বাবরি মসজিদ

বাবরি মসজিদ (হিন্দি: बाबरी मस्जिद, উর্দু: بابری مسجد, অনুবাদ: বাবরের মসজিদ) ভারতের উত্তর প্রদেশের, ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের রামকোট হিলের উপর অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ ছিল। বিশ্বাস করা হয়, এ বাবরি মসজিদ যে স্থানে অবস্থিত ছিল সেটাই ছিল হিন্দু ধর্মের অবতার রামের জন্মস্থান। এই বিষয়টি নিয়ে আঠারো শতক থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিতর্ক চলে আসছে, যা অযোধ্যা বিবাদ নামে পরিচিত। মসজিদের অভিলিখন থেকে জানা যায়, মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে সেনাপতি মীর বাকী ১৫২৮–২৯ (৯৩৫ হিজরি বর্ষে) এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৯২ সালে কর সেবক দ্বারা এই মসজিদ আক্রমণ করা হয় এবং গুড়িয়ে দেওয়া হয়। যা পুরো দেশজুড়ে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষ্ফোরণ ঘটায়।

বাবরি মসজিদ
মসজিদ-ই-জন্মস্থান
বাবরি মসজিদ
আঠারো শতাব্দীতে উপরের বাম দিকে বাবরি মসজিদ। উইলিয়াম হজসের 'সিলেক্ট ভিউস ইন ইন্ডিয়া ইন দ্য ইয়ারস ১৭৮০-১৭৮৩'
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানঅযোধ্যা, উত্তর প্রদেশ ভারত
বাবরি মসজিদ ভারত-এ অবস্থিত
বাবরি মসজিদ
ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৬.৭৯৫৬° উত্তর ৮২.১৯৪৫° পূর্ব / 26.7956; 82.1945
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীতুঘলক
সম্পূর্ণ হয়১৫২৮-২৯
ভাঙন১৯৯২

ধারণা করা হয়, এই মসজিদটি রামকোট ("রামের দুর্গ") পাহাড়ের উপর অবস্থিত ছিল।[1] হিন্দুদের মতে, মীর বাকী পূর্বে অবস্থিত রামমন্দির ধ্বংস করে তারপর মসজিদ নির্মাণ করেছে। আদৌ রামমন্দির ছিল কিনা তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ভিন্নমত আছে।[2] ২০০৩ সালে ভারতের ভূমি জরিপ বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা বাবরী মসজিদের নিচে একটি পুরাতন স্থাপনার অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন।[3]

১৯ শতকের শুরু থেকে এ বিতর্কের জের ধরে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একাধিক কলহের ঘটনা ঘটে এবং পাল্টাপাল্টি আদালতে মামলা দায়ের চলতে থাকে। ১৯৪৯ সালে হিন্দু সক্রিয়তাবাদীরা হিন্দু মহাসভার সাথে জোট বেধে গোপনে রামের একটি বিগ্রহ মসজিদের অভ্যন্তরে রেখে দেয়। এরপরই সরকার দাঙ্গা ঠেকানোর অভিপ্রায়ে পুরো মসজিদকে সিলগালা করে দেয়। হিন্দু-মুসলিম উভয়ই সে স্থানে প্রবেশাধিকার পেতে আদালতে মামলা করে।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা বাবরি মসজিদ গুড়িয়ে দেয়। যার ফলে পুরো ভারত জুড়েই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এই দাঙ্গা পুরো ভারতজুড়ে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যায়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম।[4][5]

২০১০ সালে এলাহাবাদ উচ্চ আদালত রায় দিয়েছিল, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখাড়া, রামলালার মধ্যে জমি সমান ভাগে করে দেয়া হোক। এর ফলে হিন্দুরা পায় জমির তিন ভাগের দুই ভাগ। মুসলিমরা এক ভাগ।[6][7] এর বিরুদ্ধে সব পক্ষই উচ্চ আদালতে আপীল করে।[7][7][8] ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়কে রদ করে ঘোষণা দেয় ২.৭৭ একরের পুরো জমিই এমন একটি ট্রাস্টকে দিতে হবে, যারা হিন্দু মন্দির নির্মাণ করবে। একই সাথে আদালত সরকারকে নির্দেশ দেয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমি দিতে হবে মসজির নির্মাণের জন্য এবং সে জমি অযোধ্যায়ই হতে হবে।[9]

