বেলঘরিয়া

বেলঘরিয়া হলো বৃৃহত্তর কলকাতার অন্তর্গত কামারহাটি পৌরসভার একটি শহরাঞ্চল৷[1] ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্গত লোকালয়৷ লোকালয়টি রাজধানী শহর কলকাতার উত্তরে অবস্থিত৷ শহরটি কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-এর অংশ৷[2]

বেলঘরিয়া
কলকাতার উপকন্ঠের শহর
ফিডার রোড বেলঘরিয়া
ফিডার রোড বেলঘরিয়া
বেলঘরিয়া পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
বেলঘরিয়া
বেলঘরিয়া
বেলঘরিয়ার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গে
স্থানাঙ্ক: ২২.৬৫° উত্তর ৮৮.৩৮° পূর্ব / 22.65; 88.38
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
বিভাগপ্রেসিডেন্সি বিভাগ
জেলাউত্তর চব্বিশ পরগনা
শহরকলকাতা মহানগর অঞ্চল
উচ্চতা১৫ মিটার (৪৯ ফুট)
ভাষা
  সরকারীবাংলা, ইংরাজী
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন৭০০০৫৬, ৭০০০৮৩
লোকসভা নির্বাচনকেন্দ্রদমদম
বিধানসভা নির্বাচনকেন্দ্রকামারহাটি
পৌরসভাকামারহাটি

১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার প্রখ্যাত ব্যবসায়ী মতিলাল শীল বেলঘরিয়ায় ঠাকুরবাড়ি ও অতিথিশালা গড়ে দেন। এই অতিথিশালায় নিখরচায় বহু মানুষের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা তিনি করে গিয়েছেন।[3]

কলকাতার খ্যাতনামা কাঠ ব্যবসায়ী রাধাকান্ত সেনের দুই ছেলে জয়গোপাল বৈকুণ্ঠনাথের বাগানবাড়ি ছিল বেলঘরিয়াতে। কেশবচন্দ্র সেন ইংল্যান্ডে ব্রাহ্ম ধর্ম প্রচার করে দেশে ফিরলে এই বাগানবাড়িতেই তাঁর প্রথম অভ্যর্থনা আয়োজন করেছিলেন সেন ভ্রাতৃদ্বয়। এখানে ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ভারত সেবাশ্রম স্থাপিত হয়, কেশবচন্দ্র তার বন্ধুদের নিয়ে এই সেবাশ্রমের অধিবাসী হয়েছিলেন। ১৮৭৫ সালের ৪০শে আগস্ট এই বাগানবাড়িকেই বৈরাগ্য সাধনের জন্য তপোবনে পরিণত করেন কেশবচন্দ্র। ১৮৮৫ সালের ১৬ই মার্চ ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব ভাগ্নের হৃদয় কে নিয়ে এই তপোবনে কেশবচন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হন।[4]

বেলঘরিয়ার ইতিহাস নিয়ে একমাত্র প্রামাণ্য গ্রন্থ তরুণ কবি ও গদ্যকার তন্ময় ভট্টাচার্য-র 'বেলঘরিয়ার ইতিহাস সন্ধানে'। ২০১৬ সালে প্রথমবার প্রকাশিত হয় বইটি। ২০২১-এ, ধানসিড়ি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে এর পরিবর্ধিত সংস্করণ। বেলঘরিয়া, তার ইতিহাস ও সংস্কৃতি জানার জন্য এ এক আকরগ্রন্থ।


পর্যটন

  • কবি চণ্ডীচরণ মিত্রের বসতবাটি
  • দক্ষিণপাড়া ভুবনমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় বসতবাটি
  • টেক্সম্যাকো কারখানা
  • বেলঘরিয়া রামকৃষ্ণ মিশন
  • প্রাচীন ৫ টি শিবমন্দির
    • পঞ্চাননতলা শিবমন্দির
    • রায়চৌধুরীবাড়ি জোড়া শিব মন্দির
    • বুড়োশিবতলা শিবমন্দির
    • রত্নেশ্বর মন্দির
    • ঘোষালবাড়ি জোড়া শিব মন্দির

পরিবহন ব্যবস্থা

ফিডার রোড বেলঘরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কপথ যা পশ্চিমে ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড ও পূর্বে মধুসূদন ব্যানার্জী রোডের মাধ্যমে কলকাতা বিমানবন্দরকে বেলঘরিয়ার সাথে যুক্ত করেছে৷

বেলঘরিয়া স্টেশন

শিয়ালদহ-রানাঘাট রেলপথ-এ বেলঘরিয়া স্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এছাড়া নিকটবর্তী স্টেশনগুলি হলো বরানগর রোড স্টেশনবিরাটি স্টেশন৷ নবনির্মিত বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে নিবেদিতা সেতুযশোর রোডকে যুক্ত করেছে৷

নিবেদিতা সেতুর নিকট বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে

বাস পরিবহন

তথ্যসূত্র

  1. https://kamarhatimunicipality.org
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  3. দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বনেদি কলকাতার ঘরবাড়ি, পঞ্চম মুদ্রণ ২০১১, পাতা. ২৬, প্রকাশকঃ আনন্দ প্রকাশক, আইএসবিএন ৮১-৭৭৫৬-১৫৮-৮
  4. দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বনেদি কলকাতার ঘরবাড়ি, পঞ্চম মুদ্রণ ২০১১, পাতা. ৯৭, প্রকাশকঃ আনন্দ প্রকাশক, আইএসবিএন ৮১-৭৭৫৬-১৫৮-৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.