বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (জন্মঃ মার্চ ১, ১৯৪৪) একজন ভারতীয় কমিউনিস্ট নেতা এবং বর্তমানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) দলের পলিটব্যুরোর সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।[2]

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
ডিসেম্বর ২০০৬ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
পশ্চিমবঙ্গের ৭ম মুখ্যমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৬ নভেম্বর ২০০০  ১৩ মে ২০১১[1]
গভর্নরবীরেন জে. শাহ
গোপালকৃষ্ণ গান্ধী
দেবানন্দ কোঁয়র
এম. কে. নারায়ণন
পূর্বসূরীজ্যোতি বসু
উত্তরসূরীমমতা ব্যানার্জী
পশ্চিমবঙ্গের ২য় উপ-মুখ্যমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১২ জানুয়ারি ১৯৯৯  ৫ নভেম্বর ২০০০[1]
মুখ্যমন্ত্রীজ্যোতি বসু
পূর্বসূরীজ্যোতি বসু
উত্তরসূরীশূন্য
বিধানসভা সদস্য, পশ্চিমবঙ্গ
কাজের মেয়াদ
১৯৮৭  ২০১১
পূর্বসূরীঅশোক মিত্র
উত্তরসূরী মনীশ গুপ্ত
সংসদীয় এলাকা যাদবপুর
কাজের মেয়াদ
১৯৭৭  ১৯৮২
পূর্বসূরীপ্রফুল্ল কান্তি ঘোষ
উত্তরসূরীপ্রফুল্ল কান্তি ঘোষ
সংসদীয় এলাকা কাশীপুর
পলিট ব্যুরোর সদস্য, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)
কাজের মেয়াদ
২০০২  ২০১৫
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1944-03-01) ১ মার্চ ১৯৪৪
কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)
সম্পর্কসুকান্ত ভট্টাচার্য (চাচা)
বাসস্থানপাম এভিনিউ,কলকাতা
প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রেসিডেন্সি কলেজ, শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়
জীবিকারাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক, স্কোলিয়াবিদ, কলামিস্ট, কবি, বক্তা

শৈশব ও শিক্ষা

১৯৪৪ সালে উত্তর কলকাতার যে পরিবারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন, সেই পরিবারের আর এক বিখ্যাত মানুষ হলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য,যিনি হলেন সম্পর্কে বুদ্ধদেবের কাকা।১৯৬১ সালে বুদ্ধদেব কলকাতার শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয় থেকে মানবিকী বিদ্যা নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন এবং ১৯৬৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলা নিয়ে কলা শাখায় সাম্মানিক স্নাতক হন। স্কুলজীবনে তিনি এন.সি.সি-তে যোগদান করেন। কলেজজীবনেও তিনি এন.সি.সি-র ক্যাডেট (নৌ শাখা) ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন

কলেজজীবনে রাজনীতিতে যোগদান করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তাল খাদ্য আন্দোলনের সাথে সাথে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে যোগদান করেন। তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক হন যা পরবর্তী কালে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন রূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৭ সালে তিনি কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন কিন্তু ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের প্রফুল্ল কান্তি ঘোষ এর কাছে ৭৮২ ভোট পরাজিত হন। ১৯৮৭ সালে তিনি তার নির্বাচনী কেন্দ্র পরিবর্তন করে যাদবপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই কেন্দ্র থেকে তিনি টানা ৫ বার জয়ী হন। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্র থেকেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মণীশ গুপ্তের কাছে পরাজিত হন। তিনি সি. পি. আই (এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, সি. পি. আই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সি. পি. আই (এম) পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

  • ১৯৭৭-৮২ : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মন্ত্রিসভায় তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এই বিভাগ পরে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ নামে পরিচিত হয়
  • ১৯৮৭-৯৬ : ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, স্থানীয় শাসন, পৌর ও নগরোন্নয়ন বিভাগ
  • ১৯৯১-৯৩ : ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, পুর ও নগর উন্নয়ন বিভাগ (অগ্নি নির্বাপণ পরিষেবা বাদে)
  • ১৯৯৪ : ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ
  • ১৯৯৬ : ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র (আরক্ষা) বিভাগ, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ
  • ১৯৯৯ : উপ-মুখ্যমন্ত্রী
  • নভেম্বর ৬, ২০০০ : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন
  • মে ১৮, ২০০১ : ত্রয়োদশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন
  • মে ১৮, ২০০৬ : চতুর্দশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন
  • মে ১৯, ২০১১ : পঞ্চদশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন

সম্মাননা

২০২২ সালে তিনি পদ্মভূষণ লাভ করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন।[3]

তথ্যসূত্র

  1. Business Standard (২০১১-০৫-১৬)। "Mamata to take over as Bengal CM on Friday"। Business-standard.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-১১
  2. পশ্চিমবঙ্গ সরকার
  3. "পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য"দ্য ডেইলি স্টার। ২৬ জানুয়ারি ২০২২।
পূর্বসূরী
জ্যোতি বসু
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী
২০০০-২০১১;
উত্তরসূরী
মমতা বন্দোপাধ্যায়
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.