নামকরণের ব্যুৎপত্তি

"বাবরী মসজিদ" এ নামকরণ করা হয়েছে মুঘল সম্রাট বাবরের নামে, তিনিই এ নির্মাণ কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।[10] ১৯৪০ এর পূর্বে একে "মসজিদের জন্মস্থান" বলা হত [11]

মসজিদের নির্মাণকৌশল

দিল্লির সুলতানি এবং তার উত্তরাধিকারী মুঘল সাম্রাজ্যের শাসকরা শিল্প এবং স্থাপত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাদের নির্মিত অনেক সমাধি, মসজিদ ও মাদ্রাসা সূক্ষ নির্মাণকৌশলের নিদর্শন বহন করে। মুঘলদের স্থাপত্য তুঘলক রাজবংশের স্থাপত্যের প্রভাব বহন করে যার একটি স্বতন্ত্র গঠনশৈলী আছে। ভারতের সর্বত্র, মসজিদসমূহের ভিন্ন ভিন্ন গঠনশৈলী আছে যা বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়েছিল। এই নির্মাণগুলির মধ্যে আদিবাসী শিল্প ঐতিহ্য এবং স্থানীয় কারিগরদের মার্জিত শৈলী ও দক্ষতা উভয়ই প্রকাশ পায়। মসজিদের নির্মাণে আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক জলবায়ু, ভূখণ্ড, উপকরণ ইত্যাদি প্রভাব ফেলতো যার ফলে বঙ্গ, কাশ্মীরগুজরাটের মসজিদের মধ্যে বিরাট পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। মসজিদগুলি শুধুমাত্র স্থানীয় মন্দির বা গার্হস্থ্য গঠনশৈলীর মধ্যে আবদ্ধ ছিল না। বাবরি মসজিদ জানপুরের সুলতানি স্থাপত্যের পরিচয় বহন করে। পশ্চিম দিক থেকে দেখলে এই মসজিদ জানপুরের আতালা মসজিদ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।[12]

বাবরি মসজিদ তার সংরক্ষিত স্থাপত্য ও স্বতন্ত্র গঠনশৈলীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মসজিদটি সম্রাট আকবর দ্বারা গৃহীত ইন্দো-ইসলামী গঠনশৈলীর প্রতীক ছিল।

স্থাপত্যশৈলী নকশা

বাবরি মসজিদের পার্শ্ব মানচিত্র

এ মসজিদের স্থাপত্যশৈলী দিল্লি সুলতানের মসজিদের একটি প্রতিলিপি ছিল। তবে বাবরী বিখ্যাত তার স্বতন্ত্র শৈলীর জন্য।

বাবরি মসজিদের অভ্যন্তরীণ শব্দ-নিয়ন্ত্রণ এবং শীতলীকরণের ব্যবস্থা

লর্ড উইলিয়াম বেন্টিকের (১৮২৮-১৮৩৩) স্থাপত্যশিল্পী গ্রাহাম পিকফোর্ডের মতে,

"বাবরি মসজিদ মিহরাব থেকে একটি ফিসফিস কথা ২০০ ফুট [৬০ মিটার] দূরে মসজিদের অন্য প্রান্ত পর্যন্ত স্পষ্ট শোনা যায় এবং যেটি কেন্দ্রীয় আদালতের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের বরাবর।"

বাবরি মসজিদের স্বনবিদ্যা প্রসঙ্গে তার বই Historic Structures of Oudhe -এ পাওয়া যায়,

"মিম্বর থেকে কণ্ঠ স্থাপন ও প্রক্ষেপণ ষোড়শ শতাব্দীর একটি স্থাপনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নত, এই কাঠামোতে শব্দের অনন্য স্থাপনা দর্শনার্থীকে বিস্মিত করবে।"

