বিসর্গ
সংস্কৃতে বিসর্গ শব্দের অর্থ নির্গমন বা বিসর্জন। সংস্কৃত ধ্বনিতত্ত্ব অনুযায়ী বিসর্গ (বা পূর্বের কিছু ব্যকরণবিদদের ভাষ্যে "বিসর্জনীয়") একটি ধ্বনির নাম। এই ধ্বনিটি অঘোষ কণ্ঠনালীয় ঊষ্মধ্বনি ("হ্", /h/)। এটি বিভিন্ন সংস্কৃত-প্রভাবিত ভাষা বা ব্রাহ্মী-উদ্ভূত লিপিতে বৈশিষ্ট্যসূচক বা ধ্বনিনির্দেশক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
লিপি/ভাষা | চিহ্ন |
---|---|
দেবনাগরী | ः |
বাংলা লিপি | ঃ |
বর্মী লিপি | ◌း |
ঃ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিসর্গ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বাচন অন্তে বিসর্গ ঘোষ দন্তমূলীয় কম্পনজাতধ্বনি ("র্", /r/) ও অঘোষ দন্তমূলীয় ঊষ্মধ্বনির ("স্", /s/) সহধ্বনি। সংস্কৃত ধ্বনির গতানুগতিক ধারায় বিসর্গ এবং অনুস্বার স্বরবর্ণ ও স্পর্শ ব্যঞ্জনবর্ণের-এর মাঝে আসে।
ধরণ
বিসর্গ মুলত কোলন (:) চিহ্নের সাদৃশ্য - দেবনাগরীতে বিন্দু (.) এবং বাংলা লিপিতে শুন্য (o) দিয়ে ফুটকিগুলো দেয়া হয়। সংস্কৃত ধ্বনিতত্ত্ব অনুযায়ী বিসর্গের দুটি সহধ্বনি আছে: "জিহ্বামূলীয়" (কন্ঠ্য বিসর্গ) এবং "উপধ্মানীয়" (উষ্ম বিসর্গ)। প্রথমটি "ক", "খ"-এর আগে এবং দ্বিতীয়টি "প", "ফ"-এর আগে উচ্চারিত হয়, যেমন - তব পিতামহঃ কঃ (তোমার দাদা কে?), পক্ষিনঃ খে উড্ডয়ন্তে (পাখিরা আকাশে উড়ে), ভোঃ পাহি (মহাশয়, আমাকে বাঁচান) এবং তপঃফলম্ (প্রায়শ্চিত্তের ফল)।