বোম্বাইয়ের বোম্বেটে (চলচ্চিত্র)

বোম্বাইয়ের বোম্বেটে সন্দীপ রায় পরিচালিত ২০০৩ সালের ভারতীয় গোয়েন্দা চলচ্চিত্র[1] সত্যজিৎ রায় রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সন্দীপ রায়। সত্যজিৎ রায়ের জয় বাবা ফেলুনাথ নির্মাণের ২৫ বছর পর ফেলুদা ধারাবাহিকের তৃতীয় চলচ্চিত্র। এর মাঝে ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ১০টি টেলিছবি হলেও এটি নতুন ফেলুদা ধারাবাহিকের প্রথম চলচ্চিত্র। এতে ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী[2] তোপসে চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়[3] এবং জটায়ু চরিত্রে বিভু ভট্টাচার্য[4]

বোম্বাইয়ের বোম্বেটে
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকসন্দীপ রায়
প্রযোজকঊষাকিরণ মুভিজ
ডি রামা নাইডু
চিত্রনাট্যকারসন্দীপ রায়
উৎসসত্যজিৎ রায় কর্তৃক 
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারসন্দীপ রায়
মুক্তিডিসেম্বর, ২০০৩
দৈর্ঘ্য১০০ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা
নির্মাণব্যয়৮০ লাখ
আয়২ কোটি

কাহিনি সংক্ষেপ

জটায়ু তার লেখা বোম্বাইয়ের বোম্বেটে উপন্যাস থেকে নির্মিত ছবির শ্যুটিং দেখতে আমন্ত্রণ পায়। ছবির পরিচালক তারই গারপার রোডে থাকাকালীন বন্ধু পুলক ঘোষাল। ফেলুদা ও তোপসেও তার সাথে যাবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু তাদের যাওয়ার একদিন আগে সান্যাল নামে এক প্রযোজক জটায়ুর কাছে এসে জানায় তার একই উপন্যাস অবলম্বনে সেও একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চায়। জটায়ু তাকে জানায় উপন্যাসটি তিনি আরেকজনকে দিয়ে দিয়েছেন। সান্যাল চলে যাওয়ার আগে জাটায়ুকে একটি প্যাকেট দিয়ে যান, যা তিনি বোম্বেতে তার এক পরিচিত জনকে দিতে বলেন। বোম্বেতে একজন তার কাছ থেকে প্যাকেট নিতে আসেন কিন্তু জটায়ু ভুল করে তার লেখা বোম্বাইয়ের বোম্বেটে উপন্যাসের কপি সংবলিত একটি প্যাকেট তার হাতে ধরিয়ে দেন, যা তার বন্ধুকে দেওয়ার কথা ছিল। লোকটি একটি বহুতল ভবনে ঢুকেন। এলিভেটরে একজন অপরিচিত লোক তাকে আক্রমণ করলে সে তাকে খুন করে। বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সেই কপির একটি খণ্ড মৃত দেহের কাছে পরে যায়।

ফেলুদা বাকিদের নিয়ে একটি হোটেলে যান। সেখানে পুলক তাদের খুনের ব্যাপারে খবর দেন। ফেলুদা তোপসে ও জটায়ুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং সেখানে সিআইডি ইনস্পেক্টর পটবর্ধনের সাথে তাদের দেখা হয়। তিনি তাদের জানান নেপালের নানা সাহেবের নেকলেস চুরি হয়েছে এবং একজন ভারতীয় চোরাকারবারি তা ভারতে নিয়ে এসেছে। পরের দিন সৈকতে ফেলুদা সংবাদপত্রে জটায়ুর বিবরণ খুঁজে পান। পরে তিনি বোম্বাইয়ের বোম্বেটে ছবির প্রযোজক গোরের সাথে পরিচিত হন, যিনি তাদেরকে ছবির মার্শাল আর্ট পরিচালক ভিক্টর পেরুমলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।

রহস্য আরও ঘনীভুত হয় যখন ফেলুদা, তোপসে ও জটায়ুকে কিছু দুর্ভৃত্ব কয়েকবার আক্রমণ করে। ফলে ফেলুদা জটায়ুর কাছে থাকা প্যাকেট খুলে এবং তাতে অরবিন্দু ঘোষের দ্য লাইফ ডিভাইন পায়। জটায়ুর তার বইয়ে যে কাল্পনিক শিবাজি দুর্গের কথা উল্লেখ করেন, তারা দেখেন গোরের বাড়িই সে দুর্গ। পরের দিন একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং চলাকালীন সান্যাল ও সেই প্যাকেট গ্রহীতা নিম্মোকে বন্দুক নিয়ে আসতে দেখা যায়। তারা ফেলুদার কাছে বইটি চান এবং ফেলুদা হাসিমুখে তা দিয়ে দেন। কিন্তু তাতে তারা একটা জিনিস খুঁজে পান না। ফলে নানা সাহেবের নেকলেস হারিয়ে যাওয়ার রহস্য উন্মোচিত হয়।

কুশীলব

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "ফেলুদা"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩০ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭
  2. মারিয়া, শান্তা (২০১৫-০৫-০২)। "পর্দার ফেলুদা"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭
  3. "'সবদিক থেকে একটা ব্র্যান্ড সত্যজিৎ রায়'"বণিকবার্তা। দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। মে ০১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. "চলে গেলেন 'জটায়ু'"আনন্দবাজার পত্রিকা। ABP News। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.