বুদ্ধিদীপ্ত নকশা
বুদ্ধিদীপ্ত নকশা বা বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্প (ইংরেজি ভাষায়: Intelligent design) বলতে একটি যুক্তিকে মেনে নেয়া বোঝায়[1][2] যা হল, "মহাবিশ্ব এবং এর মধ্যস্থিত জীবিত বস্তুগুলোর মধ্যে যত জটিলতা আছে তা একটি বুদ্ধিদীপ্ত কারণের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছে, প্রাকৃতিক নির্বাচনের মত কোন অনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নয়।"[3] এটি স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে প্রথাগত ধর্মতাত্ত্বিক যুক্তির একটি আধুনিক রূপ। ১৯৮৭ সালে সৃষ্টিতত্ত্বকে পাঠ্যবইয়ের অংশ হিসেবে বিজ্ঞানের সাথে পড়ানোর বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি রায় দেয়া হয়েছিল। এই রায়ের উপযুক্ত জবাব হিসেবেই প্রথমদিকে বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্পের বিকাশ ঘটেছিল। এই অনুকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবকদের সবাই ছিলেন মার্কিন ভিত্তিক খ্রিস্টান ধর্মীয় সংস্থা ডিসকভারি ইনস্টিটিউটের সদস্য বা সহযোগী।[4] তারা ধারণা পোষণ করেছিলেন যে, এই বুদ্ধিমান পরিকল্পনাকারী হলেন খ্রিস্টান ধর্মের ঈশ্বর। এর প্রবক্তারা এটিকে বৈজ্ঞানিক বলে মনে করেন এবং বিজ্ঞানকে বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত ঘটনা বিশ্বাস করানোর ক্ষেত্রে তারা এই তত্ত্ব অনুকল্প প্রয়োগ করেন।
বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্প |
---|
নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর একটি ধারাবাহিকের অংশ |
মতবাদসমূহ |
|
আন্দোলন |
|
প্রচারণা |
|
সংগঠন |
|
প্রতিক্রিয়া |
|
সৃজনবাদ |
|
তথ্যসূত্র
- Boudry, Maarten; Blancke, Stefaan; Braeckman, Johan (ডিসেম্বর ২০১০)। "Irreducible Incoherence and Intelligent Design: A Look into the Conceptual Toolbox of a Pseudoscience"। The Quarterly Review of Biology। Chicago, IL: University of Chicago Press। 85 (4): 473–482। ডিওআই:10.1086/656904। পিএমআইডি 21243965। Article available from Universiteit Gent
- Pigliucci 2010
- "CSC - Top Questions: Questions About Intelligent Design: What is the theory of intelligent design?"। Center for Science and Culture। Seattle, WA: Discovery Institute। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১৬।
- "Intelligent Design Theory in a Nutshell" (PDF)। Seattle, WA: Intelligent Design and Evolution Awareness Center। ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১৬।
- "Intelligent Design"। Intelligent Design network। Shawnee Mission, KS: Intelligent Design network, inc.। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১৬।
- "Media Backgrounder: Intelligent Design Article Sparks Controversy"। Center for Science and Culture। Seattle, WA: Discovery Institute। সেপ্টেম্বর ৭, ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২৮।
- Johnson, Phillip E. (জুন ২০০২)। "Berkeley's Radical"। Touchstone: A Journal of Mere Christianity (সাক্ষাৎকার)। 15 (5)। সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন James M. Kushiner। Chicago, IL: Fellowship of St. James। আইএসএসএন 0897-327X। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১৬। Johnson interviewed in November 2000.
- Wilgoren, Jodi (আগস্ট ২১, ২০০৫)। "Politicized Scholars Put Evolution on the Defensive"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২৮।
- Downey 2006