ভবানী সেন
ভবানী সেন (১৯০৯ - ১০ জুলাই, ১৯৭২) একজন ভারতীয় সাম্যবাদী তাত্ত্বিক নেতা ও প্রাবন্ধিক। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।
ভবানী সেন | |
---|---|
জন্ম | ১৯০৯ |
মৃত্যু | ১০ জুলাই ১৯৭২ ৬২–৬৩) | (বয়স
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) ভারত (১৯৭২ সাল পর্যন্ত) |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তি |
রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, |
আন্দোলন | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন |
রাজনীতি
ভবানী সেন অধুনা বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে ১৯৩০ সালে জেলে যান। যশোর খুলনা যুব সংঘের বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন প্রথম জীবনে। দেউলি বন্দীনিবাস থাকাকালীন অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯৩৮ সালে মুক্তি পেয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রেলকর্মীদের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন, ১৯৪০-৪২ সালে কৃষক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। অবিভক্ত বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনে নেতার ভূমিকায় উঠে আসেন ও ১৯৪৩ সালে দলের রাজ্য কমিটিতে নির্বাচিত ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। তেভাগা আন্দোলনেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা নেন। ১৯৪৮ সালে কলকাতায় দলের দ্বিতীয় কংগ্রেসে কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য হন।[1] ১৯৬২ সালে পার্টি দ্বিধাবিভক্ত হলে সিপিআই দলের রাজ্য কমিটি সম্পাদক নির্বাচিত হন।[2]
রচনা
ভবানী সেন দলের তাত্ত্বিক নেতা ও সুলেখক ছিলেন। ছদ্মনামে রচিত তার বিভিন্ন প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্য মহলে আলোড়ন ফেলেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রবীন্দ্র গুপ্ত ছদ্মনামে লেখা প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “বুর্জোয়া কবি" আখ্যা দেন, যা তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।[3] সাহিত্য সংস্কৃতি, দলীয় মতবাদ ইত্যাদি নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক অজস্র রচনা আছে তার।
মৃত্যু
সোভিয়েত ইউনিয়নের মস্কোতে ১৯৭২ সালে মারা যান তিনি।[2]
তথ্যসূত্র
- দাশ, সুস্নাত (জানুয়ারি ২০০২)। "সংযোজন ২"। অবিভক্ত বাঙলার কৃষক সংগ্রাম: তেভাগা আন্দলোলনের আর্থ-রাজনৈতিক প্রেক্ষিত-পর্যালোচনা-পুনর্বিচার (প্রথম প্রকাশ সংস্করণ)। কলকাতা: নক্ষত্র প্রকাশন। পৃষ্ঠা ২৮৫।
- প্রথম খন্ড (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৭৬।
- "শতবর্ষ পরে"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৭।