বার্ধক্য
বার্ধক্য, বৃদ্ধাবস্থা, বৃদ্ধ বয়স বা জরা মানব জীবনের শেষ ধাপ। বার্ধক্যে পৌঁছোবার বয়স জনে জনে ভিন্ন হতে পারে। মানুষের জীবনের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনকাল পার করে বার্ধক্য আসে।[1]
বার্ধক্যের কারণ
প্রতিটি মানব কোষে অজস্র (নির্দিষ্ট সংখ্যক) ডি,এন,এ (DNA) রয়েছে, আর তারই একটা ছোট্ট অংশকে বলা হয় জিন (Gene)। এই জিন গুলোই আমাদের বংশগতির ধারক ও বাহক। আর এই জিন জনিত কারণকেই এখনো বৃদ্ধ হবার প্রধান কারণ হিসেবে তাত্ত্বিক ভাবে ধরে নেয়া হয়।[2] জেনেটিক বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ার মনে করেন যে, বার্ধক্য একটি রোগ এবং ওষুধের সাহায্যে বার্ধক্য সারিয়ে তোলা সম্ভব। এটি নিয়ে গবেষণা চলছে। [3]
বার্ধক্যের পরিসংখ্যান
বৃদ্ধ জনগোষ্ঠির সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। ছিয়ানব্বইটি দেশের তালিকার সবচাইতে নিচে রয়েছে আফগানিস্তান।[4] ভারতের অবস্থান ৭১ আর বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭। [5]
বার্ধক্য জনিত সমস্যা
বাংলাদেশের মানুষের বয়সসীমা ৪০ বৎসর পাড় হবার পর থেকে বার্ধক্য জনিত নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত এইসময়ে মানুষ হৃদরোগ, হাড়ের ক্ষয় সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হয়।
তথ্যসূত্র
- "বার্ধক্য যেন অভিশাপ"। BD24Live.com। ২৫ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৬।
- "বার্ধক্য"। সুস্বাস্থ্য.কম। ১৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৬।
- বার্ধক্য একটি ‘রোগ’, যা সারিয়ে তোলা সম্ভব : মার্কিন বিজ্ঞানী, দৈনিক আমাদের সময়, ১৩ অক্টোবর ২০২১
- "'বাংলাদেশের মানুষ বার্ধক্য মোকাবেলায় প্রস্তুত নয়'"। প্রিয়। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৬।
- বিশ্বে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর বসবাস, হেলপএজ ইন্টারন্যাশনাল