ব্রাত্য বসু
ব্রাত্য বসু (জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯, কলকাতা)[1] একজন ভারতীয় বাঙালি নাট্যকার, নাট্য পরিচালক, অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ। তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী।[2] ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দমদম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
ব্রাত্য বসু | |
---|---|
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০ মে, ২০১৬ | |
গভর্নর | এম কে নারায়াণান |
পর্যটন মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার | |
কাজের মেয়াদ ২০ মে, ২০১৪ – ১২ মে, ২০১৬ | |
গভর্নর | এম কে নারায়াণান |
পূর্বসূরী | হিতেন বর্মন |
উত্তরসূরী | গৌতম দেব |
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার | |
কাজের মেয়াদ ২০ মে, ২০১১ – ২০ মে, ২০১৪ | |
গভর্নর | এম কে নারায়াণান |
পূর্বসূরী | প্রোঃ সুদর্শন রায় চৌধুরী |
উত্তরসূরী | পার্থ চট্টোপাধ্যায় |
বিধায়ক | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০১১ | |
গভর্নর | এম কে নারায়াণান |
পূর্বসূরী | গৌতম দেব |
সংসদীয় এলাকা | দমদম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সেপ্টেম্বর ২৫, ১৯৬৯ |
রাজনৈতিক দল | সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা |
ধর্ম | হিন্দু |
জীবন
ব্রাত্য বসু বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব বিষ্ণু বসুর ছেলে। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য অধ্যয়ন করার পর কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপক রূপে যোগ দেন। গণকৃষ্টি নামে এক থিয়েটার গ্রুপে সাউন্ড অপারেটর হিসেবে তার নাট্যজীবন শুরু হয়েছিল।[3] পরে তিনি দলের জন্য নাটক লিখতে ও পরিচালনা করতে শুরু করেন। আল্ট্রা-মডার্ন নাটক অশালীন (১৯৯৬) তার প্রথম নাটক। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল অরণ্যদেব, শহরইয়ার, উইঙ্কল টুইঙ্কল ও হত্যারহস্যমূলক নাটক চতুষ্কোণ। ১৯৯৮ সালে তিনি শ্যামল সেন স্মৃতি পুরস্কার ও ২০০০ সালে দিশারী পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তিনি 'ব্রাত্যজন' নামে নিজস্ব একটি থিয়েটার গ্রুপ গঠন করেন।[4] ২০০৯ সালে দেবব্রত বিশ্বাসের জীবন অবলম্বনে নির্মিত নাটক রুদ্ধসংগীত তার সাম্প্রতিকতম সৃষ্টি।
চলচ্চিত্র
তিনি দু'টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন: রাস্তা ও তারা। প্রথমটির বিষয়, এক যুবকের সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওঠা, এবং দ্বিতীয়টির বিষয়, সমাজ ও প্রেমের ব্যর্থতা। তিনি কালবেলা সহ একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। [5]
দশ বছর পর তিনি পুনরায় সিনেমা নির্দেশনার কাজ করছেন যার নাম "ডিকসেনারি"।
অভিনয়
নাম | সাল |
---|---|
গ্যাংস্টার | ২০১৬ |
ডবল ফেলুদা | ২০১৬ |
অ্যাবি সেন | ২০১৫ |
নাটকের মত | ২০১৫ |
যোগাযোগ | ২০১৫ |
পারাপার | ২০১৪ |
এক এক্কে দুই | ২০১৪ |
মহাপুরুষ ও কাপুরুষ | ২০১৩ |
বালুকাবেলা ডট কম | ২০১২ |
তিন কন্যা | ২০১২ |
মুক্তধারা | ২০১২ |
হেমলক সোসাইটি | ২০১২ |
হ্যালো মেমসাহেব | ২০১১ |
ইচ্ছে | ২০১১ |
তারা | ২০১০ |
কালবেলা | ২০০৯ |
হারবার্ট | ২০০৬ |
সম্মাননা
নাট্যকার ব্রাত্য বসু ২০২১ খ্রিস্টাব্দে “মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক” গ্রন্থটির জন্য ভারত সরকারের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। [6]
রাজনীতি
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্রাত্য বসু তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দমদম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ক্ষমতাসীন সিপিআই(এম) মন্ত্রী গৌতম দেবকে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় তাকে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে উনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।
তথ্যসূত্র
- Bratya Basu, nATak samagra (collected plays), Ananda Publishers, 2004
- "Minister in Charge"। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- http://www.telegraphindia.com/1060506/asp/weekend/story_6169710.asp
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১১।
- "IMDB"। IMDB। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- "সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেলেন ব্রাত্য বসু"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-৩১।
বহিঃসংযোগ
http://wbcmo.gov.in/ministers.aspx ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে