বারিষাব ইউনিয়ন
বারিষাব ইউনিয়ন বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।
বারিষাব ইউনিয়ন | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৪°১২′২.২৫৭″ উত্তর ৯০°৩৮′১.৫৮৬″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | গাজীপুর জেলা |
উপজেলা | কাপাসিয়া উপজেলা |
সৃষ্টি | ১৯৮১ |
আয়তন | |
• মোট | ৩৯.৮৫ বর্গকিমি (১৫.৩৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬০,১৩৯ |
• জনঘনত্ব | ১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৯৮% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ১৭৪৩ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান
বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার অন্তর্গত ইউনিয়ন। পাশের নদীর অপর প্রান্তে মনোহরদী উপজেলা, পশ্চিম প্রান্তে বারিষাব। বারিষাব এর পূর্ব দিকে ব্রহ্মপুত্র নদী। উত্তর দিকে টোক ইউনিয়ন। পশ্চিমে আমরাইদ -আমরাই বাজার। দক্ষিণ দিকে চালার বাজার - ঘাগটিয়া চালা আব্দুল করিম সাহেব রাস্তার শেষ সীমান্ত পর্যন্ত বারিষাব ইউনিয়ন।
প্রশাসনিক অঞ্চল
বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু।
এই ইউনিয়ন ২৬ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত যা ১৭ টি মৌজার আওতাভুক্ত:
১ | লোহাদী | ২৩৮৩ | ৪৪০০ | ২০২০ | |
২ | নরসিংপুর | ১০১৫ | ১৪৬৫ | ২৪৮০ | |
৩ | দুর্লভপুর | ৪৯৭ | ৬২৩ | ১১২০ | |
৪ | বারাব | ১০০০ | ১২৪৩ | ২২৫০ | |
৫ | কিত্তোনিয়া | ১০৪৮ | ১১৯৫ | ২২৪৩ | |
৬ | পরিয়াব | ৭০৭ | ৮০০ | ১৫০৭ | |
৭ | নয়ানগর | ১০০৩ | ১২৯১ | ২২৯৪ | |
৮ | দামুয়ার চালা | ৬০০ | ৬৪৭ | ১২৪৭ | |
৯ | ডাওরা | ৫৯৮ | ৬৪৩ | ১২৪১ | |
১০ | বানার হাওলা | ১১১১ | ১১৯০ | ২৩০১ | |
১১ | গাঁওরার | ২৫১২ | ২৫৭২ | ৫০৮৪ | |
১২ | ভেরার চালা | ২৪৮ | ৩০১ | ৫৪৯ | |
১৩ | বরির চালা | ৯০৩ | ৩৬৫ | ১৪৬৮ | |
১৪ | নরোত্তম পুর | ১৪৯৪ | ১৫৩৬ | ৩০৩০ | |
১৫ | চেংনা | ৫০১ | ৫৯৬ | ১০৯৭ | |
১৬ | শ্যামপুর | ১৬৩৯ | ১৭০০ | ৩৩৩৯ | |
১৭ | বারিষাব | ১৪৯৪ | ১৫৩৬ | ৩০৩০ | |
১৮ | আল-আরাফাত বাড়ী | ২৪০ | ২৭০ | ৫১০ | |
১৯ | চৌকার চালা | ৩৫৮ | ৩৯৮ | ৭৫৬ | |
২০ | পিংগুলি | ৮০২ | ৯০৬ | ১৭০৮ | |
২১ | চরদুর্লভ খাঁ | ৩৩১১ | ৩৫০৫ | ৬৮১৬ | |
২২ | জালার চর | ৫৩ | ৫৬ | ১০৯ | |
২৩ | কুশদী | ২৮০৩ | ২৯০২ | ৫৭০৫ | |
২৪ | বর্জাপুর | ৬০০ | ৬৭০ | ১২৭০ | |
২৫ | ভিকার টেক | ১২০০ | ১৩৫০ | ২৫৫০ | |
২৬ | ছেলদিয়া | ১২৫০ | ১২৮০ | ২৫৩০ |
জনসংখ্যা
মোট জনসংখ্যা ৬০১৩৯, পুরুষ ৩১,০০০জন, মহিলা-২৯,১৩৯ জন।
ভাষা ও সংস্কৃতি
বারিষাব অঞ্চলের ভাষার আঞ্চলিক কিছুটা ভিন্নতর। কিছু উদাহরণ: যাবেন - যাইবাইন, খেয়েছেন - খাইছেন,চলেন - লন,
খাল ও নদী
