বেঙ্গল বাউটস

বেঙ্গল বাউটস হলো নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের মেনস বক্সিং ক্লাব আয়োজিত একটি বার্ষিক দাতব্য বক্সিং প্রতিযোগিতা, যেটি ইএসপিএন এ সম্প্রচার করা হয় এবং এর আয় থেকে বাংলাদেশে কার্যরত পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘ লাভবান হয়। বাংলাদেশে অবস্থানরত পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘের সদস্যরা নটর ডেম কলেজ, ঢাকা, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, হলিক্রস কলেজ, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে।[1] ১৯২০ সালে কিংবদন্তিতুল্য ফুটবল প্রশিক্ষক নুট রকনি কর্তৃক তাঁর খেলোয়াড়দের খেলা ব্যতীত অন্য অন্য সময়ে প্রশিক্ষণের জন্য শুরু করা হলেও পরবর্তীতে প্রতিযোগিতাটি অন্য সকল ছাত্রের জন্যও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।[2][3] ডোমিনিক ন্যাপি নোপালিতানো র দিকনির্দেশনায় আয়োজনটির দাতব্য কার্যক্রম মেনস বক্সিং ক্লাবের মন্ত্র "শক্তিশালীরা লড়ে, আর দুর্বলেরা শুধু পুষ্টিগ্রহণ করেই থাকে" ইংরেজি: ("Strong Bodies Fight, that Weak Bodies May Be Nourished") অনুসরণ করে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।[4]

নবীন মুষ্টিযোদ্ধাদের শরৎকালে নির্দেশনা মেনে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রস্তুত হতে হয়। এবং অভিজ্ঞ মুষ্টিযোদ্ধারা প্রতিযোগিতার ঠিক আগে ৬ সপ্তাহের কঠোর বাধ্যতামূলক অনুশীলন শুরু করে।[5] সাম্প্রতিক সময়ে মেনস বক্সিং ক্লাবের সদস্যসংখ্যা বেড়ে ২৩০ জনের বেশি হয়ে গেছে, যেখানে প্রথম বর্ষের ছাত্র থেকে স্নাতকপাশ শিক্ষার্থীরাও রয়েছে যারা ১২ টি ওজনশ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে অনুশীলন করে। ২০১০ সালে বেঙ্গল বাউটস ২০১০ সালে বাংলাদেশে হলিক্রসের কার্যক্রমের জন্য প্রায় এক লক্ষ ডলার অনুদান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এই এক লক্ষ ডলার আয়োজনটির সমস্ত খরচ মিটিয়েও উদ্বৃত্ত ছিল। আগে নটর ডেম ফিল্ডহাউসে অনুষ্ঠিত হলেও বর্তমানে প্রতিযোগিতাটি জয়েস সেন্টার - জেএসিসি তে অনুষ্ঠিত হয় এবং ইএসপিএন এ সম্প্রচারিত হয়। ২০০৫ সালে একই আয়োজনের সহ আয়োজন হিসেবে নারীদের জন্য বারাকা বাউটস শুরু করা হয়, যেটি পূর্ব আফ্রিকার মিশনগুলোর জন্য অনুদান সংগ্রহ করে।[6]

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. কস্তা, বেঞ্জামিন (৩০ এপ্রিল ২০১৫)। "বাংলাদেশে শিক্ষাসেবায় আমাদের অবদান"দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩
  2. "Notre Dame 2008 Boxing Club Information"। University of Notre Dame। ২০০৮-০৯-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-২৪
  3. Cortese, Anthony J. (আগস্ট ১, ১৯৯৭)। "The Notre Dame Bengal Bouts - symbolic immortality through sport"। Journal of Sport Behavior।
  4. "The Bengal Bouts"। University of Notre Dame। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১১-০৫
  5. "2007-2008 Club Sports"। University of Notre Dame। ২০০৮-০৩-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-২৪
  6. "Notre Dame Magazine"। University of Notre Dame। আগস্ট ১৬, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-২৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.