বেনাপোল এক্সপ্রেস
বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা-বেনাপোল রেলসড়কে চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন পরিষেবা যা ২০১৯ সালের ১৭ই জুলাই প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংস্থার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত এটি বিলাসবহুল, অত্যাধুনিক এবং প্রতিবন্ধী বান্ধব ট্রেন। ঢাকা থেকে এ ট্রেনে বেনাপোল যাতায়ত করতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। সপ্তাহে ছয় দিন বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ২৩:১৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে এবং বেনাপোলে পৌছায় সকাল ০৮:২০ মিনিটে। অন্য প্রান্তে এই ট্রেন বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে দুপুর ১২:৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ২০:৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর ট্রেন |
প্রথম পরিষেবা | ১৭ জুলাই ২০১৯ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ |
যাত্রাপথ | |
শুরু | বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন |
শেষ | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
যাত্রার গড় সময় | ৮ ঘণ্টা |
পরিষেবার হার | ৬ দিন (বুধবার বেনাপোল হতে ঢাকা বন্ধ, বৃহস্পতিবার ঢাকা হতে বেনাপোল বন্ধ) |
রেল নং | ৭৯৫/৭৯৬ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | এসি চেয়ার কার এবং চেয়ার কোচ |
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ |
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ |
ইতিহাস
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হলে ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী এবং খুলনা থেকে বেনাপোলগামী রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে রেলসড়ক ও স্টেশনসমূহ অবিনষ্ট থেকে যায়। ২০১৪ সালে যশোর থেকে বেনাপোল অবধি রেলসড়কের সংস্কার করা হয়। একই সঙ্গে স্টেশনগুলোর সার্বিক সংস্কার করা হয়। পরবর্তীকালে ঢাকা-কলকাতা রেলপরিষেবা প্রবর্তন করা হয়। তবে ঢাকা-বেনাপোল রুটে কোন সরাসরি রেল পরিষেবা না থাকায় বাংলাদেশ সরকার এই রুটে একটি নতুন ট্রেন সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯ এর জুলাই মাসের ১৭ তারিখ বুধবার বেনাপোল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে “বেনাপোল এক্সপ্রেস” যাত্রা শুরু করে। গণভবন থেকে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ রেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।[1] প্রাথমিক ভাবে তিনটি নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেগুলোর হলো বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্দর এক্সপ্রেস ও ইছামতী এক্সপ্রেস। প্রধানমন্ত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেস নামটি দেন।
সময়সূচী
নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭৯৫ | বেনাপোল | ১২:৪৫ | কমলাপুর | ২০:৪০ | বুধবার |
৭৯৬ | কমলাপুর | ২৩:১৫ | বেনাপোল | ০৮:২০ |
পরিবর্তনশীল বিধায় বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী জানা যেতে পারে।
যাত্রাবিরতির স্টেশনসমূহ
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেণটি বেনাপোল থেকে যাত্রা করে ঢাকা পৌঁছানোর মধ্যবর্তী ১০টি রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। এসব স্টেশনে যাত্রীরা ওঠানামা করেন।
ট্রেনে বগির সংখ্যা
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইন্দোনেশিয়া হতে আমদানি করা হয়েছে। এই ট্রেনে ১২ টি বগি যুক্ত। এ বগিগুলো হচ্ছে
- শোভন চেয়ার ৭টি
- এসি চেয়ার ১টি
- এসি কেবিন ১টি
- পাওয়ার কার ১টি
- গার্ড ব্রেক ২ টি।
মোট ১২ টি বগিতে আসন দিনের বেলা ৮৯৫টি, রাতে ৮৭১ টি। নিয়ে আগে চলতো
বর্তমানে এ টি বাংলাবান্ধার LHB কোচ দারা পরিচালিত জার মধ্যে রয়েছে ২ টি পাওয়ার কার ৭ টি শোভন চেয়ার কার ১ এসি চেয়ার কার আছে।
সুযোগ-সুবিধা
ট্রেনে দুটি ক্যান্টিন যুক্ত আছে। এখানে বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, রোল, রুটি, চা, কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, ভাজা মুরগী, কাবাব, সামুচা, বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় পাওয়া যায়।যে কোন মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে
তথ্যসূত্র
- "বিরতিহীন 'বেনাপোল এক্সপ্রেস' ট্রেনের যাত্রা শুরু আজ"। প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯।