ব্ল্যাক সাবাথ
ব্ল্যাক সাবাথ ব্যান্ডদলটি বর্তমান প্রজন্মের অতি জনপ্রিয় হেভি মেটাল গানের উদ্ভাবক। ব্ল্যাক সাবাথের জন্ম ইংল্যান্ডে।
| ||
পটভূমি | ||
অন্যান্য নাম | Earth | |
উৎপত্তি | ১৯৬৮ - ২০০৬ | |
ধরণসমূহ | হেভি মেটাল | |
যে কয় বছর সক্রিয় ছিল | ১৯৬৯ — ২০১১ | |
লেবেলসমূহ | Vertigo Warner Bros. Sanctuary Castle I.R.S. EMI Reprise Epic Fontana | |
সহযোগী অন্যান্য কাজ | Heaven and Hell | |
ওয়েবসাইট | black-sabbath.com | |
সদস্যবৃন্দ | ||
ওজি অসবোর্ন টনি ইউম্মি বাটলার বিল ওয়ার্ড | ||
প্রাক্তন সদস্যবৃন্দ | ||
রনি জেমস ডিও Vinny Appice Ian Gillan Geoff Nicholls Tony Martin Cozy Powell (Deceased) Neil Murray Bobby Rondinelli Laurence Cottle Terry Chimes Jo Burt Bob Daisley Bev Bevan Dave Spitz Eric Singer Glenn Hughes David Donato Ray Gillen (Deceased) |
ইতিহাস
ব্যান্ডদলের সূচনা
১৯৬৬ সালে ব্ল্যাক সাবাথের পথচলা শুরু হয়। এই বছর বার্মিংহামের চার তরুণ মিলে পলকা টাল্ক ব্লুজ নামের একটি রক ব্যান্ড গড়ে তোলে। এ সময় ব্যান্ডটির লাইনাপ ছিল এরকমঃ
এ ব্যান্ডটি প্রথমদিকে ব্লুজ রক ও হার্ড রক ধারার গান করতো। তারা জিমি হেনডক্সের মত বিখ্যাত রক তারকাদের গান করত।
ব্ল্যাক সাবাথ নামকরণ
১৯৬৯ সালে ব্যান্ডের বেইজবাদক বাটলার ব্ল্যাক সাবাথ নামে একটি গান লিখলেন। সেখান থেকেই ব্যান্ডের নাম পাল্টে ব্ল্যাক সাবাথ রাখা হয়।
এলবাম প্রকাশ
১৯৭০ সালে তাদের দি এপোনিমাস ব্ল্যাক সাবাথ নামে তাদের প্রথম এলবাম প্রকাশিত হয়। এলবামটি প্রকাশের সাথে সাথেই বিশ্বজুড়ে বিশাল জনপ্রিয়তা এবং সফলতা পায়। রক সঙ্গীতের ভক্তরা প্রথম হেভি মেটাল ধারণার সাথে পরিচিত হন এ এলবামের মাধ্যমে। মূলত ব্যান্ডের সদস্যরা শ্যালো টাইপ সঙ্গীতের প্রতিবাদ হিসেবে এই ধারার গানের সূচনা করেন। ষাটের দশকের খুব নরম অনুভূতির এক ধরনের গান ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। ব্ল্যাক সাবাথের সদস্যরা চিন্তা করলেন মানুষের মধ্যে একটু প্রতিবাদী এবং বিদ্রোহের ভাব থাকা উচিত- এ চিন্তা থেকেই মূলত হেভি মেটাল সৃষ্টি করলেন তারা।
১৯৭০ সালেই ব্ল্যাক সাবাথের দ্বিতীয় এলবাম প্যারানয়েড প্রকাশিত হয়। এ এলবামের ওয়ার পিগস গানটা ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধে প্রতিবাদে করা।
ডার্ক রিফের সূচনা
এর পরে ব্ল্যাক সাবাথের গান আরো শক্ত হয়। এর পেছনে একটি মজার কাহিনী রয়েছে। গীটারবাদক ইউম্মি বাম হাতের দুটি আঙুলে এক দুর্ঘটনায় আহত হন। সে হাতেই তিনি গীটারের ফ্রেট ধরতেন। আঙুলের চাপ কমানোর জন্য গীটারের টিউন নামিয়ে তিনি ই থেকে সি শার্পে নিয়ে এলেন। ফলে এরপর আহত আঙুল নিয়েই তিনি গীটার বাজাতে পারলেন। বেইজবাদক বাটলারও সে অনুযায়ী তার গীটার টিউন করলেন। ফলে তৈরি হলো আরো শক্ত শব, ডার্ক রিফের। ব্ল্যাক সাবাথ তাদের এই ডার্ক রিফের জন্য বিখ্যাত।
ব্যান্ডের সদস্য পরিবর্তন
ব্ল্যাক সাবাথে পরবর্তীতে ভোকাল ও অন্যান্য সদস্য পরিবর্তিত হয়। প্রথম খুব সফল হলেও পরবর্তীকালে ব্যর্থতার জন্য ১৯৭৯ সালে ব্যান্ড ছাড়তে বাধ্য করা হয় ভোকাল ওজিকে। তার গাওয়া কিছু বিখ্যাত গান হলো আয়রন ম্যান, এন আই বি, চিলড্রেন অফ দি গ্রেভ, চেঞ্জেস, হার্ড রক এনথেম নামে পরিচিত সুপারনট এবং স্নোব্লাইন্ড ইত্যাদি। এরপর ব্যান্ডে ভোকাল হিসেবে যোগ দেন কিংবদন্তি রক ব্যান্ড রেনবোর ভোকাল ডিও। তার গাওয়া জনপ্রিয় গান হলো জেরুসালেম, হেভেন এন্ড হেল ইত্যাদি। এক বছর পর ডিও ব্যান্ড ত্যাগ করেন। এরপর বিখ্যাত ব্যান্ড ডিপ পার্পলের ভোকাল অল্প কিছুদিনের জন্য ব্ল্যাক সাবাথে ছিলেন। এরপর কিছুদিন কোন শক্তিশালী ভোকাল ব্যান্ডে কাজ করেন নি। এ সময় তাদের প্রচন্ড দুরবস্থা যাচ্ছিল। এরপর টনি মার্টিন ব্যান্ডে যোগ দিলে ব্ল্যাক সাবাথ আবারো প্রাণ ফিরে পায়। তার গাওয়া অসম্ভব জনপ্রিয় একটি গান হলো হেডলেস ক্রস। টনি ১৯৯২ সালে ব্যান্ড ত্যাগ করেন। ডিও আবারো ব্যান্ডে যোগ দেন। অনেক ভাঙাগড়ার পর ব্যান্ডের প্রথম ভোকাল ওজি অসবোর্ন ১৯৯৭ সালে আবারো ব্যান্ডে ফিরে আসেন।
স্বীকৃতি
- ব্ল্যাক সাবাথ ইউকে মিউজিক হল অফ ফেম এবং ইউএস রক এন্ড রোল হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়।
- এক ম্যাগাজিনের র্যাংকিংয়ে সর্বকালের সেরা ১০০ আর্টিস্টের তালিকায় ব্ল্যাক সাবাথ ৮৫ তম স্থান দখল করে।
- আর ভিএইচওয়ান চ্যানেলের ১০০ সেরা হার্ড রক আর্টিস্টের তালিকায় ব্ল্যাক সাবাথের স্থান ২-এ।