বিজন সেন
বিজন সেন (১৯০৫- ২৪ এপ্রিল, ১৯৫০) একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের শহীদ।
বিজন সেন | |
---|---|
জন্ম | ১৯০৫ |
মৃত্যু | ২৪ এপ্রিল, ১৯৫০ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৫০ সাল পর্যন্ত) |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যার শিকার |
রাজনৈতিক দল | স্বাধীনতার পুর্বে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, স্বাধীনোত্তর কালে পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, সাম্যবাদী আন্দোলন |
বাংলাদেশে সাম্যবাদ |
---|
সিরিজের অংশ |
সাম্যবাদ প্রবেশদ্বার |
বিপ্লবী কর্মকাণ্ড
বিজন সেন বাংলাদেশের নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সশস্ত্র আন্দোলনে সাথে জড়িত হয়ে রাজনৈতিক ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিলেন। পুঁটিয়ামেল ডাকাতিতে অভিযুক্ত হয়ে আন্দামান সেলুলার জেলে দ্বীপান্তর হয়। মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশে থাকতেন। দেশ বিভাগের পরেও তিনি মাতৃভূমি পরিত্যাগ করেননি[1]।কমিউনিস্ট আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। মূলত নির্মাণ শ্রমিকদের সংগঠনের কাজ করতেন[2]।
অনশন আন্দোলন
কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়ে বন্দী হন। গোটা বাংলা জোড়া আন্দোলন দমনে পূর্ব পাকিস্তান সরকার তীব্র দমনপীড়ন চালায়। জেলের কারাবিধি লংঘন করা হতে থাকে এবং বন্দীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বিজন সেন রাজশাহী সেন্ট্রাল জেলের খাপরা ওয়ার্ডে বন্দী থাকাকালীন অনশন ধর্মঘট করছিলেন আরো ছয় জন কমিউনিস্ট নেতা কর্মীর সাথে। তাদের টানা অনশনের ফলে দাবী দাওয়া কিছু পরিমানে মেনে নিতে বাধ্য হয় কারা কর্তৃপক্ষ। কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দকে আলাদা কনডেমড সেলে পাঠানোর চেষ্টা হলে তার বিরোধিতা করেন বিজন সেন ও অন্যান্যরা।[2][3]
মৃত্যু
২৪ এপ্রিল, ১৯৫০ তারিখে জেলার এডোয়ার্ড বিলে'র আদেশে বিনা প্ররোচনায় নিরস্ত্র বন্দীদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। অনেকের সাথে গুলিতে মৃত্যু ঘটে বিপ্লবী বিজন সেনের। নিহত বাকি কমিউনিস্ট নেতারা ছিলেন, দেলোয়ার হোসেন, হানিফ সেখ, সুধীর ধর, আনোয়ার হোসেন (শহীদ), সুখেন ভট্টাচার্য ও কম্পরাম সিং।[2][3]
তথ্যসূত্র
- প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৩৮।
- Afzar Hussain (23 April 2016)। "The Khapra Ward Day"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ 24.01.2017। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "খাপরা ওয়ার্ড শহীদ দিবসের রাজনৈতিক গুরুত্ব"। ভোরের কাগজ। ২৪ এপ্রিল ২০১৬। ৩০ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬.০১.১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)