বিভব

বিভব বা ভোল্টেজ বা চার্জমাত্রা বা আধানমাত্রা (ইংরেজি: Voltage) হচ্ছে বৈদ্যুতিক চাপ। পরিবাহীর পরমাণুগুলোর ঋণাত্মক কণিকা বা ইলেকট্রনসমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ভোল্টেজ বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে, অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে একটি একক ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয়, তা হলো ঐ স্থানের বিভব বা ভোল্টেজ। তাই ভোল্টেজ কাজের আরেকটি রূপ। আরও বলা যায়, কোন বস্তুর যে বৈদ্যুতিক ধর্মের কারণে তা অন্য বস্তুর সংস্পর্শে তা আধান গ্রহণ বা প্রদান করে বা আধান গ্রহণ বা প্রদান হতে বিরত থাকে তাকে ঐ বস্তুর বিভব বলে। আবার তাপমাত্রার সাথে তুলনা করে বলা যায়, কোন বস্তুর পৃষ্ঠতলের একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ অস্থিতিশীল ধনাত্বক বা ঋনাত্বক চার্জ বা শূন্য চার্জ উপস্থিত থাকে তাকে ঐ সম্পূর্ণ বস্তুর তড়িৎ বিভব বা চার্জমাত্রা বা আধানমাত্রা বলে। অর্থাৎ বিভব হল কোন বস্তুর চার্জের ঘনত্ব। ভোল্টেজের প্রতীক V এবং একক Volt (ভোল্ট)। যদি অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে Q ধনাত্মক চার্জ তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে W পরিমাণ কাজ করতে হয়, তাহলে

ব্যাটারি, ভোল্টেজের একটি উৎস

অসীম বা শূন্য বিভবের স্থান থেকে যদি 1C (কুলম্ব) ধনাত্মক চার্জকে তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে 1J (জুল) কাজ করতে হয় তাহলে ঐ বিন্দুর বিভবকে 1V (ভোল্ট) বলে। সাধারণত তড়িৎ বিষয়ক বিভিন্ন কাজে বিভব পার্থক্য ব্যবহার করা হয়। কারণ একটি বিন্দু থেকে আরেকটি বিন্দুতে তড়িৎ প্রবাহ করতে হলে অবশ্যই বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করতে হবে। তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়। কোনো বস্তুর ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি পাওয়া মানে বস্তুর বিভব বৃদ্ধি পাওয়া। আবার উল্লেখ্য, তড়িৎ উচ্চ বিভব থেকে নিম্ন বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়, কিন্তু পরিবাহীর ইলেক্ট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.