বিজয় স্মরণী কলেজ

ভাটিয়ারী বিজয় স্মরণী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ উত্তর চট্টগ্রামের একটি শীর্ষস্থানীয় এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানার ভাটিয়ারীতে অবস্থিত। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।[1]

বিজয় স্মরণী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
কলেজের প্রবেশদ্বার
নীতিবাক্যশিক্ষাই শক্তি
স্থাপিত১৯৯৩
অধ্যক্ষমোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৩৫ জন
শিক্ষার্থী২০০০
ঠিকানা
গ্রাম: ভাটিয়ারী, ডাকঘর: ভাটিয়ারী, থানা: সীতাকুন্ড, জেলা: চট্টগ্রাম।
, ,
২২.৪২৩৫৩৭° উত্তর ৯১.৭৪৮৪১২° পূর্ব / 22.423537; 91.748412
শিক্ষাঙ্গনভাটিয়ারী, সীতাকুন্ডচট্টগ্রাম
পোশাকের রঙসাদা
মানচিত্র

প্রতিষ্ঠার পটভূমি

চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্ধিত এলাকা ভাটিয়ারীতে ১৯৯৩ সালে [2] বিদ্যানুরাগী কিছু মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় তিন একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় বিজয় স্মরণী কলেজ। বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী (বিএমএ)-এর পশ্চিমে ঢাকা -চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেল পথের মধ্যবর্তী স্থানে এ প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।

মাত্র তিরানব্বই জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে আজকে প্রতিষ্ঠানটি হাজারো শিক্ষার্থীর পদভারে মুখরিত। এলাকার বিদ্যানুরাগীদের আশার প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সীতাকুন্ডের দক্ষিণাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর চালু হয় ১৯৯৩ সালে, স্নাতক(পাস) চালু হয় ১৯৯৯ সালে এবং সর্বশেষ স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয় ২০১০- ২০১১ শিক্ষাবর্ষ হতে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে স্মরণীয় বরণীয় করে রাখতে এ কলেজের নাম ‘‘বিজয় স্মরণী কলেজ’’। প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালনা পরিষদের প্রধান ছিলেন প্রফেসর আবদুর রহিম চৌধুরী।

পরবর্তীকালে এ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন (বর্তমান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার) মো: নুর হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর রণজিত কুমার ধর এবং চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর সবুক্তগীন মাহমুদ।

অবকাঠামো

মাঠসহ কলেজটির মূল ভবন
শহীদ মিনার

কলেজটির ৩টি পাকা ভবন এবং ১টি আধাপাকা ভবন রয়েছে[3] । দুটি ভবন সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক নির্মিত এবং একটি ভবন নিজস্ব তহবিলে নির্মিত।

বিভাগ সমূহ

এখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে ১০টি বিভাগ রয়েছে অধ্যয়ন করার জন্য।[4][5]

অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাসমূহ

আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার জন্য রয়েছে সমকালীন গ্রন্থসমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ল্যাব ও বিজ্ঞান গবেষণাগার। শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য রয়েছে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাংস্কৃতিক আয়োজন।[6]

আরো দেখুন

  • সীতাকুণ্ড উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা

তথ্যসূত্র

  1. "ডিগ্রী কলেজ সমূহ"। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২০
  2. "আমাদের ইতিহাস"www.bscollegectg.org
  3. "বিজয় স্মরণী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ"
  4. "কুমিরা আবাসিক স্কুল এণ্ড কলেজ সেরাদের সেরা"www.bd24live.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২০
  5. "শুদ্ধ বিতর্ক চর্চা সৃজনশীল মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে"দৈনিক সংগ্রাম। ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২০
  6. "শুদ্ধ বিতর্ক চর্চা সৃজনশীল মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী"দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.