বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন

ব্রিটিশ সময়কালে পার্বতীপুর-রুহিয়া এবং পাকিস্তান সময়কালে ১৯৬৭ সালে রুহিয়া-পঞ্চগড় রেললাইনটি তৈরি করা হয়[2]। এরপর থেকে আর সংস্কার না করায় রেলগাড়ি চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়। ২০১৩ সালে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত আধুনিক রেল যোগাযোগের উদ্ভোধন করেন। সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে ৯৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চগড় - ঠাকুরগাঁও - দিনাজপুর - পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রুপান্তর করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের আওতায় ২০১৬ সালে উন্নয়ন কাজ শেষ করা হয়।

বর্তমানে পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ চলমান।[3]

বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে। তাই সম্ভাবনার এই বন্দরে রেল যোগাযোগ স্থাপন করছে সরকার। বাস্তবায়িত হলে ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্রবন্দর মংলার সাথেও সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।[4] পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা ৫৭ কিলোমিটার রেলপথে পাঁচটি স্টেশন, চারটি নদীতে বড় সেতু, ১৪টি কালভার্ট নির্মাণ হবে ও চারটি সড়ক স্থানে মহাসড়ক অতিক্রম করবে।[5] নতুন পাঁচটি বি-ক্লাস স্টেশনগুলো হলো- এই স্টেশন থেকে,

1. জগদল রেলওয়ে স্টেশন
2. ভজনপুর রেলওয়ে স্টেশন
3. তেঁতুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন
4. তিরনইহাট রেলওয়ে স্টেশন
5. বাংলাবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন।[6]

পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন (বী.মু.সি.ই.) থেকে বর্তমানে ৮ টি ট্রেন চলাচল (আসা-যাওয়া) করে।

• 
• 
• 
• 
• 
  স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন
• 
  রাতের বেলায় স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন
• 
  স্টেশনের রেললাইন
• 
  স্টেশনে ট্রেনের সময়সূচী (২০১৯)

উইকিমিডিয়া কমন্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।

লুয়া ত্রুটি মডিউল:পার্শ্ববর্তী_স্ এর 238 নং লাইনে: অজানা লাইন "পঞ্চগড়-পার্বতীপুর"।