বারহাট্টা উপজেলা

বারহাট্টা উপজেলা বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

বারহাট্টা
উপজেলা
বারহাট্টা ময়মনসিংহ বিভাগ-এ অবস্থিত
বারহাট্টা
বারহাট্টা
বারহাট্টা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
বারহাট্টা
বারহাট্টা
বাংলাদেশে বারহাট্টা উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৪′০″ উত্তর ৯০°৫২′৩০″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলানেত্রকোণা জেলা
আয়তন
  মোট২২০.০০ বর্গকিমি (৮৪.৯৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট১,৮০,৪৪৯
  জনঘনত্ব৮২০/বর্গকিমি (২,১০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ৭২ ০৯
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

অবস্থান ও আয়তন

বারহাট্টা উপজেলা বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। বারহাট্টা উপজেলার উত্তরে কলমাকান্দা উপজেলাসুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা, দক্ষিণে আটপাড়া উপজেলামোহনগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে মোহনগঞ্জ উপজেলাসুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা, পশ্চিমে নেত্রকোণা সদর উপজেলা। আয়তনের দিক দিয়ে উপজেলাটি ২২১.৫০ বর্গ কিমি। এর অবস্থান: ২৪°৫১´ থেকে ২৫°০০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৪৬´ থেকে ৯১°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। নেত্রকোণা জেলা শহর থেকে দুরত্ব ১৫ কিলোমিটার মাত্র।

প্রশাসনিক এলাকা

বারহাট্টা উপজেলায় বর্তমানে ৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বারহাট্টা থানার আওতাধীন।[2]

ইউনিয়নসমূহ:

ইতিহাস

পূর্ববঙ্গ ও আসাম গেজেটের বিজ্ঞাপন অনুসারে নোটিফিকেশন নং ৬৬৭৬ জে তারিখঃ ১৫ই জুন, ১৯০৬ সালে বারহাট্টা থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।এবং ১৯৮৩ সালের ২ জুলাই বারহাট্টাকে উপজেলায় রুপান্তর করা হয়। ১৯৭১ সালে বারহাট্টা উপজেলাটির বিভিন্ন এলাকা পাক বাহিনী ও রাজাকারদের দ্বারা ধ্বংসলীলায় পরিনত হয়।অসংখ্য তরুন যুবক দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।এই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ করে বেশ কয়েকজন শহীদ ও নিখোঁজ হন.১৯৭১ সালের ০৮ ডিসেম্বর উপজেলাটি প্রকৃতর্থে হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়।

নামকরণ

বারহাট্টা উপজেলার নাম করনের সময়কাল অনুমান করা হয় ১৮শ শতকের শুরু এবং ১৭শ শতকের শেষ পর্যায়কে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন পাগলপন্থি আন্দোলনের নেতা টিপু শাহ্‌ কে শায়েস্তা করার জন্যই নাটেরকোনা নেত্রকোনার তৎকালীন নাম অঞ্চলে ঘাঁটি বসায় ইংরেজরা। আন্দোলনকারীদের অনেকেই বারহাট্টার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করলে নৌ পথের সুবিধার জন্য বারাহট্টা বাজারের পার্শ্ববর্তি বরোহাটি/বরুহাটি/বৌহাটি গ্রামের আদূরে সেনা ছাউনী ফেলে। কংস নদীর তীরবর্তী বরুহাটি গ্রামের অনুকরনে BRA-HATTA উচ্চারণ করতেন সেনারা। তার থেকেই আস্তে আস্তে লোক্মুখে বারহাট্টা নামটি প্রচলিত হতে থাকে। অফিস আদালতে বাংলা উচ্চারণ বারহাট্টা থেকে ইংরেজী BARHATTA করা হলেও একমাত্র বারহাট্টা রেলস্টেশন নাম ফলকে BRAHATTA উল্লেখ করা আছে।

জনসংখ্যার উপাত্ত

মোট জনসংখ্যা ১,৮০,৪৪৯ জন (২০২১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী), পুরুষ ৯০,৫৭৬ জন ও মহিলা ৮৯,৮৭৩ জন। জনসংখ্যার প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮২০ জন। মোট খানার সংখ্যা ৩৭,৮৫৪টি, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩১%।[3]


খেলাধুলা ও বিনোদন

বারহাট্টা উপজেলায় দেশীয় খেলা হিসাবে হা-ডু-ডু, বলি খেলা,দারিয়াবান্দা,গোল্লাছুট,কানামাছি,মইল্লা,ষাড়ের লড়াই,ঘুড়ি উড়ানো ইত্যাদি। বিদেশী খেলাধুলার মধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট ,ব্যাডমিন্টন,ভলিবল খেলা অন্যতম । বিনোদনের জন্য পূর্বে যাত্রাগান,জারি-সারি-কবি গানের প্রচলন থাকলেও এখন তা বিলুপ্ত প্রায়। মাঝে মাঝে বাউল গানের আসর অয়োজন হয়। তাছাড়া গাজী-কালুর পালা। রামায়ণ পালা বিশেষ দিনে আয়োজিত হয়ে থাকে।

নদ-নদী

বারহাট্টা উপজেলা কংশ নদের তীরে অবস্থিত।উপজেলার অধিকাংশ এলাকা একসময় খাল-ছোট নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকলেও এখন উপজেলা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কংস নদ সহ বাকিগুলাও মৃত প্রায়। বারহাট্টা উপজেলার উল্লেখযোগ্য নদী কংশ। এছাড়াও বিষনাইল, ধনাইখালী, লারখালী, গোলামখালী রাঙ্গাধাইর, কাউনাই, গোরাউৎরা, ধালেশ্বরী প্রভৃতি। নদীগুলো কালে ভরাট হয়ে মরা নদী বা বিলুপ্ত নদীতে পরিণত হয়েছে। কাংশ নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে গোলামখালী নদীর সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে।

শিক্ষা

বারহাট্টা উপজেলায় ৩ টি কলেজ রয়েছে।

  • ফকির আশরাফ কলেজ,
  • বারহাট্টা কলেজ এবং
  • বাউশি অর্ধচন্দ্র স্কুল এন্ড কলেজ।


স্কুল সমূহ
  • বারহাট্টা সি. কে. পি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
  • কাশবন উচ্চ বিদ্যালয়
  • কিশলয় শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়
  • নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • বাউসী অর্ধচন্দ্র উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়বারহাট্টা
  • বারহাট্টা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়বারহাট্টা
  • হাজীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়
  • হুজরাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়
  • চলিস্নশকাহনিয়া হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়
  • সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়
  • উজানগাঁও মনাষ আববাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • চিরাম তাহেরা মান্নান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়
  • প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়
  • রম্নপগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • ডেমুড়া চাপারকোণা উচ্চ বিদ্যালয়
  • অতিথপুর আববাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • ননীগোপাল মঞ্জুশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়
  • হারম্নলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়[4]

স্বাস্থ্য সেবা বিষয় বিষয়ক প্রতিষ্ঠান

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

অর্থনীতি

এ অঞ্চলের অর্থনীতির প্রধান মাধ্যম কৃষি। বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বারহাট্টা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫
  2. "ইউনিয়নসমূহ - বারহাট্টা উপজেলা"barhatta.netrokona.gov.bd। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২০
  3. "উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, বারহাট্টা, নেত্রকোণা"barhatta.netrokona.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২৭
  4. "নেত্রকোণা জেলা"www.netrokona.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২৪
  5. http://health.barhatta.netrokona.gov.bd/

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.