বিবেক এক্সপ্রেস

বিবেক এক্সপ্রেস ইন্ডিয়ান রেলওয়ের এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ট্রেন৷ ট্রেনগুলো তৎকালীন রেলওয়ে মিনিস্টার কর্তৃক ২০১১-১২ রেলওয়ে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ ট্রেনগুলো ২০১৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দ এর ১৫০ তম জন্মদিনে তার স্মৃতির স্মরণে উদ্বোধন করা হয়৷ বিবেক এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর মধ্যে একটি ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারী চলাচল করে, যা ইন্ডিয়ান রেলওয়ের ট্রেনগুলোর মধ্যে দীর্ঘতম রুটের ট্রেন এবং বিশ্বের মধ্যে ৯ম দীর্ঘতম রুটের ট্রেন৷[1]

19027 বিবেক এক্সপ্রেস

বিবেক এক্সপ্রেস ট্রেন এর তালিকা

ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী বিবেক এক্সপ্রেস

প্রতি সপ্তাহে চলাচলকারী এই ট্রেনটি, যার নম্বর ১৫৯০৫/১৫৯০৬, বর্তমানে ভারত উপমহাদেশের দীর্ঘতম রুটের ট্রেন৷ এটি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল তথা আসামের ডিব্রুগড়কে ভারতের প্রধান ভূ-খন্ডের সর্ব-দক্ষিণ অঞ্চল তামিল নাড়ুর কন্যাকুমারীর সাথে সংযুক্ত করে৷ ট্রেনটি ডিব্রুগড় হতে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সর্বমোট ৪২৭৩ কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ করে৷

ওখা-টুতিকোরিন বিবেক এক্সপ্রেস

এটিও একটি সাপ্তাহিক ট্রেন, যার নম্বর ১৯৫৬৭/১৯৫৬৮৷ ট্রেনটি গুজরাটের ওখা(যা ভারতের সর্ব-পশ্চিমের অঞ্চল) এর সাথে দক্ষিণ ভারতের তামিল নাড়ুর থুথুকুডি যা পার্ল সিটি নামে পরিচিত, তাকে সংযুক্ত করে৷ ট্রেনটি ৫২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে ৩০৪৩ কিলোমিটার অতিক্রম করে৷ এটি গুজরট, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিল নাড়ুর মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে থাকে৷

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও ট্রেনটির গুরুত্ব রয়েছে৷ ট্রেনটি ধর্মীয় তাৎপর্য বহন করে এমন দুটি স্থান দ্বারকা ও রামেশ্বরমকে(যা থুথুকুডির নিকটে অবস্থিত) সংযুক্ত করে৷ ট্রেনটি যে গুরত্বপূর্ণ শহরগুলোর ভেতর দিয়ে চলাচল করে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রাজকোট, আহমেদাবাদ, বড়োদরা, সুরাট, মুম্বাই ভাসাই রোড, কল্যাণ, পুনে, বেঙ্গালুরু(কৃষ্ণরাজপুরাম), সালেম, কারুর এবং মাদুরাই৷[2]

বান্দ্রা টার্মিনাস জম্মু তাউয়ি বিবেক এক্সপ্রেস

এই ট্রেনটি মুম্বাই এর অন্যতম প্রধান স্টেশন বান্দ্রা টার্মিনাস হতে প্রথম চলাচল শুরু করে৷ ট্রেনটির নম্বর ১৯০২৭/১৯০২৪ এবং বিবেক এক্সপ্রেস এর অন্যান্য ট্রেন এর মতো এই ট্রেনটিও সাপ্তাহিক রুটিনে চলাচল করে থাকে৷ ট্রেনটি মুম্বাই বান্দ্রা টার্মিনাস হতে উত্তর ভারতের জাম্মু তাউয়ি পর্যন্ত চলাচল করে৷ দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য সাধারণ ট্রেন হতে এই ট্রেনটি ব্যতিক্রমধর্মী এই জন্য যে, ট্রেনটি নয়া দিল্লি বা দিল্লি এনসিআর হয়ে চলাচল করে৷ এই ট্রেনটি সুরাট, বড়োদরা, আহমেদাবাদ, মেহসানা, আবু সড়ক, যোধপুর, ডেগানা, সুজনগড়, চুরু, সাদুলপুর, হিসার, লুধিয়ানা, জলন্ধর প্রভৃতি স্থান অতিক্রম করে থাকে৷[3]

সাঁতরাগাছি- ম্যাঙ্গালোর সেন্ট্রাল বিবেক এক্সপ্রেস

২২৮৫১/২২৮৫২ নং বিবেক এক্সপ্রেস ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার সাঁতরাগাছিকে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোর সেন্ট্রাল এর সাথে সংযুক্ত করে৷ এটাও একটি সাপ্তাহিক ট্রেন৷ ট্রেনটি অন্যান্য বিবেক এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো নয়, এটি একটি সুপার ফার্স্ট ট্রেন৷ ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য, উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা ও কর্ণাটকের মধ্য দিয়ে চলাচল করে৷ ট্রেনটির চলার পথে যে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো পড়ে, সেগুলো হলো ভুবনেশ্বর, ব্রাহ্মণপর, বিজয়নগর, বিশাখাপ্তনম, রাজামূন্ড্র, ইলরু, বিজয়ওয়ারা, কোয়েম্বাটুর, কোঝিকোড ও কন্নুর ইত্যাদি৷

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

জনগণের সুবিধা ও চাহিদার কথা স্মরণ রেখে ভারতীয় রেলওয়ে মন্ত্রণালয় উত্তর ভারত হতে পূর্ব ভারতে বিবেক এক্সপ্রেস এর একটি ট্রেন চালু করার চিন্তা-ভাবনা করেছে৷ পূর্বে বিবেক এক্সপ্রেস এর ট্রেনগুলো ভারতের পূর্ব হতে দক্ষিণ, দক্ষিণ হতে পশ্চিম, পশ্চিম হতে উত্তর এবং পুনরায় পূর্ব হতে দক্ষিণে চলাচল করত৷ নতুন পরিকল্পনাকৃত উত্তর ভারত হতে পূর্ব ভারতে চলাচলকারী ট্রেনটি ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের বাজেটে পেশ করার পরিকল্পনা করা হয়৷

রেফারেন্স

  1. "Now, northeast & south come closer"। thehindu.com। ৩১ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭
  2. "Madurai-Dwaraka Vivek Express/19567Vivek Express"। India Rail Info। ২০১২-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭
  3. "বিবেক এক্সপ্রেস"। cleartrip.com। ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.