বাহরাইনের সাহিত্য

বাহরাইন সাহিত্যের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত লেখক ও কবিরাই চিরায়ত আরবি শৈলিতে লিখে থাকেন, সমসাময়িক কবিরা যেসকল শৈলি অনুসরণ করেন, তার মধ্যে রয়েছে আলী আল-শারকাই, কাসিম হাদ্দাদ, ইবরাহিম আল-আররায়েদ এবং আহমাদ আল খলিফা।[1] সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, পাশ্চাত্য সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নবীন কবিরা উঠে আসছে। যাদের অধিকাংশ লেখাই গদ্যকবিতা। এছাড়াও এতে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ও প্রায়ই সন্নিবেশিত হতে দেখা যায়। [1] এখানে প্রকাশিত প্রায় সকল কবিতাই আরবিতে। এছাড়াও মাঝে মাঝে হুবহু অনুবাদ ছাড়াই ইংরেজিতে কিছু কবিতা প্রকাশিত হয়।[2]

আলী আল শারগায়ী, একজন বিখ্যাত কালোত্তীর্ণ কবি, যাঁকে বাহরাইনের সাহিত্যের আদর্শ হিসেবে অনেকেই স্বীকার করে নেন।[3]

ইতিহাস

২০০৪ সালের আগস্টে সাবেক বাহরাইনি সাংবাদিক আলী আল-সাঈদের অতিপ্রাকৃত কাহিনি গ্রন্থ "কুইক্সটিককিউ" প্রথমবারের মতো অনুবাদ ব্যতীত সরাসরি ইংরেজিতে প্রকাশিত হওয়া গ্রন্থ হিসেবে জায়গা করে নেয়।[4] ২০১১ সালের ফাব্রয়ারি মাসে বাহরাইনি লেখক, চিত্রশিল্পী এবং বুদ্ধিজীবীরা মিলিতভাবে মিশরীয় বিপ্লবের সাথে সংহতি ঘোষণা করে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। [5]

নারী লেখক

বিংশ শতাব্দীতে নারী লেখকরা যখন সাহিত্য রচনা শুরু করেন, কবিতা তাঁদের প্রধান সাহিত্যমাধ্যম ছিল। এমনকি এমনটাও ধারণা করা হয় যে, ১৯২৫ থেকে ১৯৮৫ সালের ভেতর ছয় ভাগের এক ভাগ কবি-ই ছিলেন নারী। তৎকালীন বিখ্যাত লেখিকাদের মধ্যে রয়েছেন ইমান আসিরি, ফাতিমা আল তাইতুন, ফাতহিয়াহ আযলান, হামদা খামিস এবং ফাউজিয়া আল সিনদি[6]

বিংশ সতাব্দীর দ্বিতীয় অর্ধাংশে গদ্য এবং গদ্যকবিতা দেশটিতে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে, বিশেষত নারীদের ভেতর।১৯৬৯ সালেই নারীরা গদ্য এবং গদ্যকবিতায় অভিষেক ঘটায় হামিদা খামিসের "শাজায়া" (আরবি: شظايا, যার অর্থ বিস্ফোরিত গোলার তীক্ষ্ম অংশ (শ্রাপনেল) দ্বারা। উল্লেখ্য, এটি ছিল খামিসের কবিতা রচনার প্রথম অভিজ্ঞতা। ইমান আসিরি ১৯৬০ এর শেষভাগে দেশটিতে প্রথম গদ্যকবিতা রচনা ও প্রকাশ করেন।[6]

তথ্যসূত্র

  1. "Bahrain – The Arts and the Humanities"। EveryCulture.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২
  2. "Bahrain: why translation matters"। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২
  3. al-Jayousi, Mohammed (৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Bahraini poet Ali al-Sharqawi looks to explore 'cosmic spirit' in his works"Al Shorfa। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২
  4. "A Landmark in Bahraini Literature: "QuixotiQ" A Novel" Launched"। eBestAudioBooks.com। ২২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২
  5. Singh Grewal, Sandeep (৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Hundreds support Egyptian struggle"Gulf Daily News। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২
  6. Raḍwá ʻĀshūr; Ferial Jabouri Ghazoul; Hasna Reda-Mekdashi (২০০৮)। Arab Women Writers: A Critical Reference Guide 1873 – 1999। American University of Cairo Press। পৃষ্ঠা 257। আইএসবিএন 9789774161469।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.