আধুনিক স্থপতিদের মতে বাবরি মসজিদের চিত্তাকর্ষক স্বনবিদ্যার কারণ হল মসজিদটির মিহরাব (মসজিদের একদিকে একটি অর্ধবৃত্তাকার দেয়াল যেটি ক্বিবলা নির্দেশ করে) ও পার্শ্ববর্তী দেয়ালগুলিতে বিভিন্ন খাঁজ যা অনুনাদক হিসাবে কাজ করত। এই নকশা মেহরাবে অবস্থিত ইমামের কথা (উপাসনা) সবাইকে শুনতে সাহায্য করত। এছাড়াও বাবরি মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বেলেপাথর অনুনাদের কাজ করে যা মসজিদটির শব্দ-নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করত।

আদালতের রায়

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট বাবরী মসজিদ যে স্থানে ছিল সেই ভূমি সম্পর্কিত রায় দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের রায়ে ২.৭৭ বা ১.১২ হেক্টর ভূমি সমান তিনভাগে ভাগকরার রায় প্রদান করেন। যার এক অংশ পাবে হিন্দু মহাসভা রাম জন্মভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য, দ্বিতীয় অংশ পাবে ইসলামিক সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং বাকি তৃতীয় অংশ পাবে নির্মোহী আখরা নামে একটি হিন্দু সংগঠন। যদিও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদ কোন মন্দির কে ধ্বংস করে তার উপরে করে উঠছে কিনা এই বিষয়ে তিনজন বিচারক একমত হতে পারেননি, তারা শুধুমাত্র একমত হতে পেরেছেন, মসজিদের নিচে মন্দির অথবা মন্দিরের মতো কোনো স্থাপনার অস্তিত্ব ছিল।[13] ভারতের পুরাতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক করা খননকার্যের জরিপ আদালত দ্বারা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছিল এবং তারা মনে করেছে যে স্থাপনাটির অস্তিত্ব মসজিদ নির্মাণের পূর্বে থেকে ছিল সে স্থাপনাটি একটি বিশাল হিন্দু মন্দির ছিল।[14]

২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলার শুনানি করে।[7][8] ৯ নভেম্বর ২০১৯ সালে ৫ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ২.৭৭ একরের সে জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য কোন ট্রাস্টকে হস্তান্তর করতে হবে। আদালত সরকারকে এটাও নির্দেশ দেয় যে, মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড কে ৫ একরের একটি জায়গা দিতে হবে।[9]

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বের ১৯৯২ সাল থেকে ২৮ বছর ধরে চলা এই মামলার ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছে ভারতের বিশেষ আদালত। সেই রায়ে অভিযুক্ত সবাইকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে। লখনউয়ের বিশেষ আদালতে রায় পড়েন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। বিচারকের যুক্তি 'ওই কর্মকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না'। তথ্যপ্রমাণও যথেষ্ট নয় বলে জানায় আদালত। অভিযুক্ত ৩২ জনকেই সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয়। ৩২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ২৬ জনকে আদালতে উপস্থিত থাকার আদেশ দেওয়া হয়। বাকি ছয় জন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রায়ের সময় অংশ নেন। মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানির অভিযোগ ওঠে বিজেপির বলিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর যোশী, সাবেক মন্ত্রী কল্যাণ সিং ও উমা ভারতীর বিরুদ্ধে।[15]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Hiltebeitel, Alf (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯), Rethinking India's Oral and Classical Epics: Draupadi among Rajputs, Muslims, and Dalits, University of Chicago Press, পৃষ্ঠা 227–, আইএসবিএন 978-0-226-34055-5
  2. Udayakumar, S.P. (আগস্ট ১৯৯৭)। "Historicizing Myth and Mythologizing History: The 'Ram Temple' Drama"। Social Scientist25 (7)। জেস্টোর 3517601
  3. Fuller, Christopher John (২০০৪), The Camphor Flame: Popular Hinduism and Society in India, Princeton University Press, পৃষ্ঠা 262, আইএসবিএন 0-691-12048-X
  4. Guha, Ramachandra (২০০৭)। India After Gandhi। MacMillan। পৃষ্ঠা 582–598।
  5. The Three Way Divide, Outlook, 30 September 2010.
  6. "Ayodhya dispute: The complex legal history of India's holy site"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯
  7. "Supreme Court hearing ends in Ayodhya dispute; orders reserved"The Hindu Business Line। Press Trust of India। ২০১৯-১০-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৮
  8. "Ram Mandir verdict: Supreme Court verdict on Ram Janmabhoomi-Babri Masjid case"The Times of India। ২০১৯-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৯
  9. Flint, Colin (২০০৫)। The geography of war and peace। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 165। আইএসবিএন 978-0-19-516208-0।
  10. Asgharali Engineer, সম্পাদক (১৯৯০)। Babri-Masjid Ramjanambhoomi controversy। Ajanta Publications। পৃষ্ঠা 37।
  11. "Ram Janm Bhumi Babri Masjid: Gist of Judgments"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৯
  12. "Issues For Briefing" (PDF)। Allahabad High Court। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১২
  13. বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয়ার মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০২০ তারিখে

