পাস হয়। [3]

ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান যোধপুর
প্রাক্তন নাম
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রাজস্থান
বাংলায় নীতিবাক্য
আপনি সম্পূর্ণহন জ্ঞান ও বিজ্ঞান দ্বারা
ধরনপাবলিক
স্থাপিত২০০৮
চেয়ারম্যানসি ভি আর মূর্তি[1]
পরিচালকসি ভি আর মূর্তি[1]
অবস্থান, ,
২৬.২৭১° উত্তর ৭৩.০৩৩° পূর্ব / 26.271; 73.033
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, বিস্তৃত ৮৫২ একর (৩.৪৫ কিমি)
AcronymIITJ
পোশাকের রঙ         Red, Black
ওয়েবসাইটwww.iitj.ac.in

ইতিহাস

জুলাই ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম আইআইটি যোধপুরের নাম ঘোষণা করে, যদিও ২০০৮ সালে এর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়, সঙ্গে আইআইটি কানপুরকে আইআইটি যোধপুরের পরামর্শদাতা হিসাবে [উদ্ধৃতি প্রয়োজন]। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে আইআইটি যোধপুরের প্রথম শিক্ষাবর্ষটি আইআইটি কানপুর ক্যাম্পাসে শুরু হয়, যার মধ্যে স্নাতকস্তরে; কম্পিউটার বিজ্ঞান ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মোট ১০৯ জন ছাত্রছাত্রী ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটিকে বিশেষ করে যোধপুরের নয়, বরঞ্চ রাজস্থানের একটি আইআইটি হিসাবে অনুমোদন করা হয়। আজমের, বিকাণীর, জয়পুর, যোধপুর, কোটা ও উদয়পুরসহ বিভিন্ন শহরগুলি বিবেচনা করার পর প্রফেসর বিজয় শংকর ব্যাসের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এটি যোধপুরে নির্মানের কথা বলা হয়। ২০০৯ সালের শেষের দিকে, যোধপুরে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার জন্য এমএইচআরডি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

যোধপুরের জেএএনভি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এমবিএম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একটি অংশকে, যোধপুর আইআইটির ট্রানজিট ক্যাম্পাসের অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মে ২০১০ সালে, আইআইটি যোধপুরের ক্লাসগুলি আইআইটি কানপুর থেকে স্থানান্তরিত হয় যোধপুরের ট্রানজিট ক্যাম্পাসে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে আইআইটি যোধপুরের একাডেমিক ও আবাসিক ক্যাম্পাস স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণ এখনও চলছে।

বিদ্যায়তন

স্থায়ী ক্যাম্পাস

যোধপুর ও নাগপুরকে সংযোগকারী জাতীয় সড়ক ৬৫ এর ওপর, যোধপুর শহর থেকে প্রায় ২৪ কিমি দূরে, আইআইটিজে অবস্থিত। জিপাসনি ও ঘারাও গ্রামের প্রায় ৮৫২ একর (৩.৪৫ বর্গ কিলোমিটার) জমির ওপর এটি নির্মান করা হয়েছো। ১৬ই এপ্রিল, ২০১৩ সালে তখনকার মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী, ডঃ এম. এম. পল্লাম রাজু দ্বারা স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তরটি স্থাপিত হয়। [4]

স্থায়ী ক্যাম্পাসটি স্বনির্ভরতার আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে, যেখানে ক্যাম্পাসের নিজস্ব শক্তি এবং জলের প্রয়োজন নিজেই মেটানো যাবে। ২০১৭ সালের ২রা মার্চ - ৩রা মার্চ, নতুন দিল্লির ইন্ডিয়া হ্যাবিট্যাট সেন্টারে অনুষ্ঠিত অষ্টম গৃহ সামিটে, 'প্যাসিভ আর্কিটেকচার ডিজাইন' বিভাগের অধীনে, ক্যাম্পাসের মুখ্য নকশাটি 'গৃহ এক্সেম্প্লারি পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছে। [5][6][7]

তথ্যসূত্র

  1. "Board of Governors"iitj.ac.in। Indian Institute of Technology Jodhpur। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৭
  2. "The Institutes of Technology (Amendment) Bill, 2010" (পিডিএফ)। ২২ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৮
  3. "Parliament passes IIT bill"ThetimesofIndia.com। ৩০ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১২
  4. "IITJ- Permanent Campus"iitj.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-০৩
  5. "IIT Jodhpur receives GRIHA Exemplary Performance Award for its Masterplan under 'Passive Architecture Design'"www.iitj.ac.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-০৩
  6. Editor। "IIT Jodhpur receives GRIHA Exemplary Performance Award for its Masterplan under 'Passive Architecture Design' | JOVO Education"jovo.education (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-০৩
  7. "GRIHA: Exemplary Performance Award list"grihaindia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-০৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.