ব্যারি নাইট

ব্যারি রল্ফ নাইট (ইংরেজি: Barry Knight; জন্ম: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮) ডার্বিশায়ারের চেস্টারফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ।[1] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ব্যারি নাইট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামব্যারি রল্ফ নাইট
জন্ম (1938-02-18) ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮
চেস্টারফিল্ড, ডার্বিশায়ার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪০৮)
১ ডিসেম্বর ১৯৬১ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৭ আগস্ট ১৯৬৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৯ ৩৭৯
রানের সংখ্যা ৮১২ ১৩৩৩৬
ব্যাটিং গড় ২৬.১৯ ২৫.৬৯
১০০/৫০ ২/– ১২/৬৬
সর্বোচ্চ রান ১২৭ ১৬৫
বল করেছে ৫৩৭৭ ৫৭৮১৩
উইকেট ৭০ ১০৮৯
বোলিং গড় ৩১.৭৫ ২৪.০৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪৫
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৩৮ ৮/৬৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৪/– ২৬৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স ও লিচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন ব্যারি নাইট

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

ডার্বিশায়ারের চেস্টারফিল্ডে জন্মগ্রহণকারী ব্যারি নাইট ফাস্ট বোলিং অল-রাউন্ডার ছিলেন। ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ব্যারি নাইটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ব্যাটসম্যান হিসেবে দুইটি শতরানের সন্ধান পেয়েছেন।

চারবার মৌসুমে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে, আড়াই মাসেই দ্রুততম সময়ে ডাবল লাভ করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। ১৯৬৪ সালে লর্ডসে বিশ্ব একক উইকেট শিরোপা জয় করেন।

মে, ১৯৫৫ সালে এসেক্সের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ব্যারি নাইটের। ১৯৬৬ সাল শেষে অর্থনৈতিক কারণে দলত্যাগ করেন। এরপর লিচেস্টারশায়ারের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন।[1]

১৯৫৯ সালে পাঁচ রানের জন্যে ডাবল লাভ করতে পারেননি। আর.এ.জি. লাকিনের সাথে যৌথভাবে এসেক্সের পক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ রান সংগ্রহের কৃতিত্ব দেখান। ১৯৬২ সালে এসেক্সের ব্রেন্টউডে মিডলসেক্সের বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েন। এছাড়াও, ঐ খেলায় প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৬৫ রান তুলেন। ১৯২৩ সালে জে.ডব্লিউ.এইচ.টি. ডগলাসজে. ও’কনরের গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে রেকর্ডের সাথে যুক্ত হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ঊনত্রিশটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ব্যারি নাইট। ১ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ আগস্ট, ১৯৬৯ তারিখে নটিংহামে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৬১-৬২ মৌসুমে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে একাধারে প্রথম ছয় টেস্টে অংশ নেন। এটিই দীর্ঘসময় ধরে তার খেলায় অংশগ্রহণ ছিল। নয়বার দলে আসা-যাওয়ার পালায় ছিলেন। তবে, ১৯৬২-৬৩১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে দুইবার অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ সফরে যান। সেখানে তিনি সহায়তাকারী বোলার ও নিচেরসারির ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[1] ১৯৬৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে পিটার পারফিটকে সাথে নিয়ে ২৪০ রান তুলেন। চল্লিশ বছর এ রেকর্ড অক্ষত থাকার পর মার্চ, ২০০২ সালে গ্রাহাম থর্পঅ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ ২৮১ রান করে রেকর্ডটি ভঙ্গ করেন।[1][2]

অবসর

১৯৬৯ মৌসুম শেষে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। এভাবেই ইংল্যান্ডে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। চার মৌসুমে ১০০ উইকেট, পাঁচ মৌসুমে সহস্রাধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তন্মধ্যে, ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালে একাধারে ডাবল পেয়েছিলেন।[1]

ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘অতিরঞ্জিত ক্রিকেটার ব্যারি নাইট দর্শনীয় মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও গতিসম্পন্ন ধারালো বোলিংয়ে বলকে বাঁক খাওয়াতে পটু ছিলেন। শক্তি খরচ করে রান-আউটে অভ্যস্ত ছিলেন না।’[1]

কোচিং

অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম পেশাদার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে সিডনিভিত্তিক অভ্যন্তরীণ সুবিধাযুক্ত পরিবেশে কাজ করেছেন।[1] এছাড়াও, প্রথম কোচ হিসেবে ভিডিও পর্যবেক্ষণে দায়িত্বে ছিলেন। এরফলে, চল্লিশ বছরের অধিক সময় ধরে অ্যালান বর্ডার, স্টিভ ও মার্ক ওয়াহ, ব্রেট ও শেন লি, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, জন ডাইসন, অ্যান্ড্রু হিলডিচসহ বিশের অধিক টেস্ট খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ দেন। ১৯৭০ সাল থেকে বিশ হাজারের অধিক তরুণ ক্রিকেটারের কোচ ছিলেন। অদ্যাবধি বিদ্যালয়ে অবকাশকালীন প্রকল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন ও সিডনিভিত্তিক মোসম্যান ক্রিকেট ক্লাবকে পরিচালনা করছেন। এসিবি কর্তৃক তিন মাসে সার্টিফিকেট কোর্স করেন ও এমসিসি থেকে কোচিং সার্টিফিকেট পান।

তথ্যসূত্র

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 101আইএসবিএন 1-869833-21-X।
  2. "Highest partnerships by wicket"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১১

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.