জীবনী

  • Ratnagar, Shereen (২০০৪)। "Archaeology at the Heart of a Political Confrontation: The Case of Ayodhya"। Current Anthropology। 45(2)। পৃষ্ঠা 239–259। templatestyles stripmarker in |শেষাংশ= at position 1 (সাহায্য)

আরো পড়ুন

  • Ram Sharan Sharma. Communal History and Rama's Ayodhya, People's Publishing House (PPH), 2nd Revised Edition, September 1999, Delhi. Translated into Bengali, Hindi, Kannada, Tamil, Telugu and Urdu. Two versions in Bengali.
  • Bacchetta, Paola. "Sacred Space in Conflict in India: The Babri Masjid Affair." Growth & Change. Spring2000, Vol. 31, Issue 2.
  • Baburnama: Memoirs of Babur, Prince and Emperor. 1996. Edited, translated and annotated by Wheeler M. Thacktson. New York and London: Oxford University Press.
  • Ayodhya and the Future of India. 1993. Edited by Jitendra Bajaj. Madras: Centre for Policy Studies. আইএসবিএন ৮১-৮৬০৪১-০২-৮ hb আইএসবিএন ৮১-৮৬০৪১-০৩-৬ pb
  • Elst, Koenraad. 1991. Ayodhya and After: Issues Before Hindu Society. 1991. New Delhi: Voice of India.
  • Emmanuel, Dominic. 'The Mumbai bomb blasts and the Ayodhya tangle', National Catholic Reporter (Kansas City, 27 August 2003).
  • Sita Ram Goel: Hindu Temples - What Happened to Them, Voice of India, Delhi 1991.
  • Harsh Narain. 1993. The Ayodhya Temple Mosque Dispute: Focus on Muslim Sources. Delhi: Penman Publishers.
  • Hassner, Ron E., War on Sacred Grounds. 2009. Ithaca: Cornell University Press.
  • Romey, Kristin M., "Flashpoint Ayodhya." Archaeology Jul/Aug2004, Vol. 57, Issue 4.
  • Romila Thapar. 'A Historical Perspective on the Story of Rama' in Thapar (2000).
  • Ayodhya ka Itihas evam Puratattva – Rigveda kal se ab tak ('History and Archaeology of Ayodhya – From the Time of the Rigveda to the Present') by Thakur Prasad Varma and Swarajya Prakash Gupta. Bharatiya Itihasa evam Samskrit Parishad and DK Printworld. New Delhi.
  • Ayodhya 6 December 1992 (আইএসবিএন ০-৬৭০-০৫৮৫৮-০) by P. V. Narasimha Rao

বহিঃসংযোগ

গবেষণা পত্র
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.