বার্বাডোস জাতীয় ফুটবল দল
বার্বাডোস জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Barbados national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম বার্বাডোসের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার্বাডোস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৭ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[5][6] ১৯২৯ সালের ২০শে এপ্রিল তারিখে, বার্বাডোস প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে বার্বাডোস ত্রিনিদাদ ও টোবাগোকে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
ডাকনাম | বাজান ট্রাইডেন্টস | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | বার্বাডোস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | কনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা) | ||
প্রধান কোচ | রাসেল লাতাপি[1] | ||
অধিনায়ক | রাশাদ জুলস | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | নরম্যান ফোর্ড (৭০) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | লেওয়েলিন রাইলি (২৩)[2] | ||
মাঠ | বার্বাডোস জাতীয় স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | BRB | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৬৩ (৩১ মার্চ ২০২২)[3] | ||
সর্বোচ্চ | ৯২ (অক্টোবর ২০০৯) | ||
সর্বনিম্ন | ১৮১ (জুলাই ২০১৭) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৮৫ ৬ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[4] | ||
সর্বোচ্চ | ১০৬ (জুলাই ২০০০) | ||
সর্বনিম্ন | ১৮১ (নভেম্বর ২০১৯) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
বার্বাডোস ৩–০ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো (বার্বাডোস; ২০ এপ্রিল ১৯২৯) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
বার্বাডোস ৭–১ অ্যাঙ্গুইলা (সেন্ট জন'স, অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা; ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
ব্রিটিশ গায়ানা ৯–০ বার্বাডোস (ব্রিটিশ গায়ানা; মার্চ ১৯৩১) |
১৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট বার্বাডোস জাতীয় স্টেডিয়ামে বাজান ট্রাইডেন্টস নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় বার্বাডোসের রাজধানী ব্রিজটাউনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন রাসেল লাতাপি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন কেমি সিটির মধ্যমাঠের খেলোয়াড় রাশাদ জুলস।
বার্বাডোস এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপেও বার্বাডোস এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি।
নরম্যান ফোর্ড, জন প্যারিস, মারিও হার্তে, জেফ উইলিয়ামস এবং লেওয়েলিন রাইলির মতো খেলোয়াড়গণ বার্বাডোসের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিং
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে বার্বাডোস তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৯২তম) অর্জন করে এবং ২০১৭ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৮১তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে বার্বাডোসের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১০৬তম (যা তারা ২০০০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৮১। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৬১ | ৭ | দক্ষিণ সুদান | ৯৯৮.৪৫ |
১৬২ | ৩ | পাপুয়া নিউগিনি | ৯৯৭.৬ |
১৬৩ | বার্বাডোস | ৯৯৫.৯৪ | |
১৬৪ | ৫ | তাহিতি | ৯৯৫.১১ |
১৬৫ | ৩ | ফিজি | ৯৯৩.৩৭ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
১৮৩ | ৮ | পুয়ের্তো রিকো | ১০৫৯ |
১৮৪ | ৩ | জিব্রাল্টার | ১০৫০ |
১৮৫ | ৬ | বার্বাডোস | ১০৪৬ |
১৮৬ | ১ | সেন্ট লুসিয়া | ১০৩৬ |
১৮৭ | ডোমিনিকা | ১০২৩ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য
ফিফা বিশ্বকাপ
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল | ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল | |||||||||||||
১৯৩৪ | |||||||||||||||
১৯৩৮ | |||||||||||||||
১৯৫০ | |||||||||||||||
১৯৫৪ | |||||||||||||||
১৯৫৮ | |||||||||||||||
১৯৬২ | |||||||||||||||
১৯৬৬ | |||||||||||||||
১৯৭০ | |||||||||||||||
১৯৭৪ | |||||||||||||||
১৯৭৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৩ | ৫ | ||||||||
১৯৮২ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৮৬ | প্রত্যাহার | প্রত্যাহার | |||||||||||||
১৯৯০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৯৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ২ | ০ | ০ | ২ | ১ | ৫ | ||||||||
১৯৯৮ | ৪ | ২ | ০ | ২ | ২ | ৩ | |||||||||
২০০২ | ১২ | ৪ | ৩ | ৫ | ১৭ | ২৭ | |||||||||
২০০৬ | ২ | ০ | ০ | ২ | ২ | ৫ | |||||||||
২০১০ | ৪ | ১ | ১ | ২ | ২ | ১০ | |||||||||
২০১৪ | ৬ | ০ | ০ | ৬ | ২ | ১৪ | |||||||||
২০১৮ | অযোগ্য ঘোষিত[7] | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৫ | ৪ | ||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ০/২১ | ৩৭ | ১০ | ৪ | ২৩ | ৩৪ | ৭৩ |
তথ্যসূত্র
- "Barbados - Association Information"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "Llewellyn Riley"। www.soccer-db.info। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৮।
- "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২।
- গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- March 2, 1967: the additions of federations from Bermuda and Barbados as full members of CONCACAF. "This Week in CONCACAF History: March 1–5"। CONCACAF.com (2011)। ৯ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৬।
- "5000 dólares de multa y un año de suspensión a Costa Rica acordó el congreso de CONCACAF"। La Nación (Google News Archive)। ৪ মার্চ ১৯৬৭।
- "Barbados sanctioned for fielding ineligible player"। FIFA। ২৯ জুন ২০১৫। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২১।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ বার্বাডোস জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- কনকাকাফ-এ বার্বাডোস জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে (ইংরেজি)