ব্যারি সিনক্লেয়ার
ব্যারি হুইটলি সিনক্লেয়ার, এমএনজেডএম (ইংরেজি: Barry Sinclair; জন্ম: ২৩ অক্টোবর, ১৯৩৬) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্যারি হুইটলি সিনক্লেয়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ২৩ অক্টোবর ১৯৩৬||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফু ৩ ইঞ্চি (১৬০ সেমি) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৪) | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭ মার্চ ১৯৬৮ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন ব্যারি সিনক্লেয়ার।
ওয়েলিংটনের রঙ্গোটাই কলেজে অধ্যয়ন করেছেন ব্যারি সিনক্লেয়ার।[1]
ঘরোয়া ক্রিকেট
১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল তার। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন। দলীয় সংগ্রহ ১৩৮/৫ এর মধ্যে তিনি অপরাজিত ১০২ রান তুলে একাকীই দলের পাঁচ-উইকেটের বিজয়ে নেতৃত্ব দেন।[2] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান তুলেন ১৪৮। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে দলকে অধিনায়ক হিসেবে পরিচালনায় অগ্রসর হন। এ পর্যায়ে প্রথম দিনেই দলের সংগ্রহ ছিল ৩৬৫/৭।[3]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
১৯৬২-৬৩ মৌসুম থেকে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম পর্যন্ত ২১ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ছয়টি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরির মধ্যে টেস্টেই করেছিলেন তিনটি। তবে কোনটিতেই দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ব্যারি সিনক্লেয়ারের।
১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন টেস্ট খেলার জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পদার্পণ ঘটে। অকল্যান্ডে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ টেস্ট শতক হাঁকান। ৩৪৫ মিনিটে ১৩৮ রানের ঐ ইনিংসটি খেলা স্বত্ত্বেও স্বাগতিক দল মাত্র ২৬৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। তার ঐ সেঞ্চুরিটি তিন টেস্টের সিরিজটিতে একমাত্র সেঞ্চুরি ছিল। এছাড়াও তার ঐ সংগ্রহটি নিউজিল্যান্ডে যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।[4] রান সংগ্রহ ও গড়ের দিক দিয়ে তিনি সর্বাগ্রে ছিলেন। পরের স্থানে ছিলেন নোয়েল ম্যাকগ্রিগর।[5] ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে যান। লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে দশ ওভার বোলিং করে দুই উইকেট দখল করেছিলেন।
১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট এবং ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দলের অধিনায়ক মনোনীত হয়েছিলেন। তবে ভারতের বিপক্ষে তার দল পরাজিত হয়েছিল ও বাদ-বাকী খেলাগুলো ড্রয়ে পরিণত হয়। এছাড়াও ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশ ও ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে দলকে নেতৃত্ব দেন।
খেলার ধরন
ছোটখাঁটো শারীরিক গড়নের অধিকারী ছিলেন। ফলশ্রুতিতে কখনো কখনো প্রতিপক্ষীয় পেস বোলারদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতেন। তবে কীভাবে তাদের ছোঁড়া খাঁটো প্রকৃতির বলগুলো মোকাবেলা করতে হয়, তা করায়ত্ত্ব করেছিলেন। পরিচ্ছন্ন ব্যাটসম্যান হিসেবে কাট ও অন-ড্রাইভের জন্য সবিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ব্যারি সিনক্লেয়ার।
মূল্যায়ন
ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্স তার সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম ছোটখাঁটো গড়নের অধিকারী তিনি। ডানহাতে ব্যাট নিয়ে অদম্য শক্তির পরিচায়ক তিনি। এছাড়াও, কভার অঞ্চলে দক্ষ ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন।
২০১৬ রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের প্রেক্ষিতে তাকে নিউজিল্যান্ড অর্ডার অব মেরিট পদবীতে ভূষিত করা হয়েছিল। [6]
অবসর
চাকুরীতে মনোনিবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে ১৯৬৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন ব্যারি সিনক্লেয়ার।
২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হলে তিনি পরামর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।[7] ২০১৫ সালে ওয়েলিংটনের ক্রীড়ায় অন্যতম জীবিত কিংবদন্তীরূপে নির্বাচিত হন।
তথ্যসূত্র
- Romanos, Joseph (৩ মার্চ ২০১৬)। "Barry Sinclair cricket biography launched"। stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- Northern Districts v Wellington, 1963–64
- Wellington v Australians, 1966–67
- Wisden 1965, p. 841.
- "South Africa in Australia and New Zealand, 1963-64", Wisden 1965, pp. 818–842.
- "Queen's 90th birthday honours list 2016"। Department of the Prime Minister and Cabinet। ৬ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৬।
- NZCPA announces Barry Sinclair in New Patron Role ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে Retrieved 3 June 2013.
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ব্যারি সিনক্লেয়ার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ব্যারি সিনক্লেয়ার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
আরও পড়ুন
Bill Francis, In Pursuit of Excellence: The Barry Sinclair Story, The Cricket Publishing Company, West Pennant Hills, NSW, 2016
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মারে চ্যাপেল |
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৬৬-১৯৬৮ |
উত্তরসূরী গ্রাহাম ডাউলিং |