গিয়াসপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে বয়ে গেছে দিঘী ইউনিয়নের পুর্ব সীমানা ঘেষে বয়ে গেছে ব্রহ্মপূত্রনদী। ইউনিয়নের মধ্যে ৬ নং ওয়ার্ডের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বানার নদী। পাথর খাল,মাছ রাঙ্গা বিল, নরাইট বিল,আন্ধার গুনি আরও নানা নামের খাল বিল রয়েছে।
যোগাযোগব্যবস্থা
যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে বাস আছে। কাপাসিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠে সোজা আমরাইদ বাজার নেমে পূর্বের রাস্তার দিকে অটোরিক্সা অথবা সিএনজি, এমনকি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান চলে। গ্রামের সাধারণ মানুষ শ্যালো চালিত এই বিশেষ যানটিকে স্থানীয় লোকজন নসিমন বা টমটম বলেন। অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা, সিএনজি এবং ইজি বাইক চলে আসায় ২০১৯ সাল থেকে টমটম এর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এই ইউনিয়নে কারিগরী কলেজ ১টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১টি, মাদ্রাসা ৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭টি রয়েছে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- লোহাদী উচ্চ বিদ্যালয়[1]
- শহীদ গিয়াস উচ্চ বিদ্যালয়
- কির্তুনীয়া ইছব আলী ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- নরোত্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়
- সিঙ্গুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- চরদুর্লভ খান আঃ হাই সরকার উচ্চ বিদ্যালয়
দর্শনীয় স্থান
১.চেংনা সাহেবানীয়া বাড়ি পুকুর ২.বান্ডুবাড়ি চেংনা ৩.আগলার টেক ৪.শ্যামপুর গজারীবন,৫.লোহাদীর লোহার খনি,
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
এই ইউনিয়নে একাধিক মসজিদ রয়েছে। এছাড়া চরদুর্লভ খাঁ কেরামতিয়া ঈদগাহ নামে এক বিশাল ঈদগাহ মাঠ রয়েছে।
অর্থনীতি
কৃষি প্রধান
ব্যবসা বাণিজ্য
কাপাসিয়া উপজেলায় প্রচুর দেশী ফল উৎপাদিত হয়। প্রতিদিন প্রত্যেক স্থানীয় বাজারে প্রচুর ফলের আমদানী হয়। পোল্ট্রি খামার ও মৎস্য খামার করে অনেক লোক স্বাবলম্বী হয়েছে।
হাটবাজারের তালিকা
- গিয়াসপুর বাজার
- বারিষাব বেলতলী বাজার
- পল্লী বাজার / জলিল মার্কেট
- নুরার বাজার
- নোরার পুলপাড়
- সিংগুয়া বাজার
- চৌকারচালা বাজার
- জলপাইতলা বাজার
- বর্জ্জাপুর
- হটাত মর্কেট
- ইসলামপুর শিব বাড়ি মোর
- রাজমহল মার্কেট
- বারাব চৌরাস্তা বাজার
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- অন্যান্য (১)
- কারিগরী (১)
- প্রাথমিক বিদ্যালয় (১১)
- মাদ্রাসা (৯)
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৭)
চিত্রশালা
- পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র
- বারিষাব নরোত্তম পুর কমিউনিটি ক্লিনিক
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "লোহাদী-উচ্চ-বিদ্যালয়"। gazipur.gov.bd। ২০১৯-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৪।