বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম

বাবা লোকেনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থভূমি। বিশেষত বাঙালি হিন্দুর কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।[1]

বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমে সমাধি মন্দিরের ভিতরে বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মূর্তি
বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম
বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমের বাইরের অংশ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলানারায়ণগঞ্জ
অবস্থান
অবস্থানবারদী
দেশবাংলাদেশ
স্থাপত্য
ধরনবাংলার মন্দির স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীলোকনাথ ব্রহ্মচারী

অবস্থান

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী বাজারের পশ্চিম-উত্তর কোণে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম অবস্থিত। ঢাকা থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক পথ ধরে গিয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।

গুরুত্ব

প্রতি বছর ১৯ জৈষ্ঠ্য এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাপুরুষ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসব পালিত হয়। ১৮৯০ সালের (বাংলা ১২৯৭ সন) এই দিনে পরমপুরুষ শ্রীশ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারী দেহত্যাগ করেন। তার এই মহাকাল প্রয়াণের দিনটিকে ভক্তি এবং শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণ করার জন্যই এই উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়। এই তিরোধান উৎসবে অংশগ্রহণ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটানশ্রীলঙ্কাসহ দেশের লক্ষাধিক লোকনাথ ভক্ত বারদী আশ্রমে এসে সমবেত হন। জৈষ্ঠ্যের ১৯ তারিখ আশ্রমের চৌচালা ছাদের উপর থেকে ভক্তদের ছুঁড়ে দেয়া বাতাসা মিষ্টান্ন ও তা কুড়ানোর উচ্ছল আয়োজন হয় যা “হরি লুট” নামে পরিচিত। এছাড়া দিন ব্যাপী চলে গীতা পাঠ, বাল্যভোগ, লোকনাথের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ, রাজভোগ, প্রসাদ বিতরণ ও আরতি কীর্তনসহ ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান।

বারদীর লোকনাথ আশ্রম এখন শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থানই নয়, বরং ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল ধর্মের, সকল মানুষের কাছে এক মিলন মেলা হিসেবে পরিচিত। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসবে সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে। আশ্রমের ঠিক সামনে বিশাল সবুজ মাঠ। এখানেই মেলা বসে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিশাল আয়োজন করা হয় এখানে। নানান এলাকা থেকে হাজারও পণ্য আসে। আসে বাহারী তৈজসপত্র, আহারের ফল ফলাদি আরো কত কী। বহুদেশে বহু ধর্মাবলম্বী মানুষের আগমন ঘটে এই মেলায়। এ এক বিশাল আয়োজন। এক সপ্তাহব্যপী চলতে থাকে রাতদিন।

আশ্রমের বিররণ

শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমের দক্ষিণের উঠানে তাঁর সমাধিস্থলের পশ্চিমে শত বৎসর ধরে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির একটি বকুল গাছ। আশ্রমের ভেতরে আছে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বিশাল তৈলচিত্র। মূল আশ্রমের পেছনে খোলা উঠান পেরিয়ে বিশাল পাঁচতলা ভবনের যাত্রীনিবাস। পশ্চিমে আরও দুটি বিশালাকার যাত্রীনিবাস। ভক্ত ও দর্শণার্থীরা বিনা পয়সায় এখানে রাত্রিযাপন করেন। সাধক পুরুষ লোকনাথ ব্রহ্মচারী জীবিত থাকা অবস্থায় আশ্রমের পাশে কামনা সাগর ও জিয়স নামে পুকুর খনন করা হয়। এই পুকুরটিতে আশ্রমে আগত ভক্তরা স্নান করেন।

সমাধি মন্দির

শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রক্ষচারী সমাধি মন্দির

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

  1. "লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে একদিন"এনটিভি বিডি। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.