বীড জেলা
বীড জেলা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি প্রশাসনিক জেলা। জেলা সদর বীড শহরে অবস্থিত। জেলাটির আয়তন ১০,২৯৩ বর্গকিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা ২,৫৫৫,০৯৯ জন যার মধ্যে ১৭.৯১% শহরে বসবাস করেন(২০১১ অনুযায়ী)।.[1]
বীড জেলা | |
---|---|
মহারাষ্ট্রের জেলা | |
মহারাষ্ট্রের মধ্যে বীড জেলার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মহারাষ্ট্র |
বিভাগ | ঔরঙ্গাবাদ বিভাগ |
সদর শহর | বীড |
তালুক | 1. বীড, 2. আষ্টি, 3. পাতোদা, 4. শিরুর কাসার, 5. গেওরাজ, 6. অম্বাজগাই, 7. ওয়াদ্বানি, 8. কালিজ, 9. ধারুর, 10. পারলি, 11. মজালগাঁও |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | বীড (ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়বসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ) |
আয়তন | |
• Total | ১০,৬৯৩ বর্গকিমি (৪,১২৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• Total | ২৫,৮৫,০৪৯ |
• জনঘনত্ব | ২৪০/বর্গকিমি (৬৩০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ১৭.৯১% |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় সময় (ইউটিসি+05:30) |
ওয়েবসাইট | beed |
ইতিহাস
বীড জেলার সাথে জড়িয়ে রয়েছে বহু শাসক ও রাজত্বের দীর্ঘ ইতিহাস। প্রাচীন যুগে এই শহরটিকে চম্পাবতী নগরী নামে ডাকা হত। বীড শহরের বুকে প্রবেশ তোরণ (স্থানীয় ভাষায় ভেস নামে পরিচিত এবং সুরক্ষা প্রাচীরের আকারে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। উনিশ শতক অবধি মারাথ্বাড়ার এই অংশটি নিজাম রাজতন্ত্রের অধীনে ছিল, তবে পরে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এবং নিজাম সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধের মাধ্যমে জেলাটি পরবর্তীকালে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়।
অর্থনীতি
বীডের প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি হল কৃষি এবং এই কৃষিকাজ বহুলাংশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে। শুষ্ক মরশুমে বীড থেকে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্রের অন্যত্র আখ তোলার কাজের জন্যে যান।
বিভাগ
জেলাটি ১১টি তালুক বা মহকুমায় বিভক্ত; এইগুলি হল -
- বীড
- আষ্টি
- গেওরায়
- আম্বেজোগাই
- কালিজ
- পার্লি (বৈজনাথ)
- মাঝলেগাঁও
- পাতোদা
- শিরুর (Kasar)
- ওয়াদ্বানি
- ধারুর
জনমিতি
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে বীড জেলার জনসংখ্যা ২,৫৮৫,০৪৯ জন[2], প্রায় কুয়েত বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রাজ্যের সমান। জনসংখ্যার বিচারে বীড ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ১৬০ তম স্থানে অবস্থান করে। জেলাটির জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৪২ জন (৬৩০ জন/ বর্গ মাইল)। ২০০১ থেকে ২০১১ এর দশকে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ১৯.৬৫%। বিডে প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১২ জন স্ত্রীলোক রয়েছেন।
ভারতের ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৮৩.৩৮% মানুষ মারাঠি ভাষায়, ৮.২% মানুষ উর্দু ভাষায় এবং ০.৪৮% মানুষ তেলুগু তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে ব্যবহার করেন[3]।
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৪,৮১,১৪০ | — |
১৯১১ | ৬,০৬,১০৪ | +২৬% |
১৯২১ | ৪,৫৩,৮৪৪ | −২৫.১% |
১৯৩১ | ৬,১৬,৬৭৫ | +৩৫.৯% |
১৯৪১ | ৬,৯১,৯৪৬ | +১২.২% |
১৯৫১ | ৭,৮৪,৯২০ | +১৩.৪% |
১৯৬১ | ৯,৪৯,৬৭৩ | +২১% |
১৯৭১ | ১২,২৩,৬৯৪ | +২৮.৯% |
১৯৮১ | ১৪,১২,৯৯০ | +১৫.৫% |
১৯৯১ | ১৮,২২,০৭২ | +২৯% |
২০০১ | ২১,৬১,২৫০ | +১৮.৬% |
২০১১ | ২৫,৮৫,০৪৯ | +১৯.৬% |
আরও দেখুন
- মারাথ্বয়াড়া পর্যটন
তথ্যসূত্র
- "Archived copy"। ২০১০-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-২৭।
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- 2011 Census of India, Population By Mother Tongue
বহিঃসংযোগ
- বীড জেলার সরকারী ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে
- অপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বীড.