বেবে নানকী

বেবে নানাকি (পাঞ্জাবী: ਬੇਬੇ ਨਾਨਕੀ) (১৪৬৪–১৫১৮), শিখধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম গুরু (শিক্ষক) গুরু নানকের বড় দিদি ছিলেন। বেবে নানাকি শিখধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় চরিত্র, তাকে বলা হয় প্রথম গুরশিখ। তিনি প্রথম তার ভাই এর "আধ্যাত্মিক বিশিষ্টতা" বুঝতে পারেন।[1]

বেবে নানকী
বেবে নানাকি এবং গুরু নানক
জন্ম
লাহোরের কাছে, চহল (এখনকার কাসুর জেলা)
পিতা-মাতা
  • মেহতা কালু (পিতা)
  • মাতা তৃপ্তা (মাতা)

প্রাথমিক জীবন এবং পটভূমি

বেবে নানাকি ও তার ভাই, মেহতা কালু এবং মাতা ত্রিপ্তার সন্তান। তিনি জন্মেছিলেন লাহোরের কাছে চহল শহরে, (এখনকার কাসুর জেলা)। বেবে নানাকির নামকরণ করেছিলেন তার মাতামহ এবং মাতামহী। নানাকিঁয়া শব্দ, যার অর্থ মায়ের দিকের পিতামাতার ঘর, এই শব্দ থেকে তারা নানাকি নামকরণ করেছিলেন।[2] সম্মানের একটি চিহ্ন হিসাবে বেবে এবং জি তার নামে যোগ করা হয়েছিল। বেবে কথাটি বড় দিদিকে সম্মান জানানোর জন্য বলা হয় এবং সম্মান জানাতে যে কোন মানুষকেই জি বলা হয়। মাত্র ১১ বছর বয়সে বেবে নানাকির বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তখনকার দিনে কম বয়সে বিয়ে করা প্রথার মধ্যে পড়ত।

ভাই এবং বোন

বেবে নানাকির তার ভাইয়ের প্রতি একটি অসাধারণ আনুগত্য ছিল। তিনি প্রথম তার ভাইয়ের "আলোকিত আত্মা" চিনতে পারেন।[1] তিনি গুরু নানকের থেকে ৫ বছরের বড় ছিলেন, কিন্তু তিনি ভাইয়ের প্রতি একজন মায়ের একটি ভূমিকা পালন করেন। তিনি তাকে কেবল তাদের পিতার কাছ থেকে রক্ষা করেছেন তাই নয়, তিনি নিঃশর্তভাবে তাকে ভালোবাসতেন। ১৫ বছর বয়সে গুরু নানক দেবকে বেবে নানাকির সাথে বাস করতে পাঠানো হয়েছিল। তার ভেতরে স্বাধীনতার বীজ বপন করার জন্য, তিনি তার জন্য পত্নীর খোঁজ করা শুরু করলেন। তার স্বামীকে নিয়ে, বেবে নানাকি গুরু নানক দেবকে বিবাহ দেবার জন্য একজন মহিলাকে খুঁজে বার করলেন। তার নাম মাতা সুলখনি।[1] যেহেতু বেবে নানাকির নিজের সন্তান ছিল না তিনি তার ভাইয়ের সন্তানদের খুব ভালবাসতেন। তিনি তার ভাইয়ের সন্তান - শ্রী চন্দ এবং লখমি চন্দকে বড় করে তোলেন। [2]

বেবে নানাকি গুরু নানক দেবের প্রথম অনুসারী হিসাবে পরিচিত।[1] তিনি চিরতরে তার প্রতি এবং তার কারণের প্রতি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি গুরু নানক দেবকে, সঙ্গীত ব্যবহার করে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করার অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য পরিচিত হয়ে আছেন। তিনি বুঝেছিলেন নানক দেবের সংগীত প্রতিভা আছে, তাই তিনি তাকে আরও সাহায্য করার জন্য একটি রবাব কিনে দেন। [2]

মৃত্যু

১৫১৮ সালে বেবে নানকী মারা যান। তার শেষ ইচ্ছা হিসাবে তিনি চেয়েছিলেন তার ভাই, গুরু নানক দেব, যেন মৃত্যুশয্যায় তার পাশে থাকেন। তিনি যখন শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছেন, তখন তাকে জপজি সাহিব থেকে পাঠ করে শোনানো হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "বেবে নানাকি গুরদ্বারা"। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-০৯
  2. "Sikh Women Now"। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১১

গ্রন্থ পঞ্জী

  • Singha, H. S. (২০০০)। "Nanaki, Bebe"। The Encyclopedia of Sikhism। Hemkunt Press। আইএসবিএন 9788170103011।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.