বিক্রমপুর জাদুঘর
বিক্রমপুর জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।[1] জমিদার যদুনাথ বাবুর জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ২০১৪ সালে জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপন করে বাংলাদেশ সরকার।[2][3] বৃহস্পতিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের বাকি ছয়দিন জাদুঘরটি সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত থাকে।
স্থাপিত | ২০১৪ সাল |
---|---|
অবস্থান | মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ |
ইতিহাস
শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুর গ্রামে জমিদার রাজা শ্রীনাথ রায়ের বাড়ি। এ পরিবারের সর্বশেষ জমিদার ছিলেন যদুনাথ রায়। জমিদার বাড়িতে আছে দু’শ’ বছর আগে নির্মিত মন্দিরসহ বিশাল বিশাল পুরাতন ভবন। জমিদার যদুনাথ রায়ের এ বাড়িটির স্মৃতি রক্ষার্থে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জায়গা জুড়ে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সরকারি অর্থায়ণে নির্মান করা হয়েছে জাদুঘর, গেস্ট হাউজ, থিমপার্ক।
সংগ্রহ
শ্রীনগরের রঘুরামপুর ও নাটেশ্বর গ্রামে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হয়। এসব খননে পাওয়া গেছে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। একশ’টির মতো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘরটি। তিনতলা ভবনের জাদুঘরের মূল ফটকের দু’পাশে রয়েছে দু’টি বড় মাটির পাতিল। নিচতলার বাঁ পাশের গ্যালারিটি জমিদার যদুনাথ রায়ের নামে। এ জাদুঘরে রয়েছে বিক্রমপুরের প্রাচীন মানচিত্র, এখানকার বিভিন্ন প্রত্নসামগ্রীর আলোকচিত্র, বৌদ্ধবিহার, হযরত বাবা আদম (রা.) শহীদ মসজিদ, ইন্দ্রাকপুর কেল্লা, অতীশ দীপঙ্করের পরিচিতিমূলক আলোকচিত্র। এছাড়া জাতীয় জাদুঘর, বরেন্দ্র জাদুঘর ও কলকাতা জাদুঘরে সংরক্ষিত কষ্টিপাথরের মূর্তিগুলোর আলোকচিত্র। এখানে রয়েছে রঘুরামপুর, নাটেশ্বরসহ বিক্রমপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া পোড়ামাটির নল, মাটির পাত্র, পোড়ামাটির খেলনাসহ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন নিদর্শন। বিক্রমপুরের বিভিন্ন মনীষীদের পরিচিতিসহ আলোকচিত্র, বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, মঠ ও মন্দিরের আলোকচিত্র রয়েছে জাদুঘরে।
জাদুঘরের নিচতলার দু’টি কক্ষের নামকরণ করা হয়েছে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু গ্যালারি ও জমিদার যদুনাথ রায় গ্যালারি। দ্বিতীয় তলার গ্যালারিটি মুক্তিযোদ্ধা গ্যালারি নামে নাম করন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জাদুঘর খুলে দেওয়া হয়।
সময়সূচী
জাদুঘরটি শীতকালে শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি আর শুক্রবার ২টা থেকে ৫টা পযর্ন্ত খোলা থাকে। কোন প্রবেশ মূল্য নেই।
তথ্যসূত্র
- "দুর্লভ পুরাকীর্তির ভাণ্ডার বিক্রমপুর জাদুঘর"। ইত্তেফাক।
- "আজকের পত্রিকা»বাংলার মুখ»শ্রীনগরে বিক্রমপুর জাদুঘর উদ্বোধন শ্রীনগরে বিক্রমপুর জাদুঘর উদ্বোধন"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯।
- "বিক্রমপুরে দুটি জাদুঘর উদ্বোধন করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী"। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯।