বেণুধর রাজখোয়া

বেণুধর রাজখোয়া (ইংরেজি: Benudhar Rajkhowa; অসমীয়া: বেণুধর রাজখোৱা) অসমের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, গল্পকার ও প্রবন্ধকার। তিনি ইংরেজ সরকার থেকে রায়সাহাব উপাধি প্রাপ্ত করেছিলেন। তিনি ১৮৮৯ সনে নাটক রচনার কার্য আরম্ভ করেন ও পদ্মনাথ গোহাঞিবরুয়ার সহিত তিনি বিজুলি নামক অসমীয়া আলোচনী পত্রিকায় অবদান রেখেছিলেন। অসমীয়া সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য অসমের মুখ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অসম সাহিত্য সভা ১৯২৬ সনের অক্টোবর মাসে ধুবরিতে অনুষ্ঠিত বার্ষিক অধিবেশনে তিনি সভাপতিত্ব করেছিলেন।[1] পরবর্তী সময়ে তিনি শিবসাগরের আধুনিক মঞ্চ আন্দোলনে জড়িত হয়েছিলেন। তিনি নিজের রচিত কয়েকটি নাটকে সমাজের ছোট খাটো ভুল-ভ্রান্ত্রি ইত্যাদি সংশোধন করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন।[2]

বেণুধর রাজখোয়া
জন্মডিসেম্বর, ১৮৭২
খোয়াঙ, ডিব্রুগড়, অসম
মৃত্যু১৯৫৫ সন
পেশাউপায়ুক্ত, গল্পকার, প্রবন্ধকার
ভাষাঅসমীয়া
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়
শিক্ষাস্নাতক

জন্ম ও পরিবার

১৮৭২ সনের ডিসেম্বর মাসে বেণুধর রাজখোয়ার জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম সুচান্দরাম রাজখোয়া ও মাতার নাম হিরাবতি রাজখোয়া।

শিক্ষা

বেণুধর রাজখোয়া প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ডিব্রুগড়ে সম্পূর্ণ করেন ও উচ্চ শিক্ষা কলকাতা থেকে গ্রহণ করেন। ১৮৯৬ সনে কলকাতা থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে অসমে ফিরে আসেন। অসমে তিনি বিভিন্ন বিভাগে চাকরি করেন ও ১৯৩১ সনে উপায়ুক্তের পদে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৯২৬ সনে ধুবরিতে অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সভার ৯তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছিলেন।

মৃত্যু

১৯৫৫ সনে বেণুধর রাজখোয়ার মৃত্যু হয়।[2]

সাহিত্যিক অবদান

  1. চন্দ্র সম্ভব (১৮৯৫),
  2. পঞ্চ কবিতা( ১৮৯৫),
  3. দশগীত( ১৮৯৯),
  4. সরু লরার গান (১৯০১),
  5. ডেকা-গাভরু (১৮৮৯),
  6. সেউতি কিরণ (১৮৯৪),
  7. অসমীয়া ভাই (১৯০১),
  8. দরবার (১৯০২),
  9. দুর্যোধনর উরুভঙ্গ (১৯০৩),
  10. কলিযুগ(১৯০৪),
  11. বাঁহী (১৯০৬),
  12. দক্ষযজ্ঞ (১৯০৮),
  13. কুরি শতিকার সভ্যতা (১৯০৮),
  14. লখিমী তিরোতা (১৯০৯),
  15. অশিক্ষিতা ঘৈণী (১৯১২),
  16. বিপ্র দামোদর (অসমীয়া খণ্ড)(১৯১৭),
  17. তিনি-ঘৈণী (১৯২৮),
  18. চোরর সৃষ্টি (১৯৩১),
  19. যমপুরী (১৯৩১),
  20. টোপনির পরিণাম (১৯৩২)
আত্মজীৱনী

মোর জীৱন দাপোন (১৯৬৯)[3]

তথ্যসূত্র

  1. ১৯১৭ চনর পরা অসম সাহিত্য সভার সভাপতিসকলর তালিকা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে অসম সাহিত্য সভার ৱেবছাইট, আহরণ: ১৮ নৱেম্বর, ২০১২।
  2. ত্রিদিপ গোস্বামী। পদ্মনাথ গোহাঞি বরুৱার পরা রংবং তেরাঙলৈ। অনন্ত হাজরিকা, বনলতা প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৩৬, ৩৭।
  3. Amaresh Datta (১৯৮৭)। Encyclopaedia of Indian Literature: A-Devo। Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 273–। আইএসবিএন 978-81-260-1803-1। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.