বেলা মিত্র

বেলা মিত্র (১৯২০―৩১ জুলাই ১৯৫২) আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্মী ছিলেন।

বেলা মিত্র
জন্ম১৯২০
কোদালিয়া, উত্তর ২৪পরগনা, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৩১ জুলাই ১৯৫২(1952-07-31) (বয়স ৩১–৩২)
আন্দোলনআজাদ হিন্দ ফৌজ

বংশ পরিচয়

বেলা মিত্রের পিতার নাম ছিল সুরেশচন্দ্র বসু এবং মাতার নাম সুধা বসু। তিনি ছিলেন সম্পর্কে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইঝি। স্বামী আজাদ হিন্দ ফৌজের বিপ্লবী ও প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার হরিদাস মিত্র। হরিদাস মিত্রের সাথে বিয়ে হয় ১৯৩৬ সালে। পুত্র অর্থনীতিবিদ ও বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী অমিত মিত্র[1]

স্বাধীনতা আন্দোলনে

পারিবারিক সূত্রে বিপ্লবী আন্দোলনে প্রবেশ, ১৯৪০ সালে রামগড়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেস অধিবেশন পরিত্যাগ করে নেতাজী যে আপোস বিরোধী সম্মেলনের ডাক দেন, বেলা মিত্র (বসু) ছিলেন সেই নারী বাহিনীর প্রধান।

আজাদ হিন্দ ফৌজে

পূর্ব এশিয়া থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজের যে বিভিন্ন দলগুলি নেতাজী ভারতে প্রেরণ করেন তাদের সাথে যোগাযোগ রাখা ও নিরাপদে অবতরণ করানোর দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল তার ওপর। ১৯৪৪ এর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা থেকে সিংগাপুরে ট্রান্সমিটারে সংবাদ আদান প্রদান ও নিরাপদে বিপ্লবীদের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে দেন বেলা মিত্র। হরিদাস মিত্র গ্রেপ্তার হলে তিনি দায়িত্ব নেন কাজ পরিচালনার। অলংকার বিক্রি করে সেই অর্থে কর্মীদের নিরাপদে আনা ও থাকার ব্যবস্থা করেন। বহু বাধা বিঘ্ন সত্ত্বেও উড়িষ্যার উপকূলে লোক পাঠিয়ে তাদের অবতরনের ব্যবস্থা করেছিলেন বেলা দেবী। ১৯৪৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আজাদ হিন্দ ফৌজের অনেকের সঙ্গে হরিদাস মিত্রের ফাঁসির হুকুম হলে তা মকুব করার আবেদন করেন গান্ধীজির কাছে। ১৯৪৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর গান্ধীজি চিঠি লেখেন বৃটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড ওয়াভেলকে। গান্ধীজি লিখেছিলেন’যদি এই ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়,তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ভুল’। গান্ধীজির আবেদনকে মান্যতা দিয়ে হরিদাস মিত্রসহ তিন দেশপ্রেমিকের ( ডা পবিত্রমোহন রায়,সর্দার মহিন্দর সিং ও অমৃক সিং গিল) ফাঁসির আদেশ বদলে যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে।

স্বাধীনতার পর

১৯৪৭ এ 'ঝাঁসির রানী' সেবাদল গঠন।১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ্ উদ্বাস্তুদের জন্যে সেবা, উন্নয়নমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বালি-ডানকুনির কাছে অভয়নগরে উদ্বাস্তুদের পূনর্বাসনের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রমে তার স্বাস্থ্যভঙ্গ ঘটে। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে এখানে একটি নতুন রেলস্টেশন হয়। তার জন্মদিনে এই রেলওয়ে স্টেশনটির নতুন নাম হয় 'বেলানগর'।

ভারতে, ভারতীয় কোনো মহিলার নামে স্টেশনের নামকরণের ইতিহাসে প্রথম।[2]

তথ্যসূত্র

  1. sabyasachi bandapadhya। "when Mahatma saved Netaji's revolutionaries from gallows"Indian Express
  2. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান (প্রথম খন্ড)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৬৭। আইএসবিএন 81-85626-65-0।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.