বিদ্যা সিনহা

বিদ্যা সিনহা (হিন্দি: विद्या सिन्हा; ১৫ নভেম্বর ১৯৪৭ - ১৫ আগস্ট ২০১৯) ভারতের একজন হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন। মূলত তিনি সত্তরের দশকের তিনটি খ্যাতিমান চলচ্চিত্রের জন্য স্মরণীয়, চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে রজনীগন্ধা (১৯৭৪), ছোটি সি বাত (১৯৭৬) এবং পতি পত্নী অউর ভো (১৯৭৮), প্রথম দুটি ছিলো অমল পালেকরের সঙ্গে এবং শেষেরটি ছিলো সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে। ১৯৭৪ সালেই তিনি তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন রাজা কাকা দ্বারা শুরু করেছিলেন যদিও তার জীবনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি ছিলো বক্স অফিসে ব্যর্থ। ১৯৮৬ সালে বিদ্যা অভিনয় থেকে অবসর নিয়ে ২০০০ সালে আবার ফিরে আসেন এবং চলচ্চিত্র সহ তিনি টেলিভিশনের নাটকের অভিনয়তেও পদচারণা রাখেন, ২০১১ সালের বডিগার্ড ছিলো তার মৃত্যুর (২০১৯ সালে মৃত্যু) আগ পর্যন্ত অভিনয় করা সর্বশেষ চলচ্চিত্র।[1]

বিদ্যা সিনহা
২০১১ সালে সিনহা
জন্ম(১৯৪৭-১১-১৫)১৫ নভেম্বর ১৯৪৭
বম্বে, বম্বে স্টেট, ভারত
মৃত্যু১৫ আগস্ট ২০১৯(2019-08-15) (বয়স ৭১)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৭৪-১৯৮৬; ২০০০-২০১৯
উচ্চতা১৬৩ সে.মি. (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি)
দাম্পত্য সঙ্গী
  • ভেঙ্কটেশ্বরন আইয়ার
    (বি. ১৯৬৮; মৃ. ১৯৯৬)
  • নেতাজি ভিমরাও সালুংখে
    (বি. ২০০১; বিচ্ছেদ. ২০০৯)

পূর্ব জীবন

বিদ্যার জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৫ই নভেম্বর মুম্বাইতে। তার বাবার নাম ছিলো প্রতাপ যিনি একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন, যদিও তার টাকা পয়সা বেশি ছিলোনা।[2]

কর্মজীবন

চলচ্চিত্র

১৮ বছর বয়সে (১৯৬৫ সালে) বিদ্যা মিস বম্বে নামক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, প্রতিযোগিতায় সাঁতার কাটার পোশাক পরা লাগে বিধায় তার প্রথমে লজ্জা লেগেছিলো কিন্তু তিনি তার বাবার কথা শুনে প্রতিযোগিতায় যোগ দেন এবং সেরা দশ জন সুন্দরীদের একজনে অবস্থান করেন।[2] বিদ্যার সাঁতার কাটার পোশাক পত্রিকায় ছাপা হয় এবং বিদ্যা বিভিন্ন টেলিভিশন এবং পত্রিকার বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ পেয়ে যান আর বাঙালি পরিচালক বসু চ্যাটার্জী বিদ্যাকে দেখে পছন্দ করে ফেলেন।[3][4] ১৯৭৪ সালে বিদ্যা অভিনীত একটি নিচু শ্রেণীর চলচ্চিত্র মুক্তি পায় যেটির নাম ছিলো রাজা কাকা[4] বিদ্যা বসু চ্যাটার্জীর রজনীগন্ধা (১৯৭৪ সালেই মুক্তিপ্রাপ্ত) দ্বারা বিদ্যা আলোর মুখ দেখেন, অমল পালেকরের সঙ্গে অভিনয় করা চলচ্চিত্রটি তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পায়।[4] চ্যাটার্জী ১৯৭৫ সালে বিদ্যা আর অমলকে নিয়ে ছোটি সি বাত (১৯৭৬) তৈরি করেছিলেন যেটি ছিলো আরেকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। বিদ্যা এরপর অনেক চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেতে থাকেন কিন্তু তার সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে অভিনয় করা চলচ্চিত্র পতি পত্নী অউর ভো ছাড়া আর কোনো চলচ্চিত্র দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি, বিদ্যা ১৯৮৬ সালে অভিনয় থেকে অবসর নেন।

টেলিভিশন

বিদ্যা ২০০০ সালে টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করা শুরু করে দেন।[5] তিনি স্টার প্লাস, সাহারা ওয়ান এবং জি টিভির নাটকে অভিনয় করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৬৮ সালে বিদ্যার সঙ্গে তার বাবা তাদের প্রতিবেশী এক তরুণের সঙ্গে বিদ্যার বিয়ে দেন, তরুণটির নাম ছিলো ভেঙ্কটেশ্বরেন আইয়ার, তামিলভাষী এই ব্যক্তি ১৯৯৬ সালে মারা যান। বিদ্যা এবং ভেঙ্কটেশ্বরেন কোনো সন্তান নেননি। ২০০১ সালে নেতাজি ভিমরাও সালুংখে নামের এক ডাক্তারকে বিয়ে করেন বিদ্যা যদিও তারা ২০০৯ সালে পৃথক হন।[6][7]

তথ্যসূত্র

  1. "Veteran actress Vidya Sinha dies at 71"। India Today। ১৫ আগস্ট ২০১৯।
  2. "'I still regret saying no to Raj Kapoor for Satyam Shivam Sundaram'"Rediff। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯
  3. < "Vidya Sinha: I Was Never Serious About My Career"। ১৪ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৪
  4. "Veteran actor Vidya Sinha passes away"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯
  5. "Vidya Sinha braces the limelight again"। ১৯ মে ২০০৬। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে < মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪
  6. "Vidya Sinha accuses husband of torturing her"। ৯ জানুয়ারি ২০০৯। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪
  7. "Actor Vidya Sinha wins case against ex-husband"। ২১ জুলাই ২০১১। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.