বিরাটনগর, নেপাল

বিরাটনগর[1] হল নেপাল- এর দ্বিতীয় বৃহত্তম সাবমেট্রোপলিটোন শহর এবং চতুর্থ বৃহত শহর।শহরটি নেপালের পূর্ব ভাগে অবস্থিত।এই শহরের মোট আয়তন হল ২২.৫৮ বর্গ মাইল বা ৫৮.৬৬ বর্গ কিলোমিটার ।বিরাটনগর শহরটি ভারতনেপালের সীমান্ত রেখার খুব কাছে অবস্থিত।এটি নেপালের পূর্বাংশের কেন্দ্রীয় অংশ।এটি কোশি জোন- এর মধ্যে অবস্থিত।বিরাটনগর শহরটি মোরাং জেলার সদর দপ্তর।শহরটি নেপালের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসাবে পরিচিত।এছাড়া শহরটি দেশের পর্যটনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।এটি ভারত ও নেপালের যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে কাজ করে।

বিরাটনগর
বিরাটনগর গেট
বিরাটনগর গেট
ডাকনাম: নেপালের বাণিজ্যিক রাজধানী
বিরাটনগর নেপাল-এ অবস্থিত
বিরাটনগর
বিরাটনগর
স্থানাঙ্ক: ২৬.২৮° উত্তর ৮৭.১৬° পূর্ব / 26.28; 87.16
দেশনেপাল
উন্নয়ন অঞ্চলপূর্ব
জোনকোশি
জেলামোরাং জেলা
আয়তন
  মোট৫৮.৬৬ বর্গকিমি (২২.৬৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট২,০১,১২৫

ভূগোল

বিরাটনগর শহরটি হিমালয় পর্বত এর পাদদেশে নেপালের তরাই ভূমিতে অবস্থিত।এটি সমুদ্র সমতল থেকে ৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।শহরটি ২৬.২৮ উত্তর ও ৮৭.১৬ পূর্বে অবস্থিত।বিরাটনগর শহরটি দেশের রাজধানী কাটমান্ডু থেকে সড়ক পথে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।ভারতের সীমান্ত থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।শহরটির কাছেই বন্য অরণ্য অঞ্চল রয়েছে।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগননায় শহরটির মোট জনসংখ্যা হয়েছে ২,০১,১২৫ জন।এই জনসংখ্যার হিসাবে বিরাটনগর শহরটি নেপাল- এর চতুর্থ বৃহত শহর (প্রথম কাটমন্ডু -৯,৭৫,৪৫৩, দ্বিতীয় হল পোকরান - ২,৫৫,৪৬৫ , তৃতীয় হল পাটন- ২,২০,০৪২)।এই শহরটি আয়তনের হিসাবে আবার দ্বিতীয় বৃহত্ত।বিরাটনগর শহরের জনসংখ্যার বেশির ভাগ মানুষ হিন্দু ধর্মালম্বি।এছাড়াও এই শহরের মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের কিছু মানুষ বাস করে।শহরটির জনসংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতিহাস

বিরাটনগর শহরের পুরোন নাম ছিল গোগরাহা বাজার ।১৯১৪ সালে কোলোনেল জিট বাহাদুর খাটরি ছিলেন মোরাং জেলার প্রধান । সেই সময় তিনি বিরাটনগর শহরের নির্মাণ করেন হাসপাতাল, পোষ্ট ওফিস বা ডাক ঘর, আদালত, রেজিষ্টি অফিস, জেলখানা বা সংশোধনাগার, বিদ্যালয়।প্রধানত তার হাত ধরেই বিরাটনগরের আধুনিকি করন শুরু হয়।এর পর ১৯১৯ সালে কেশব সামশের রানা এই অঞ্চলে ভিরাট রাজার কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন যে বিরাটনগর বিরাট সাম্রাজ্য- এর অন্তর্গত ছিল এক সময়।এই এলাকায় সেই প্রমাণ হিসাবে একটি দুর্গও রয়েছে।এর পর এই শহর বা জনপদের নাম রাখা হয় বিরাটনগর।এই বিরাট সামরাজ্য মহাভারত- এ উল্লেখ রয়েছে।১৯৪৭ সালের পর রানার বিরধী পতিপক্ষের উদ্ভব হয়।এই সময় বিরাটনগর পাট কল - এ হরতাল হয়।শহর কার্যত রুদ্ধ হয়ে পরে।এই আলনন্দলনে ছিলেন গিরিজা প্রসাধ কৈরালা ও বিশ্বয়েশ্বর প্রসাধ কৈরালা।এর পর রানা জামানার অবসান হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা

বিরাটনগর হর নেপালের পূর্বাংশের প্রধান শিক্ষা কেন্দ্র ।এখানে পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।শহরটিতে অনেক গুলি কলেজ রয়েছে।এছারক এখানে ইংরাজি মাধ্যমের ও বিদ্যালয় রয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

  • সড়ক: শহরটি দেশের রাজধানী কাটমন্ডু থেকে ৩৯৯ কিমি দূরে এবং সড়ক পথে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এই সড়ক পথে কাটমান্ড ও বিরাটনগরের মধ্যে বাস চলাচল করে।এছার পূর্বাঞ্চলের অন্য এলাকার সঙ্গে বিরাটনগর সড়ক পথে যুক্ত।
  • বিমান: শহরটিতর প্রধান বিমান বন্দর হল বিরাটনগর বিমানবন্দর ।এই বিমানবন্দর দ্বারা শহরটি কাটমন্ডু ও দেশুর অন্য বিমানববন্দরের সঙ্গে যুক্ত।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.